চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা জেলা আইনজীবী সমিতির

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা জেলা আইনজীবী সমিতির বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি মাহমুদ হাসানকে সংবর্ধনা দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে তাঁদেরকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খন্দকার হায়দার আলী, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট. মো. আবদুল ওদুদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম কবির ও সোলাইমান বিশু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম কনক। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর বলেছেন, জনগণই এই রাষ্ট্রের মালিক, আমি সাংবিধানিক আদালতের বিচারক। জেলা জজরা বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীন বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। সাংবিধানিক ও আইনগত কাঠামোর মধ্যে দিয়ে আমাদের চলতে হয়। জনগণের দেয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করবার কোনো রকম অধিকার একজন বিচারকের নেই। আমি যদি শপথ ভঙ্গ করি আমি যদি সংবিধান ভঙ্গ করি তাহলে ওই চেয়ারে বসে থাকতে পারি না। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও পেশাজীবী আইনজীবীদের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি বলেন, “জেলা পর্যায়ে আইনজীবী সমাজ দেশের বিচারব্যবস্থার ভিত্তি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে বিচারক ও আইনজীবীদের আন্তরিকতা ও সততার কোনো বিকল্প নেই।” সংবর্ধনা শেষে বিচারপতিরা আইনজীবীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সমিতির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো নুরুল ইসলাম সেন্টু, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -১ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. ময়েজ উদ্দিনসহ জেলা জজ আদালতের ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকগণ, সিনিয়র ও নবীন আইনজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নাচোলে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে

নাচোলে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিংসহ নানাবিধ সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার সকাল ১১টার দিকে নাচোল থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) হাসান তারেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকলের অভিযোগ নাচোল উপজেলার সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। তিনি বলেন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদক, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজি, চুরি এবং অন্যান্য সকল সামাজিক অপরাধ নির্মূলে সামাজিক আন্দোলনে অংশীদার হতে হবে। তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ যারা আছে তারা গ্রামের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকে। তারা বিভিন্ন সমস্যা অপরাধের তথ্য পুলিশকে দিলে পুলিশের কাজ অনেক সহজ হয়। একটি সমাজ পুলিশ ছাড়া ভালো থাকতে পারে না। পুলিশ একটি বাহিনী কেউ যদি অন্যায় করে কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের দায় সমস্ত পুলিশ বাহিনী নিবেনা। তারেক হাসান বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হয়। অনেক সদস্যের অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল হতে পারে। আমার দরজা সব সময় খোলা। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিং বন্ধ করা সম্ভব নয়, কাজেই লন—অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এজন্য প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো অপরাধ চোখে পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সূচনা বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়, বন্ধু, পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে সঠিক সেবা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক হয়ে সব সময় পাশে থেকে কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও দায়িত্ব মাদক, ইভটিজিং ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। মাদকের সঙ্গে কোন আপোষ নেই মাদক বিক্রেতা ও সেবন কারিসহ যে কোনো অপরাধীর ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান তিনি। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নাচোল উপজেলা শাখার আমীর প্রভাষক ইয়াকুব আলী ও সেক্রেটারি মাওলানা মোবারক আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের, পৌর জামায়াতের আমীর মনিরুল ইসলাম, নাচোল সদর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ওসি তদন্ত এস এম নূরুল কাদির সৈকত। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে একজনকে বার বছর কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে একজনকে বার বছর কারাদণ্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে মো. আল আমিন নামে একজনকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তি জেলার সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাইমহেষপুর গোরস্থানপাড়ার মো. আকালু শেখে ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল ওদুদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে মো. আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেহ তল্লাশী করে একটি লোহার তৈরি পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটারগান, দুইটি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের এসআই আকরামুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় আস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শাহরিয়ার পারভেজ তদন্ত শেষে একই বছর ৫ সেপ্টেম্বর মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব।’ আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে তিনি এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এল, আমি নিশ্চিত ছিলাম না—এটা টিকবে কি না। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কমিশনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও অনুসরণ করবে। ‘এটা শুধু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে না, সারা দুনিয়া লক্ষ্য করবে আমরা কিভাবে সমস্যার সমাধান করলাম।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। ‘যে পথে আমরা শুরু করেছি, সেই পথ থেকে বের হবার কোনো সুযোগ নেই। এই সমতায় আমাদের আসতেই হবে। এটাই ছাত্র-জনতার দেওয়া সুযোগ, যেখান থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি—ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি। এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতি সত্যিকার নবজন্ম হবে—এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজন্ম। এই যে এত ত্যাগ, এত রক্ত—এগুলো সার্থক হবে যদি আমরা এই নবজন্মটা লাভ করতে পারি।’ তিনি সতর্ক করে দেন, বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই। ‘আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত রেখে সমাপ্ত করতে পারব না। যখন ঐকমত্যে পৌঁছাবো, তখনই নির্বাচন সার্থক হবে।’ অধ্যাপক ইউনূস উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন আলাদিনের প্রদীপের মতো সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সেই শক্তি এনে দিয়েছে। আমরা চাইলে ছোটখাটো বিষয় চাইতে পারি, আবার চাইলে পুরো জাতিকে নতুনভাবে গড়তে পারি। এই সুযোগ একবারই এসেছে, আর আসবে না।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ‘এত বড় কাজ আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে আমাদের এগোতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো—কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মহোৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি। পথ ঠিক আছে, গন্তব্য পরিষ্কার। এই নির্বাচন হবে উৎসবের নির্বাচন, দেশের শান্তি ও নতুন যাত্রার সূচনা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করা—যাতে কোনো স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে। এজন্য সবাইকে একমত হতে হবে।’ কমিশনের কাজকে তিনি অভূতপূর্ব অর্জন বলে অভিহিত করেন। কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছেন। এখন শুধু এটিকে নিখুঁতভাবে সমাপ্ত করা দরকার। এর মধ্য দিয়েই নতুন জাতির জন্ম ঘটবে।’ তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দ্শ্যে করে বলেন, ‘এবার আমাদের ব্যর্থ হবার কোনো সুযোগ নেই। ঐকমত্যের এই পথেই আমরা এগোবো, নির্বাচন সফল করব এবং জাতি হিসেবে মহাউৎসবের যাত্রা শুরু করব।’ এসময় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার।
বারঘরিয়ায় ইয়াবা ও গাঁজাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার

বারঘরিয়ায় ইয়াবা ও গাঁজাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় র্যাবের অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৯০০ গ্রাম গাঁজাসহ মো: ইব্রাহীম(২২) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে। র্যাব জানায়, রোববার (১৪ সপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বারঘরিয়া বাজার এলাকা থেকে ওইসব মাদকসহ গ্রেপ্তার হন ইব্রাহীম। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বারঘরিয়া বাজারে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবা ও ৯০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন ইব্রাহীম। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
সদর উপজেলার পলশায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতি প্রসারে প্রশিক্ষণ

সদর উপজেলার পলশায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতি প্রসারে প্রশিক্ষণ বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় খরা সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে সদর উপজেলার পলশায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাই-পলশায় অবস্থিত রেডিও মহানন্দার অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাঈম উদ্দিন সরকার, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরামুল হক ও প্রকল্পের কৃষিবিদ ফয়জুল হক। কর্মশালায় বরেন্দ্র অঞ্চলের বাস্তব জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিট-০১ এর ব্যবস্থাপক ওজিউর রহমান, প্রকল্পের সিএমও সিভিল ওবাইদুল বারী সহ অন্যরা। এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাউট (ইসিসিসিপি-ড্রাউট) প্রকল্পের আওতায়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ ও গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড জিসিএফ-এর সহযোগিতায় কর্মশালার আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। প্রশিক্ষণে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের সিসিএজি সদস্য এবং স্থানীয় কৃষকগণ অংশ নেন। কর্মশালায় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, টেকসই কৃষি অনুশীলন ও খরা সহনশীল কৃষি কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা হয়। একইসাথে খরা সহিষ্ণু ফল ও ফসল নির্বাচন, বসতবাড়ির উঠানবাগান তৈরি, ভার্মিকম্পোস্ট প্রস্তুত এবং পানি সংরক্ষণ কৌশল নিয়ে হাতে-কলমে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপে আজ মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই মহারণ। পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৩ বার। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১০ ম্যাচে, আর পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ৩ ম্যাচে। আজকের ম্যাচ তাই শুধু পয়েন্ট টেবিলের লড়াই নয়, বরং মর্যাদা রক্ষারও লড়াই। এবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে আবহ আগের তুলনায় বেশি উত্তেজিত। ইতোমধ্যেই দু’দলই বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে। ফলে দু’দল সমান তালে মাঠে নামবে, যেখানে আবেগের চাপ আরও প্রবল হয়ে উঠবে। ম্যাচ ঘিরে রাজনীতি, শোক, প্রতিবাদ আর প্রতিপক্ষকে খোঁচা-সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মাঠের ক্রিকেট হয়তো কখনোই আলাদা করে দেখা যাবে না। তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা চান, অন্তত খেলার ভেতরে থাকুক লড়াই, বাইরে নয়।
নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা

নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। এ নাম ঘোষণা হতেই আবারও আলোচনায় বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী মালা সিনহা। কারণ, অনেক বছর আগে সুশীলার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি মালা সিনহাকে বহন করা বিমান ছিনতাই করেছিলেন! ১৯৭৩ সালের ১০ জুন। বিরাটনগর থেকে কাঠমান্ডুর পথে উড়ছিল রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইনসের একটি কানাডায় নির্মিত ১৯ আসনের টুইন অটার বিমান। বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বলিউড তারকা মালা সিনহা ও তার স্বামী, নেপালি অভিনেতা সি পি লোহানি।বিমানের ককপিট দখল করেন নেপালি কংগ্রেসের তিন তরুণ কর্মী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি, নাগেন্দ্র ধুঙ্গেল ও বসন্ত ভট্টরাই। পুরো পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন গিরিজা প্রসাদ কৌরালা, যিনি পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সুবেদি ছিলেন কৌরালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই ছিনতাইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্রবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য অর্থ জোগাড় করা। বিমানে সরকারের ৩০ লাখ রুপি বহন করা হচ্ছিল। ক্রুর সঙ্গে অল্প সময়ের টানাপোড়েন শেষে ছিনতাইকারীরা বিমানের পাইলটকে বাধ্য করেন ভারতের বিহারের ফরবিশগঞ্জে ঘাসের মাঠে নামাতে। সেখানে আগেই অপেক্ষা করছিলেন আরও পাঁচ সহযোগী, তাদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুশীল কৌরালা। ছিনতাইকারীরা বিমানের ভেতর থেকে নগদ টাকাভর্তি তিনটি বাক্স নামিয়ে নেন। এরপর অন্য যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি আবার উড্ডয়ন করে। টাকা ট্রাকে করে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সুশীলা ভারতে পড়াশোনার সময়ই বারানসির বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএইচইউ) দুর্গা সুবেদির সঙ্গে পরিচিত হন। সুবেদির সেই অতীত এখন আবার আলোচনায়।
মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে খরচ ৭৯ হাজার হলেও আদায় করে ৫ লাখ: দুদকের মামলা
মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে খরচ ৭৯ হাজার হলেও আদায় করে ৫ লাখ: দুদকের মামলা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে জনপ্রতি প্রায় ৭৯ হাজার টাকা খরচ হলেও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আদায় করে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এভাবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের তথ্য বলছে, সরকারি নির্ধারিত প্রায় ৭৯ হাজার টাকার বদলে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে বায়রার সিন্ডিকেটভুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সাড়ে চার লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালে ১৩টি এজেন্সি প্রায় ১২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, আসামিরা বায়রার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে সিন্ডিকেট করে রেজিস্ট্রেশনের শর্ত ভঙ্গ করেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ৫ গুণ বেশি অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হয়। তারা অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও পাচার করেছেন। এতে কর্মীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫(ক), ৪২০ ও ৪০৯ ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। রাজধানীর ফকিরাপুলে অবস্থিত আকাশ ভ্রমণ লিমিটেড রিক্রেুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে মিলেছে ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের থেকে আত্মসাতের প্রমাণ। এমন একাধিক এজেন্সির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর আগে গত ১২ মার্চ মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে ১১২৮ কোটি ৬১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রতিষ্ঠানসহ ১২টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেখানে ওভারসিজ কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১২৮ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১২ পৃথক মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আজকের মামলা মিলে মোট ২৫টি পৃথক মামলা হয়েছে। যার মধ্যে আসামি ৬৪ জন ও মোট আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ২৮৮ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। সূত্র: সময় টিভি
কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন

কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন নতুন করে আলোচনায় এলেন ভারতের গোয়ালিয়রের তরুণ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার তানিয়া মিত্তাল। মহাকুম্ভ সফরের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হন তিনি। এবার বলিউড অভিনেতা সালমান খানের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এ অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার প্রশংসার চেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এসেছেন এই উঠতি তারকা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিগ বসের মঞ্চে এসে তানিয়া মিত্তাল জানান, তার রয়েছে ২৬ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি এবং তার অধীনে কাজ করেন প্রায় ৮০০ কর্মী। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অসংখ্য দেহরক্ষী। নিজেকে একজন কোটিপতি বলেও দাবি করেন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো তার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি একেবারেই ভিন্ন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নিউস্কুপ-কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তানিয়া জানিয়েছিলেন, বেকার পুরুষকেও বিয়ে করতে তার আপত্তি নেই। এমনকি স্বামীর জন্য রান্না করা কিংবা তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও রাজি তিনি। সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না আদর্শ সঙ্গী আদৌ এই পৃথিবীতে আছেন কিনা। তবে যদি থাকেন, তিনি বেকার হলেও সমস্যা নেই। আমি প্রকাশ্যে তার পা ছুঁতে রাজি। আমার বিশ্বাস, সম্পর্কে বড়-ছোট বলে কিছু নেই। নিজেকে ‘হতাশ প্রেমিকা’ আখ্যা দিয়ে তানিয়া তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা স্মরণ করেন। তার কথায়, ‘আমি এমনই ছিলাম যে আমার বয়ফ্রেন্ড খাওয়া শেষ করলে তার হাত মুছিয়ে দেওয়ার জন্য গরম তোয়ালে এনে দিতাম। আমি জানি, বিয়ের পর আমার স্বামীর ক্ষেত্রেও একইভাবে করব। আমি চাই, তিনি যেন নিজেকে রাজা মনে করেন। তার কাছে বিয়েতে ধনী স্বামীর খোঁজ করাটা কোনও অগ্রাধিকার নয়। এ বিষয়ে তানিয়ার ব্যাখ্যা, ‘আমার তিনটি কারখানা আছে। আমি এমন কাউকে চাই না, যে আমার জন্য রোজগার করবে। বরং আমি মনে করি, পুরুষরা চায় সংসারে নিশ্চিন্ত থাকতে। তাই আমি রোজগারও করব, আবার স্বামীর জন্য রান্নাও করব। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরের সব কাজ জানি। আমার মতে, নারীবাদের নামে আমরা স্বামীদের ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছি, যা একদমই ঠিক নয়। দেবী সীতাও তো ভগবান রামের চরণ ছুঁয়েছিলেন।একই সাক্ষাৎকারে তানিয়া আরও জানিয়েছেন, জীবনের একটা সময় তিনি সত্যিই ধনী মানুষকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, যিনি ছিলেন আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। তার ভাষ্যে, ‘আমি ভেবেছিলাম, যদি আমার ব্যবসা না চলে তবে তাকেই বিয়ে করব। কিন্তু এর আগেই তিনি সম্পর্ক ভেঙে দেন। তার মতে, আমি নাকি সুন্দর নই।