ইরানে বায়ুদূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
ইরানে বায়ুদূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ইরানের রাজধানী তেহরানে বায়ুদূষণ এখন চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর বায়ুদূষণের কারণে ইরানে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন—গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছেন ১৬১ জন। সোমবার (১০ নভেম্বর) ইরানের সংবাদমাধ্যম শাফাক নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। তেহরানে বায়ুদূষণ গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, যানবাহনের সংখ্যা ও শিল্পকারখানার ঘনত্ব ক্রমেই দূষণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এখন এমন দিন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যেদিন শহরের বাতাস সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে। তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহদি চামরান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, এই শহরের বাতাস আবার কখনো পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। তবে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও জানান, দূষণ কমাতে এবং গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নগর বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সমস্যার কার্যকর সমাধানে সব সরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বলে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, গণমাধ্যম মডার্ন ডট এজেড জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে ইরান প্রতিদিন প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত

থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। সোমবার থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ২৩০ জনকে নিয়ে উপকূল ছেড়ে যাওয়া আরেকটি নৌকারও খোঁজ মিলছে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে আরও একটি নৌকা ডুবে গেছে। যেখানে প্রায় ৭০ জন আরোহী ছিলেন, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, ২৩০ যাত্রী বহনকারী আরেকটি নৌকার অবস্থানও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করেছে। যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। অন্যদিকে, থাই সরকার জানিয়েছে, তারা দুজন শিশুসহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার সমুদ্র সংস্থা জানিয়েছে, জীবিতদের সন্ধানে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া উভয় পক্ষই বিমানবাহিনী মোতায়েন করছে। মিয়ানমারে নিজ দেশে সহিংসতার শিকার হয়ে বেঁচে থাকার আশায়, অবৈধভাবে বিপজ্জনক নৌরুটে অন্যদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও এ চোরাই পথে ছুটছেন। ২০১৭ সালের নৃশংস সামরিক অভিযানের পর রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে।
একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প রয়েছে ৮টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প রয়েছে ২টি।
ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, তাই আবারও অধিনায়ক হয়েছি: শান্ত

ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, তাই আবারও অধিনায়ক হয়েছি: শান্ত চলতি বছরের জুনে টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আবারও তিনিই টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরেছেন। মাঝে সাদা পোশাকের কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। আগামীকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে টাইগাররা। ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। এ সময় আবারও অধিনায়কত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু দিন অধিনায়ক ছিলাম না। ওই সময় রিল্যাক্স ছিলাম, উপভোগ করেছি। ক্রিকেট বোর্ড আমার সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করেছে, সবার সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্তর চেয়ে বাংলাদেশ দল অনেক বড়। আমার চিন্তা থেকে বড় চিন্তা হলো যে, আসলে বাংলাদেশ দলের কী প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বোর্ডের এত বড় বড় কর্মকর্তা বা সাবেক ক্রিকেটার যারা বোর্ডে আছে, তারা যখন একটা পরামর্শ দিচ্ছেন, অবশ্যই এটা দলের ভালোর জন্য, আমার নিজের ভালোর জন্য। তাই ওই আলোচনাটাকে আমি পুরোপুরি সম্মান দিয়েছি। যদি এক কথায় বলি যে আমার মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা আগে রাখা উচিত। তাই আমি দলটাকে আগে রেখে আমি আবার এই সিদ্ধান্তে এসেছি।’ বর্তমানে বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটে ভিন্ন তিনজন অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল (সমস্যা হবে)। এটা মনে হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও ছিল। তবে যেটা বললাম একটু আগে যে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হয়েছে। কী কী সমস্যা হতে পারে, কীভাবে সমাধান করতে পারি- সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুবই ক্লিয়ার। আমি আশাবাদী যে, এই ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।’
জানুয়ারির মধ্যেই আবু সাঈদ হত্যার বিচার শেষ-প্রসিকিউশন

জানুয়ারির মধ্যেই আবু সাঈদ হত্যার বিচার শেষ-প্রসিকিউশন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউশন। আজ দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এই আশা ব্যক্ত করেন। মিজানুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আজ ১২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। আর ৩০-৩৫ জনের জবানবন্দি নিয়েই আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করবো। তবে নির্বাচনের আগে-পরে কখন রায় হবে, তা বলার এখতিয়ার আমাদের কারও নেই। আমরা আশা করছি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই আমরা বিচার সম্পন্ন করতে পারবো। সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় বেশ কয়েকবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হলো; এ প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, আমাদের প্রসিকিউশন থেকে একজন সাক্ষীর অসুস্থতার কথা একদিন বলা হয়েছিল। কিন্তু বাকি বিষয়টা তথা মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তে চলতে হয়। এ ছাড়া অন্য দুটো মামলার তদন্তে ব্যস্ত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)। আমিও ব্যক্তিগতভাবে একটু কাজে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে হওয়া এমনটি খুব বড় ধরনের কিছু ত্রুটি বা সমস্যা নয়। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রসিকিউশন মামলা বিলম্ব করছে বা বিলম্বিত হচ্ছে এ ধরনের কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এদিন আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান। তিনিই আবু সাঈদকে আহত অবস্থায় তুলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রিকশায় তুলে দিয়েছিলের। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা, এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়সহ বেরোবির কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর নাম বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা-নীরবতা ও গাফিলতির কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেন এই সাক্ষী। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তার জেরা চলমান রয়েছে। বিরতি শেষে দুপুর আড়াইটার পর শুরু হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এসময় সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার, মঈনুল করিম, সহিদুল ইসলামসহ অন্যরা। এর আগে, গত ৪ নভেম্বর এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।
ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক- আরিফিন শুভ

ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক- আরিফিন শুভ পর্দায় তারকারা যতই ঝলমলে দেখাক না কেন, পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য পরিশ্রম, হতাশা আর সংগ্রাম- শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন দিতে এসে নিজের জীবনের সেই হতাশা আর সংগ্রামের গল্পই শোনালেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সম্প্রতি মোটিভেশনাল ট্রেইনার ডন সামদানির একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়ে শুভ জানালেন, তার নায়ক হয়ে ওঠার পথ একেবারেই সহজ ছিল না। মডেলিং দিয়ে শুরু হলেও তারও আগে শুভ কাজ করতেন প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের ইউনিটে পরিচালকের সহকারী হয়ে ছোটখাটো কাজ করতেন তিনি।নিজের সেই সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নায়ক বলেন, ‘এক সময় আমি প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম। মানে শুটিংয়ে ডিরেক্টর-শিল্পীদের আদেশ পালন করতাম। যেমন, এই এদিকে আয়, এই পানি দে, এই আর্টিস্টের স্যান্ডেল মোছ- এসব অর্ডার পালন করতাম।’ তারপর এক শুটিংয়ের স্মৃতি টেনে শুভ আরও বলেন, ‘একটা বিজ্ঞাপনের কাজ ছিল। সেই বিজ্ঞাপনে ডন ছিলেন মডেল আর আমি ছিলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। কিন্তু আমার স্বপ্নটা বড় ছিল, তাই সেখান থেকে উঠে আজ আমি নায়ক হয়েছি।’মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা আরিফিন শুভ পরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেন। ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’সহ একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন শুভ। এছাড়াও সম্প্রতি বলিউডের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও আলোচনায় এসেছেন অভিনেতা।