সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন

সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে। চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি। কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।
ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচন মার্চে

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচন মার্চে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সুশীলা কার্কির পা ধরে আশীর্বাদ নেন নেপালের জেন-জি বিপ্লবের নায়ক সুদান গুরুং। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ হলো ২০২৬ সালের ৫ মার্চ। গতকাল রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তার নেতৃত্বে ছোট মন্ত্রিসভার একটি সরকার গঠিত হয়েছে। এটির মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে শপথ নেন সুশীলা। এরআগে নেপালের জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত হয়। এরমাধ্যমে তিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর ক্ষোভে ফেনে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন কেপি শর্মা অলি। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে। সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। বিচারক থাকাকালীন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এ কারণে জেন-জির কাছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একবার ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেছিলেন, ভারত নেপালকে অনেক সহায়তা করেছে।
পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১২ সৈন্য নিহত

পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১২ সৈন্য নিহত পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের জঙ্গিদের হামলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১২ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ ভোরের দিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের প্রত্যন্ত এক এলাকায় সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়িবহর নিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম বাদার এলাকায় পৌঁছানোর পর সেখানে হামলার শিকার হন। এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, তীব্র গোলাগুলির পর সংঘর্ষে অন্তত ১২ সৈন্য ও ১৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানি তালেবান। গোষ্ঠীটি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ড্রোন লুট করার দাবিও করেছে। ইসলামাবাদ বলছে, নিষিদ্ধঘোষিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীটির ঘাঁটি আফগানিস্তানে অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ভোরের দিকে হওয়া এই হামলার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়োজাহাজ টহল দিয়েছে। এছাড়া হামলায় আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। সাধারণত পাকিস্তানের ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িবহর চলাচলের আগে কারফিউ জারি করা হয়। জঙ্গিদের সক্রিয় অবস্থান থাকায় স্থানীয় প্রশাসন প্রায়ই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে বলেছে, পাকিস্তানি তালেবানকে আফগান তালেবান প্রশাসন ভারতের সমর্থনে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল ও নয়াদিল্লি উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের তালেবানের অনুসারী।২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানি তালেবান দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা বৃদ্ধি করেছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, আফগান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না বলে প্রত্যাশা করছে ইসলামাবাদ।
লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন?

লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন? প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। মুখে রুচি না থাকলে কিংবা কোনো খাবার খেতে খুব একটা ভালো না লাগলে তার সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে স্বাদই পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সাধারণ সাইট্রাস ফলটি কেবল কেবল স্বাদই যোগ করে না, রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। টক স্বাদের লেবু আপনার শরীরের জন্য অনেক মিষ্টি সুফল নিয়ে আসতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ২০২৪ সালের গবেষণা অনুসারে, লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত লেবু খেলে তা শরীরকে মৌসুমী সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করতে এবং শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ২. হজমে সহায়তা করে : লেবুর রস হজম রসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা পেটের জন্য খাবার ভেঙে ফেলা সহজ করে তোলে। নিয়মিত খেলে এটি পেটফাঁপা কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করে। ৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে : ২০০৮ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ লেবু ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় একটি শক্তিশালী সংযোজন। এর প্রাকৃতিক যৌগ পেট ভরা রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। ৪. হাইড্রেটেড রাখে : পানি বা খাবারে লেবু যোগ করলে এর সতেজ স্বাদের জন্য আরও ভালো হাইড্রেশন উৎসাহিত করা যায়। হাইড্রেটেড থাকা বিপাক, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাইড্রেটেড থাকা সহজ হয়। ৫. প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফাই করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। এটি টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, ত্বক পরিষ্কার করে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। শরীর ভেতর থেকে সতেজ করতে চাইলে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে যেকোনো কাজের পরিবেশে, শ্রেণীকক্ষে অথবা কর্মক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে দেখা হয়, যারা এমন এক আভা বিকিরণ করে যা দেখে সবাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এটা এই কারণে নয় যে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে, অথবা তারা নিজেদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলে। এর কারণ হলো তারা সব সময় কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চলে। তাদের প্রভাব চটকদার প্রদর্শন থেকে আসে না, বরং দিনের পর দিন ধরে রাখা ছোট ছোট কিছু অভ্যাস থেকে আসে। এই ব্যক্তিরা জোর না করেই বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জন করে, অন্যদের তা করতে বাধ্য না করে অনুপ্রাণিত করে এবং অনেকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। ভাগ্য বা প্রতিভা তাদের আলাদা করে তোলে না, বরং নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস তাদের এই জায়গায় পৌঁছে দেয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা : এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারও প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না। ভুল না করে ভুল স্বীকার করা : মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে। ক্রেডিট শেয়ার : অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া : অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।
অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন

অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। আজ দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।” ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ— সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে।” চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।
এশিয়া কাপে আজ রাতে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা পরীক্ষা

এশিয়া কাপে আজ রাতে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা পরীক্ষা অবশেষে এলো আসল লড়াইয়ের দিন। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। এশিয়া কাপের এবারের আসরের প্রথম দিকটা হয়েছে প্রত্যাশামতো। ভারত, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহজ জয় তুলে নিয়েছে। আর পাকিস্তানও এড়িয়েছে অঘটন। তবে আজকের লড়াইটা ভিন্ন রঙের। দুই দলই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমানতালে লড়াই করেছে। শেষ ১০ বছরে ১৬টি ম্যাচে দুই দল জিতেছে সমান ৮ বার করে। সাম্প্রতিক ইতিহাস বাংলাদেশের পক্ষে: গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তার আগে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ডালাসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে টাইগাররা। ঐ ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই আঘাত হেনেছিল এবং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছিল। লঙ্কানরা এবার আশা করছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ভালো করবে, যদিও মাত্র দুই সপ্তাহ আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ৮০ রানে। বাংলাদেশের বাড়তি সুবিধা হলো- তারা ইতোমধ্যেই এই ভেন্যুতে খেলেছে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় ছিল প্রায় নিখুঁত প্রদর্শনী। ফাস্ট বোলাররা উইকেট শিকার করেছে। ব্যাটসম্যানরা সহজেই রান তাড়া করেছে। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও নিয়েছেন উইকেট। যিনি লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন। তিন ম্যাচে মাত্র ৫.৪৭ ইকোনমি রেটে বল করেছেন। শ্রীলঙ্কার নতুন শুরু: শ্রীলঙ্কা সিরিজ হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেমেছে। মাসের শুরুতে জিম্বাবুয়েকে ২-১ ব্যবধানে হারালেও তাদের ধারাবাহিকতার অভাব বড় সমস্যা। আসালঙ্কার নেতৃত্বাধীন দল অনেকটাই নির্ভর করছে স্পিন জুটি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহিশ থিকশানার ওপর। গ্রুপ অব ডেথের চাপ: এই গ্রুপে আফগানিস্তানও আছে। মানে প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াই। আজ যে দল হারবে, তাদের জন্য সুপার ফোরের পথ হবে কঠিন। বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অবশ্য আকাশচুম্বী। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এশিয়া কাপে হংকংকে হারিয়ে সেই ছন্দ অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার জন্য এটাই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। ভেন্যু ও পিচ: শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেটে রান ওঠে ভালোই। তবে ম্যাচ যত গড়ায়, স্পিনাররা প্রভাব ফেলতে পারে। পাওয়ার প্লে’র ওভারগুলোই নির্ধারণ করবে ম্যাচের গতি। নজর রাখার খেলোয়াড়: বাংলাদেশের হয়ে লিটন দাস দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে করেছেন ১৪৫ রান। এশিয়া কাপেও হংকংয়ের বিপক্ষে খেলেছেন ৩৯ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমন্ত চামিরা নজর কাড়তে পারেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন নতুন বলে কতটা কার্যকর। মাইলফলকের পথে: লিটন দাস ১১১ ম্যাচে করেছেন ২,৪৯৬ রান। মাত্র ৪ রান দূরে ২,৫০০ পূর্ণ করার থেকে। তাওহীদ হৃদয়ের চাই ৫৬ রান। তাহলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ১,০০০ রানের মাইলফলক। লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা আছেন ১,৯৫০ রানে। আর ৫০ রান করলে তিনিও ঢুকে পড়বেন দুই হাজারি ক্লাবে। বোলারদের মধ্যে হাসারাঙ্গার ঝুলিতে আছে ৭৯ ম্যাচে ১৩১ উইকেট। যেখানে চারবার নিয়েছেন চার উইকেট। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকার আলি আনিক, রিশাদ হোসেন, মাহেদি হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ: কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), পাথুম নিসাঙ্কা, কামিল মিশারা/নুয়ান থুশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুশমন্ত চামিরা ও মাথিশা পাথিরানা।
রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কারণে সুনামির ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আজ দেশটির কামচাটকা অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর রয়টার্সের। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)। অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং গভীরতা ৩৯.৫ কিলোমিটার (২৪.৫ মাইল)। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির বা মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ৩০ জুলাই কামচাটকাতে ৮.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত। এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
অবশেষে শেষ হলো জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা

অবশেষে শেষ হলো জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা টানা তিন দিন ধরে চলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আজ দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এ তথ্য জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই সময় পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ ব্যালট পেপার গোনার কাজ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণার জন্য কয়েক দফা সময় পেছায় নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন। ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ১১ সেপ্টেম্বর দিনভর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কয়েকটি হলে দীর্ঘ লাইন থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। পরে সেসব ব্যালট বাক্স হল থেকে সিনেট ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাত ১০টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাবি শিক্ষার্থীরা। তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা। নির্বাচনের দিন পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।