ডেঙ্গু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১৫ জন আক্রান্ত

ডেঙ্গু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১৫ জন আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৬ জন ও বহির্বিভাগে ৫ জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৭ জন রোগী। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৯ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলাসহ ১৬ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন পুরুষ, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলাসহ ৬ জন এবং ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলাসহ ৪ জন রোগী রয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে রবিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬১৮ জন।
জেলায় ডায়রিয়াতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরো ৬০

জেলায় ডায়রিয়াতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরো ৬০ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৬০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৩ জন রোগী। সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৬০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩৫ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, গোমস্তাপুরে ৮ জন, নাচোলে ২ জন ও ভোলাহাটে ৪ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে জেলা হাসপাতাল থেকে ৪৪ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ জন, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৬ জন, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৭ জন ও ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন।
ঘূর্ণীঝড় মেলিসার তাণ্ডবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৫০ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণীঝড় মেলিসার তাণ্ডবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৫০ জনের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবের পর পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছে জ্যামাইকা। স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে এখানে স্থাপন করা হবে একাধিক অস্থায়ী হাসপাতাল। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। কিংস্টন থেকে এএফপি জানায়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগটির আঘাতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৫০ জন ছাড়িয়েছে, যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শনিবার পর্যন্ত জ্যামাইকায় নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টোফার টাফটন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমার ধারণা, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ এখনো কিছু এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।’এদিকে হাইতির সিভিল প্রোটেকশন বিভাগ জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। মেলিসা ছিল ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়, যা জ্যামাইকার ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। ঝড়টির প্রভাবে ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল (প্রায় ৩০০ কিলোমিটার) গতির বাতাসে দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। জ্যামাইকার পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম অস্থায়ী হাসপাতালটি বসানো হবে ব্ল্যাক রিভারে, যা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশের রাজধানী। টাফটন বলেন, ‘আগামীকালই এটি পৌঁছাবে বলে আশা করছি। সঙ্গে সঙ্গে স্থাপন কাজ শুরু হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই হাসপাতালটি সম্পূর্ণ সরঞ্জামসহ আসবে। থাকবে অপারেশন থিয়েটার, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও স্থানীয় মেডিকেল টিমকে সহায়তা করতে কয়েকজন সদস্য।’ আগামী সপ্তাহেই হাসপাতালটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টাফটন আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্পেন, কানাডা ও ভারতের সহায়তায় আরও কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হবে।
কোহলিকে পিছনে ফেললেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়

কোহলিকে পিছনে ফেললেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি২০তে ৪ উইকেটে জয়ী হয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ভারতীয় সুপারস্টার বিরাট কোহলির টি২০ রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ড়েছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৪৭ বলে ম্যাচ জয়ী ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। এর মধ্যে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। এর মাধ্যমে টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪০টি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন বাবর। কোহলি করেছিলেন ৩৯টি। এই তালিকায় ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি করেন চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জয়ের জন্য ১৪০ রানে টার্গেট পায়। বাবরের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৬ বল বাকি থাকতে পাকিস্তান সহজ জয় নিশ্চিত করে। এর আগে ছয় বল খেলে শুন্য রানে ওপেনার সাইম আইয়ুব বিদায় নিলে পাকিস্তান শুরুতে ধাক্কা খায়। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও শাহিবজাদা ফারহান মিলে ৩৬ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তুলেন। ফারহান ১৮ বলে ১৯ রান করেন। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক সালমান আলি আগার সাথে ৭৬ রানের ম্যাচ জয়ী জুটি গড়ে তুলেন বাবর। আগা ২৬ বলে দ্রুত ৩৩ রান সংগ্রহ করেন। ১৩৩ রানে ৬ উইকেটে পতনের পর ফাহিম আশরাফ ও উসমান খাজা পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। এর আগে টসজয়ী পাকিস্তান প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শাহীন শাহ আফ্রিদী ও সালমান মির্জার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে থেমে যায়। আফ্রিদী ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সালমান ১ উইকেট নিলেও চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৬। প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনড্রিকস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। আগামী ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর ফয়সালাবাদে দুই দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে।
সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলতে, সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনাগুলোতে মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে, বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রীন বিল্ডিংবিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, শুধু রঙ বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রীন বিল্ডিং’ হবে না। এতে পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ-সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তিনি ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশে বিভিন্ন ক্যান্সার রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারজনিত ও স্তন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ এখন দেশের মানুষের প্রাণহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ সম্ভব। আজ শনিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর তো হান চংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর তো হান চং, সিংহেলথ ডিউকুএনইউএস গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয়া রাও এবং সিংহেলথ ও এডিনবারা ন্যাপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ কালউইন্ডার কউর। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে অ-সংক্রামক রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর পথ। প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই রোগগুলো সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ক্যান্সার বা হৃদরোগের চিকিৎসা অনেক সময় নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য।’ বৈঠকে প্রফেসর তো হান চং বলেন, ফ্যাটি লিভার এখন দক্ষিণ এশিয়ার শত কোটি মানুষের শরীরে নীরবে বাসা বাঁধছে, যা ভবিষ্যতে লিভার ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। ‘এই রোগ নিয়ে আরও বড় পরিসরে সচেতনতা জরুরি’ বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ কর্মসূচি আরো বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালন করা হয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. শাহাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শামশুন নাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মমতাজ বেগম, মক্কা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক গোলাম ফারুক এবং ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী মোমেনা খাতুন। সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া। বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একইভাবে মরণোত্তর চক্ষুদান দৃষ্টিহীনদের চোখে আলো ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই সমাজের সুস্থ ও সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। পরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি ও র্যাবের পৃথক অভিযানে মদ ও গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

বিজিবি ও র্যাবের পৃথক অভিযানে মদ ও গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৯ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।অন্যদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা ভাবুক গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আলিম, আমনুরা ধীনাগুড় এলাকার মৃত একরামুল হোসেনের ছেলে সাবিরুল, এবং রাজশাহীর দামকুড়া থানার ফাত্তাপাড়া দুর্বামোড় এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের একটি আমবাগানে চাঁনশিকারী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে ৮৯ বোতল মদ উদ্ধার করে।এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দ মদ ভোলাহাট থানায় জমা করা হয়। এদিকে র্যাব-৫-এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে গোদাগাড়ীর বড় নারায়নপুর সৌদি মার্কেটের সামনের পাকা সড়কে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে ১৫ কেজি গাঁজাসহ আলিম, সাবিরুল ও মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।