বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৪ বল হাতে রেখেই পূর্ণ করেছে টাইগাররা। যদিও সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলটি ডট হলেও পরের দুই বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো সূচনা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। আয়ুস শুক্লার করা দ্বিতীয় বলটিতে ড্রাইভ করে কাভারের ওপর দিয়ে চার মারেন ইমন। পরের বলেও ইন সাইড এজ হয়ে আরেকটি চার পেয়ে যান তিনি। তবে তৃতীয় ওভারে আয়ুসকে মারতে গিয়ে ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান ইমন। এরপর তানজিদ হাসান দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন। আতিক ইকবালের বলে মিড অফে ক্যাচ দেন তানজিদ। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস ৭০ বলে ৯৫ রানের একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ধরে রাখেন। যদিও লিটন ইনিংসের ১৮তম ওভারে ৩৯ বলে ৫৯ রান করে বোল্ড হয়ে যান। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং দলকে জয় এনে দেন। হংকংয়ের ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাতটি দেন তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিনি আনশুমান রাঠকে আউট করেন। পরে বাবর হায়াতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রতিরোধ গড়তে থাকলেও তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন। পাওয়ার প্লে শেষে হংকং ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। এরপর জিসান আলী ও নিজাকাত খান কিছুটা জুটি গড়ে রান বাড়াতে থাকেন। কিন্তু তানজিম সাকিবের পরবর্তী ওভারে জিসান ৩৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন। এরপর মুর্তজা ও নিজাকাত কিছুটা রান বাড়ান, তবে তারা দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না। ১৮তম ওভারে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান মুর্তজা, ২৮ রান করে। পরবর্তীতে নিজাকাত খান ৪২ রান (এক ছক্কা, দুই চারে) নিয়ে রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন। হংকং শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন, রিশাদ এবং তানজিম।

আম্পায়ার সাইমন টাফেল বাংলাদেশে আসছেন কাল

আম্পায়ার সাইমন টাফেল বাংলাদেশে আসছেন কাল বাংলাদেশি আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণের জন্য আগামীকাল ঢাকায় আসছেন আইসিসির সাবেক এলিট প্যানেল আম্পায়ার সাইমন টাফেল। টাফেলের সাথে দুই বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আম্পায়ারদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মান বাড়ানোর জন্য কাজ করবেন টাফেল। টানা ৫ বার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জিতেছেন টাফেল। ১৯৯৯ সালে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০০ সালে প্রথম টেস্ট আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন টাফেল। আইসিসির মেগা ইভেন্ট এবং অ্যাশেজের মতো জনপ্রিয় সিরিজের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন টাফেল। ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হওয়ার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে টাফেল উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া

আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া তারকাদের ছবি অনেক সময় অনেকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সম্প্রতি ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। দিল্লি উচ্চ আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘আগামীতে বিনা অনুমতিতে অভিনেত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অভিনেত্রীর ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। ’ জানা গেছে, ঐশ্বরিয়ার ছবি ব্যবহার করে অনেক উদ্যোক্তা কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ঐশ্বরিয়ার একাধিক ছবির স্বাভাবিকতা নষ্ট করে সেগুলো সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালতে ঐশ্বরিয়ার বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি তেজস করিয়া। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে এই ধরনের ঘটনা পুণরায় যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। ঐশ্বরিয়া রায়ের পক্ষে লড়েন আইনজীবী সন্দীপ শেঠি। আদালত জানিয়েছে, ‘ব্যবসার উদ্দেশ্যে ঐশ্বরিয়ার কোনো ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ঐশ্বরিয়ার সংক্ষিপ্ত নামও ব্যবহার করা যাবে না। ’

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, যিনি অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা। ভাটি বাংলার এ প্রাণপুরুষ বাউল গানের অনন্য এক কিংবদন্তি। আজ বাউলসঙ্গীতের এই পথিকৃতের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে অগণিত ভক্তকুলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম ইব্রাহীম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। বাউল সম্রাটের প্রেরণা তার স্ত্রী; যাকে তিনি আদর করে ‘সরলা’ নামে ডাকতেন। তিনি গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ-এর দর্শন থেকে। যদিও দারিদ্র তাকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তার শ্রম ব্যয় করতে কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন শাহ আবদুল করিম। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’, ‘তুমি রাখ কিবা মার’, ‘ঝিলঝিল ঝিলঝিল করেরে ময়ুরপংখী নাও’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’ এবং ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’ অন্যতম। এ পর্যন্ত বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা গানের ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো শাহ আবদুল করিমের জীবদ্দশায় তার জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘শাহ আবদুল করিম সংবর্ধন-গ্রন্থ’ (উৎস প্রকাশন) নামের এ বইটি সম্পাদনা করেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ। পরে শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এর আগে-পরে শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে সুমনকুমার দাশের ‘বাংলা মায়ের ছেলে : শাহ আবদুল করিম জীবনী’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘সাক্ষাৎকথায় শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন), ‘গণগীতিকার শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন) প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকার প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয় সুমন কুমার দশের ‘শাহ আবদুল করিম : জীবন ও গান’ বইটি। এ বইটি ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। এ বইটিতে করিমের নির্বাচিত বেশ কিছু গানও সংকলিত হয়েছে। বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এছাড়াও সুবচন নাট্য সংসদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছে শাকুর মজিদের লেখা নাটক ‘মহাজনের নাও’।

চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ, কেমন আছেন কারিশমা?

চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ, কেমন আছেন কারিশমা? চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অভিনেত্রী কারিশমা শর্মা। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার জেরে মাথায় চোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কেন হঠাৎ চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিলেন, সে কথা নিজেই জানালেন ‘পেয়ার কা পাঞ্চনামা ২’ অভিনেত্রী। সামাজিকমাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন কারিশমা। তিনি লেখেন, গতকাল, চার্চগেটের উদ্দেশে শুটের জন্য রওনা দিয়েছিলাম। শাড়ি পরে ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ট্রেনে উঠেও পড়েছিলাম। তার পরেই খেয়াল করি যে আমার বন্ধুরা উঠতে পারেনি। এ দিকে ততক্ষণে ট্রেনের গতি বেড়ে গেছে। ভয় পেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিই। দুর্ভাগ্যবশত চিত হয়ে পড়ি, মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত পাই। এই অভিনেত্রী জানান, তার শরীরে ক্ষত ভরে গেছে। পিঠে চোট পেয়েছেন, মাথা ফুলে গেছে। কারিশমা যোগ করেন, চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই করিয়েছি। একটা দিন নজরদারিতে রাখা হয়েছিল আমাকে, মাথার চোট কতটা গুরুতর পরীক্ষা করার জন্য। অনুরাগীদের কাছে নিজের দ্রুত আরোগ্য কামনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, গতকাল থেকে আমি খুব যন্ত্রণায় আছি। কিন্তু, শক্ত থাকার চেষ্টা করছি। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন, ভালোবাসা পাঠাবেন। ‘হোটেল মিলান’, ‘ফাঁসতে ফাঁসাতে’, ‘উজড়া চমন’, ‘এক ভিলেন রিটার্নস্‌’র মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমাতে অভিনয় করেছেন কারিশমা। তাকে দেখা গেছে একাধিক ওয়েব সিরিজ ও হিন্দি ধারাবাহিকেও।

আবারো বিপদে কপিল শর্মা

আবারো বিপদে কপিল শর্মা এইতো কিছুদিন আগে একদল দুর্বৃত্ত কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি চালায়। সেই দেশ থেকে কপিলকে ব্যবসা গোটানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। এবার ফের বিপদের মুখে তিনি। মুম্বাইয়েও শান্তি নেই তার। মুম্বাই নবনির্মাণ সেনার রোষানলের মুখে তারকা। সংগঠনটিরর দাবি, কপিল তার শো-তে মুম্বাইকে একাধিক বার ‘বম্বে’ অথবা ‘বোম্বাই’ বলে অভিহিত করেছেন। তাতেই ক্ষুব্ধ তারা। আবার যদি কপিল মুম্বাইয়ের নাম বিকৃত করেন তা হলে তার শো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা। নবনির্মাণ সেনার দাবি, ‘‘শহরটার নাম মুম্বাই। সেই নামেই ডাকুন। এটা আপত্তি নয়, এটা ভেতরের ক্ষোভ থেকে বলছি। যদি আপনি বেঙ্গালুরু, কলকাতা, চেন্নাইয়ের ক্ষেত্রে সঠিক উচ্চারণ করতে পারেন, তা হলে মুম্বাই নয় কেন!’’ওই সংগঠনটি এ-ও জানায়, যদি এটা কপিলের অজান্তে করা ভুল হয়, তবে তা যেন তিনি দ্রুত শুধরে নেন। নবনির্মাণ সেনার পক্ষ থেকে অময় খোপেকর বলেন, ‘‘মুম্বাইয়ে এক বছর ধরে কাজ করছেন। এটা আপনার কর্মভূমি। এখানকার মানুষ এত ভালবেসে আপনার অনুষ্ঠান দেখেন। সেই শহরকে, সেখানকার মানুষকে অপমান করছেন! আপনাকে শেষ বার বলছি, শুধরে যান কপিল শর্মা।’’ চলতি বছরের জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে কপিল শর্মা শোয়ের নতুন সিজন। তার পর থেকেই একের পর ফাঁড়া যাচ্ছে তার ওপর দিয়ে। যদিও নবনির্মাণ সেনার হুমকির প্রেক্ষিতে কপিলের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি মেলেনি।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান বন্যাবিধ্বস্ত ভারতের পাঞ্জাবের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। ‘কিং’ সিনেমার শুটিং কিংবা ছেলে আরিয়ান খানের প্রথম পরিচালিত সিরিজের প্রচারের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মীর ফাউন্ডেশন’র মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানবসেবায় নিয়োজিত তিনি। গত ৩৭ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ বন্যা দেখেনি পাঞ্জাব। লাগাতার বৃষ্টির কারণে পানির নিচে চলে গেছে পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা। জানা গেল, সেখানকার বানভাসি ১৫০০টি পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিং খান। ইতোমধ্যেই ‘মীর ফাউন্ডেশন’ পাঞ্জাবের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদ্ধার কার্য শুরু করেছে বলে খবর বলিউড মাধ্যম সূত্রে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার, ফোল্টিং কাট, তোষক, মশারিসহ নানা প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে শাহরুখের টিমের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি দুস্থদের চিকিৎসার দায়ভারও বহন করছেন কিং খান। শাহরুখ খানের পক্ষে এই পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে অমৃতসর, পাতিয়ালা, ফজিলকা, ফিরোজপুরসহ পাঞ্জাবের একাধিক বন্যাকবলিত অঞ্চলের ১৫০০ পরিবারের কাছে। কিং খানের ‘মীর ফাউন্ডেশনে’র প্রতিশ্রুতি, বন্যার্ত পরিবারগুলোকে পুণরায় মাথার ওপর ছাদ গড়ে দিতে সাহায্য করা হবে। চলতি মাসের শুরুতে শাহরুখ খান টুইটারে পাঞ্জাবের হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি নিয়ে একটি বার্তা শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পাঞ্জাবের এই ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি প্রাণের জন্য আমার হৃদয় ব্যথিত। প্রার্থনা ও শক্তি পাঠাচ্ছ, পাঞ্জাবের আত্মা কখনও ভাঙবে না, সৃষ্টকর্তা তাদের আশীর্বাদ করুন।’

জাকসুর চূড়ান্ত ফল রাত ১১টার মধ্যে ঘোষণার আশা নির্বাচন কমিশনের

জাকসুর চূড়ান্ত ফল রাত ১১টার মধ্যে ঘোষণার আশা নির্বাচন কমিশনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো চলছে। এখন পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। গতকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গণনা ও ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেসব কারণে ভোট গণনায় দেরি হয়েছিল, সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমরা আশা করছি যে এই প্রস্তুতি নেওয়ার ফলে এবং আজ যে লোকবল আছে, তাতে আমরা হয়তো বিকেল নাগাদ হলের ভোট গণনার হিসাব শেষ করতে পারব এবং রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ গণনা সম্পন্ন করে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করতে পারব।’ রাশিদুল আলম বলেন, ‘ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু বেশ কিছু প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানুয়ালি (হাতে ভোট গণনা) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে একটু বেশি সময় লাগবে।’ রাশিদুল আলম আরও বলেন, সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও দু’টি হলে কিছুটা দেরি হয়েছিল; দু-একটি হলে মাঝপথে কিছুটা সময় স্থগিত ছিল। বিশেষ করে গতকাল দু’টি বড় হলে, যেখানে ১ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন, সেখানে দুপুর পর্যন্ত কাস্টিং খুব কম হয়েছিল। পরে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে লাইনে অনেক ভোটার চলে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের সবাইকে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার কথা। এটি করতে গিয়ে ওই ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচন কমিশনে আসতেই প্রায় রাত সাড়ে ৯টা বেজে যায়। নিয়ম অনুযায়ী সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স না আসা পর্যন্ত গণনা শুরু হবে না। এ কারণে ভোট গণনা শুরু করতেই রাত ১০টা বেজে যায়। ভোট গণনা দেরি হওয়ার আরও কয়েকটি কারণের কথা জানান রাশিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়ে সবার আগে থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা জানাশোনা ছিল না, তাই ভোট গণনার শুরুর দিকে অনেকটা ধীরগতিতে কাজ এগিয়েছে। পরে অবশ্য ভোট গণনার গতি বেড়েছে।

নেপালে বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫১

নেপালে বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫১ নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানান, নিহতদের মধ্যে ২১ জন বিক্ষোভকারী, তিনজন পুলিশ কর্মী, নয়জন বন্দি, ১৮ জন অন্যান্য ও একজন ভারতীয় নারী রয়েছে। এর আগে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. বিকাশ দেবকোটা জানান, বর্তমানে সারা দেশের ৫২টি বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার ৭৭১ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরবাওয়া, ভারতপুর, ইতাহারি ও দমকসহ বিভিন্ন শহরের তরুণরা দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একপর্যায়ে তরুণ বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করে। পরে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার পর কারফিউ জারি করে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী ওই সময়, শুধুমাত্র কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে জাতীয় ট্রমা সেন্টারে আটজন, এভারেস্ট হাসপাতালে তিনজন, সিভিল হাসপাতালে তিনজন, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে দুজন এবং ত্রিভুবন টিচিং হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সুনসারির ইতাহারিতে বিক্ষোভের সময় গুলিতে আহত দুজনও মারা গেলে দেশব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ৩৪৭ জন আহত বিক্ষোভকারী চিকিৎসাধীন। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, বহু রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। এভারেস্ট হাসপাতালের অনিল অধিকারী বলেন, চারজনের অবস্থা গুরুতর, আর ট্রমা সেন্টারের ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে জানান, ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের মাথা ও বুকে গুলির ক্ষত আছে। বানেশ্বরে বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জমায়েত হন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে পুলিশ। একই ধরনের বিক্ষোভ দেশের বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতি দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের উভয় পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন বলেছে, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। তারা ভাঙচুর ও অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। সূত্র: দ্য হিমালয়ান

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট যেভাবে কাটবেন

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট যেভাবে কাটবেন আগামী বছর কানাডা, মেক্সিকো ও আমেরিকাতে অনুষ্ঠিত হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। এই আসরকে সামনে রেখে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে ফিফা। আগামী অক্টোবর মাসে শুরু হবে টিকিট বিক্রির প্রথম ধাপের কার্যক্রম। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফিফার ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে ফিফা। বিশ্বকাপের গ্রুপস্তরের ম্যাচের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৬০ মার্কিন ডলার। তবে সবার জন্য উন্মক্ত নয় এই প্লাটফর্ম। শুধুমাত্র ভিসা কার্ড ধারীরা পাবেন প্রথম ধাপের এই টিকিট সংগ্রহের সুযোগ। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আবেদন চলবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এরপর আবেদনকারীদের আবেদনপত্র পরীক্ষা করা হবে, যাদের আবেদনপত্র গৃহীত হবে তাদের জানানো হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। এর কারণ হচ্ছে, যেসব সমর্থকরা বিশ্বকাপ দেখতে যাবেন, তারা যেন সময় থাকতেই ভিসা, টিকিটসহ যাবতীয় কাজ সেরে ফেলতে পারেন। যাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে তারা টিকিট কাটতে পারবেন ১ অক্টোবর থেকে। সেই দিন থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই টিকিট কাটতে গেলে ভিসা কার্ড থাকতে হবে সমর্থকদের। অনলাইনে টিকিট কাটবেন যেভাবে FIFA.com/tickets এই সাইটে গিয়ে টিকিটের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীদের ভিসা কার্ড না থাকলে সেই আবেদন বাতিল করা হবে।