নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন

নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। আকস্মিক এ ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনে দেখা দিয়েছিল বিস্ময় ও ক্ষোভ। তবে মাত্র দুই দিন পরই জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন ফারিয়া। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। এরপর প্রায় চার মাস তিনি এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি। অবশেষে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিনের পর গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী।নিউইয়র্কভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর বিশেষ অনুষ্ঠান ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান-এ ফারিয়া বলেন, ‘এ রকম কিছু হবে আশা করিনি। কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। যার জীবন স্কিন কেয়ার, মেকআপ, একটু ঘোরাফেরা, শপিং করা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ভালো খেতে যাওয়া, এই ছোট ছোট জিনিস নিয়ে যে খুশি তার জীবনে এত জটিলতা! কী করবো না করবো এগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করতে হয় তখন ভীষণ হতাশ হই। এরপর ফারিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাকেই বড় হওয়া বলে। পরিস্থিতি মানুষকে বড় করে। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাতে আমি অবশ্যই মানসিকভাবে বড় হয়েছি। এবং ওইটার (গ্রেফতার) পর এটা আমার প্রথম সাক্ষাতকার। আমি কোথাও কথা বলিনি। এমন না যে আমি কথা বলতে চাইনি। আমি এখনো কথার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কারো সঙ্গে হতে পারত। অনেকের সঙ্গেই হয়তো বা হচ্ছে, হবে। আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে আমি ভাগ্যবান। আমার কাজের মাধ্যমে গোটা দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের দোয়া ভালোবাসার কারণে আমি আজকে আপনার (জায়েদ খান) সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন তাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসার কারণে কঠিন সময় পার করতে পেরেছি। হত্যা মামলায় জামিনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে নুসরাত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তার (গ্রেফতার) ঠিক ১০-১৫ দিন পর থেকে আমি আবার কাজ করা শুরু করেছি। তবে পুরো ঘটনাটা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। জীবন খুবই অস্থায়ী, অনিশ্চয়তা ভরা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। এ জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে পৃথিবীর কোনো খারাপ শক্তি তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না। তোমাকে বিপদের সম্মুখীন করবে কিন্তু সেই বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তা নিজেই তোমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবেন। এটা আমার জীবন থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সবশেষে দর্শক, সংবাদকর্মী এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, তারা যেভাবে একসাথে হয়ে আমার জন্য কথা বলেছেন। আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, জন্মের পর থেকে এখন অবধি যাদের চিনি প্রত্যেকটা মানুষ আমার জন্য কথা বলেছেন, কেঁদেছেন। শিল্পী নুসরাত ফারিয়া হিসেবে আমার মনে হয় না এর থেকে বড় অর্জন পাওয়ার আছে।

ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে

ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে লালন সংগীতের মধ্য দিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। পেয়েছিলেন লাখো ভক্ত শ্রোতার ভালোবাসা।জন্ম নাটোরে হলেও এই শিল্পীর শৈশব-কৈশোরের অনেকটা সময়ই কেটেছে কুষ্টিয়ায়। এছাড়াও লালনের গান করায় শিল্পীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শহরটিতে। যেখানে যেতেন, প্রাণ ভরে স্বস্তির সময় কাটাতেন। রোববার ১৪ সেপ্টেস্বর শেষবারের মতো ফরিদা পারভীন যাচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তবে আগের যাওয়া আর আজকের যাওয়ার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক! হ্যাঁ, নিথর দেহে শেষবারের মতো কুষ্টিয়ায় যাচ্ছেন তিনি। লাশবাহী গাড়িতে চড়ে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে রওনা হয়েছেন এই শিল্পী। সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ও কিছু আত্মীয়-স্বজন। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টায় প্রয়াত হন দেশের কিংবদন্তী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। এরপর হাসপাতালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছের বিষয়ে তার সন্তানরা বলেছিলেন, ‘আম্মার ইচ্ছে ছিল নানা-নানীর কবরে শায়িত হবেন। এছাড়া যখন আম্মা মাঝে চলাফেরা করতে পারতেন তখন উনি কুষ্টিয়া যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কুষ্টিয়াতে নিয়ে যেতে পারি নাই। এছাড়া তার কোনও উইশ ছিল না। শিল্পীর ইচ্ছে অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে শায়িত করা হবে। তবে তার আরেক ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল, জীবদ্দশায় শেষবার যাওয়া হয়নি সেখানে, যাচ্ছে তার নিথর দেহ। এর আগে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় বিলম্ব করে দুপুর ১২টার পর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় শিল্পীর মরদেহ। এদিন মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন অগুণতি মানুষ। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়িতে করে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় পথে রওনা হয়েছে। ফরিদা পারভীনের মরদেহ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। প্রসঙ্গত, ফরিদা পারভীন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল সপ্তাহে দুদিন করে। তবে মাঝেমধ্যে অবস্থার অবনতি হত তার। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ গেল ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না তাকে।  

মাহি আইটেম গানে

মাহি আইটেম গানে কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা না পেয়ে বিরহের আগুনে পুড়ছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ভালোবাসার মানুষ তাকে ভালোবাসা না দিয়েই চলে গেছেন দূরে। এমনই কিছু কথা নিয়ে মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র প্রথম পর্বে একটি আইটেম গানে দেখা যাবে মাহিকে। সিরিয়ালে তার চরিত্র ঢাকাই সিনেমার ব্যস্ত নায়িকা তিতলি মির্জা! দীপ্ত টিভিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারিত হবে ‘খুশবু’, সেখানেই এমন চরিত্রে আইটেম গানের শুটিংয়ে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। জীবনের কঠিন মুহূর্তে গ্রাম থেকে শহরে আসা এক তরুণীর নানা সংগ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই মেগাসিরিয়ালের গল্প। নানা পেশার মানুষের জটিল জীবন গল্পের ভিড়ে অনেকটাই অজানা থেকে যায় গার্মেন্টসকর্মী নারীদের কথা। এবার তাদের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা ও ঘৃণার দিকগুলো উন্মোচিত হবে টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে। এর পাশাপাশি ‘খুশবু’তে থাকছে রুপালি পর্দার আড়ালে থাকা সিনেমার মানুষদের গল্পও। সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় ‘খুশবু’ নাটকে ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, ইন্তেখাব দিনার, নাজিয়া হক অর্ষা, মাইমুনা ফেরদৌস মমসহ আরো অভিজ্ঞ অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে দেখা যাবে সামিরা খান মাহিকেও। এর নাম ভূমিকায় দীপ্ত স্টার হান্ট বিজয়ী মিষ্টি ঘোষ ছাড়াও ‘খুশবু’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকছে আরেক বিজয়ী সাকিব হোসাইন, টপ পারফর্মার সায়র নিয়োগী, শেখ ফারিয়া হোসেন ও মারিয়া মউ। কাজী মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ‘খুশবু’র গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও আসফিদুল হক, সংলাপ লিখেছেন মারুফ হাসান। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ও রাত সাড়ে ১০টায় দীপ্ত টিভি ও দীপ্ত টিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে দেখা যাবে ‘খুশবু’।

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয় দেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রবিবার বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামে। আজ মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশ- বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও চীনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসাম রাজ্যে।

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫ মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শনিবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইউকাতান অঙ্গরাজ্যের সিকিউরিটি সেক্রেটারিয়েট জানিয়েছে, মেরিদা ও কামপেচে শহরের মধ্যবর্তী মহাসড়কে একটি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে গিয়ে একটি গাড়ি ও নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী একটি ট্রাকে আঘাত হানে। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানায়, ঘটনাস্থলেই ১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাকচালকও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। মেক্সিকো সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এক সপ্তাহেরও কম সময়ে দেশটিতে বড় ধরনের প্রাণহানীর এটি তৃতীয় সড়ক দুর্ঘটনা। গত সোমবার মধ্য মেক্সিকোতে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি ডাবল-ডেকার বাসের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত ও ৪১ জন আহত হন। দুই দিন পর, প্রায় ৫০ হাজার লিটার গ্যাস বহনকারী একটি ট্রাক মেক্সিকো সিটিতে উল্টে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও বহু মানুষ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন বলে শনিবার হালনাগাদ করা এক হিসাবে জানানো হয়েছে।

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস

ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধের দাবি ট্রাম্পের

ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধের দাবি ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে, শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সব মিত্রকে রাশিয়ার তেল কেনা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সম্মত হতে হবে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে ন্যাটো মিত্রদের চীনের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে জানান, সব ন্যাটো দেশ যখন একমত হবে ও একই পদক্ষেপ নেবে এবং যখন ন্যাটো’র সব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, তখন আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। গত সপ্তাহে মস্কো বাহিনী ইউক্রেনে বড় ধরনের বিমান হামলা চালানোর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। হুমকি দিলেও মস্কোর বিরুদ্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে কিয়েভ। গত মাসে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর তেল ক্রয়ের বিষয়টি ক্রেমলিনের সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ট্রাম্প বলেছেন, যাইহোক, আপনারা যখন এগিয়ে আসবেন তখন আমিও প্রস্তুত থাকবো। শুধু বলুন, সময়টা কখন?

ডিগ্রি ৩য় বর্ষের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকবে অতিরিক্ত সময় 

ডিগ্রি ৩য় বর্ষের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকবে অতিরিক্ত সময়  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত শর্তে এ সুবিধা দেওয়া হবে। আজ রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থী থাকলে, নির্ধারিত শর্তে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। শর্তগুলো হলো-সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিবন্ধী সনদ থাকতে হবে, পরীক্ষা শুরুর আগে অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করে পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। তারুণ্যের শক্তিকে ধারণ করে আমাদের যুবসমাজ রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ রোববার ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিষ্ঠা, সাহস, সৃজনশীলতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে জাতি গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তারুণ্যের এই আত্মনিবেদন আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’ এ বছর ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ সামাজিক উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ ও যুবরা প্রতিনিয়ত সক্রিয় অংশগ্রহণ ও স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি সমাজ পরিবর্তনের এই অগ্রদূতদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বহুমুখী সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সফল বাস্তবায়নে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং দেশ গঠনে আরও নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।’

সাইবার স্পেসে জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা দণ্ডনীয় অপরাধ

সাইবার স্পেসে জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা দণ্ডনীয় অপরাধ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা, জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যক্রমকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী— যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল বা অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা করেন বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার অপরাধে অপরাধী হিসেবে পরিগণিত হবে। এ অপরাধে সে ব্যক্তি অনধিক ২ (দুই) বছর কারাদণ্ডে, অথবা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। পাশাপাশি, যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহার করে জালিয়াতি করে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে সে অনধিক ২ বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আবার যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে, তাহলে ওই ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। ইতোমধ্যেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে। এই অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।