ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৫৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ৩২ হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক দুই শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের।
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতের অভিনয় দেখে বড় হয়েছে কয়েকটি প্রজন্ম। এখনও অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। আশি পার হওয়া মানুষটি সর্বদা প্রাণবন্ত থাকেন আজও। তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে লাড়াই করা মানুষটি আজও অষ্টপ্রহর ডুবে থাকেন কাজে। অসীম প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ মানুষটির আজ (৭ সেপ্টেম্বর) জন্মদিন। কে বলবে তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন! ২০২১ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে আবুল হায়াতের। চিকিৎসক, পরিবারের সহায়তা আর নিজের অসীম মনোবলের কারণে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন। তিনি এখনো মাসের অর্ধেক সময় নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিন বছর ধরে ক্যানাসরের সঙ্গে লড়াই করলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রাকাশ্যে এসেছে। গত বছর আত্মজীবনী ‘রবি পথ’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ডাক্তার বললেন, আমার ক্যানসার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যানসারের রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। জীবনের কঠিন সময়ে মানসিক শক্তি ধরে রাখার সব কৃতিত্ব আবুল হায়াত দিয়েছেন স্ত্রী শিরিন হায়াতকে। স্ত্রী সারাক্ষণ তাকে বলতেন, ‘আরে কী হয়েছে। এটা কোনো ব্যাপার নাকি? আমরা আছি, চিকিৎসা করাবো। যেখানে যা লাগে, আমরা করবো। তুমি ভালো হয়ে যাবে। স্ত্রীর অবদানের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবুল হায়াত আরও বলেন, ‘রাতে খাবার খেয়েছি কি খাইনি, জানি না। বিছানায় শুয়ে পড়েছি। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি (তার স্ত্রী শিরিন হায়াত) পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন তিনি বলতেন, “আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?” বলে হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর আবুল হায়াতের মেয়েরাও (বিপাশা ও নাতাশা) শক্তি জুগিয়েছেন। স্ত্রীকে সহযোদ্ধা উল্লেখ করে আবুল হায়াত বলেন, ‘সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ-সবকিছুতে সে ছিল। আজ আমি এই যে তিনটা বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তার কারণে সম্ভব হয়েছে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই, যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতগত বছর ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’র প্রকাশনা উৎসবে অভিনেতা ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত। আবুল হায়াত ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো টিভিপর্দায় তার অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে টিভি নাটক, সিনেমা আর বিজ্ঞাপনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অনেক নাটকে আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন। ‘মিসির আলি’ চরিত্রে অভিনয় তার একটি বিশেষ কাজ। এর বাইরে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ ধারাবাহিকগুলোতে আবুল হায়াত ছিলেন অনবদ্য। তার বহু খণ্ড নাটকও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।পরিচালনাতেও সফল আবুল হায়াত। বেশ কিছু খণ্ডনাটক নির্মাণ করে তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় বিটিভিতে ‘জোছনার ফুল’ নাটকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছিল। মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও আবুল হায়াত পেয়েছিলেন প্রশংসা। তার বেশ কিছু নাটক নতুনদের সৃষ্টিশীল অভিনয়ে উৎসাহ দেয়। আসাদুজ্জামান নূরের চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় বিদেশি নাটক অবলম্বনে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি অন্যতম। ১৯৭৮ সালে এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন আবুল হায়াত। আবুল হায়াতের লেখা প্রথম উপন্যাস বের হয় ১৯৯১ সালে, নাম ‘আপ্লুত মরু’। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’ (তিন খণ্ড), ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’, (দুই খণ্ড) ও ‘জিম্মি’। আবুল হায়াত ১৯৭০ সালে মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। ছয় বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা হায়াত। তারা দুজনই শোবিজের জনপ্রিয় মুখ।
ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: নির্বাচন কমিশনার

ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: নির্বাচন কমিশনার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে। ভোট না হওয়ার কোনো পরিস্থিতি আছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করে না। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে আছে। ভোট না হওয়ার পরিস্থিতি আছে বলে মনে হয় না। কোনো শঙ্কা কমিশন মনে করে না। মামলা দায়ের হলে প্রার্থী হতে পারবে না, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এমন একটা আইন করেছে, এটা কী নির্বাচনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থাকা সত্ত্বেও করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য আইনের সঙ্গে, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় কিনা, এটা দেখার জন্যই আইন মন্ত্রণালয়ে আরপিও পাঠানো হয়েছে। তারা এগুলো দেখেই অনুমোদন দেবে। অন্য এক প্রশ্নের তিনি বলেন, সংলাপ রোডম্যাপ অনুযায়ী এ মাসের শেষেই হওয়ার কথা। এ ছাড়া নতুন দল (২২টি) নিবন্ধনের জন্য মাঠ পর্যায়ে যে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি, সব রিপোর্ট এখনো আসেনি। আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যে হবে। নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্তে যদি আসি, তাহলে যে দল আছে সেই নামে আরেকটি সংগঠন থাকতে পারে। আপত্তি আসতে পারে। সেগুলো নিষ্পত্তির পর এ মাসেই হবে।
আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি

আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এমনকি অনেকেই ধরেই নিয়েছিলেন যে, আফ্রিদি আর দীঘি হয়তো বিয়েও করে ফেলবেন। তবে বরাবরই দুজনে এ সম্পর্ককে শুধুই বন্ধুত্ব বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছেন ঠিকই, তবে পাত্রী দীঘি নন, অন্য আরেকজন। এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর এ সমালোচনার মাঝেই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় করা একটি হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার রয়েছেন। তার গ্রেফতারের পরই ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে তার সঙ্গে দীঘির নাম। দীর্ঘদিন পর আফ্রিদির বিষয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী দীঘি। দেশের একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একটা প্রোগ্রামে তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে তার পরিচয়ের কথা। তিনি বলেন, সেই প্রোগ্রামে সে অ্যাংকর ছিল। ওখান থেকেই প্রথম দেখা ও পরিচয়। এবং তারপর ওই ইস্যুটা অনেক বেশি ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা কেউ রেডি ছিলাম না ওটা ভাইরাল হবে। দীঘি বলেন, আমরা কখনো এ রকম কথা বলিনি। আমি তো বলিনি। আর ও তো আরও বেশি স্ট্রিক্ট ছিল ব্যাপারটাতে এবং একটা মোমেন্ট ছিল যে, যখন ব্যাপারটা অনেক বেশি বেড়ে যায়, শোবিজে অনেক বেশি কথা হয়ে যায়, অনেক বেশি নিউজ হওয়া শুরু করে, তখন এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের ফ্যামিলিতে বিব্রতবোধ করে। অভিনেত্রী দীঘি বলেন, কারণ যে বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত না, সেই বিষয়টি আমাদের আশপাশে কেন হবে? এ রকম নিউজ কেন হবে? কারণ আমরা এটার জন্য প্রস্তুত না। এটা খুব পার্সোনাল কথা লিখে ফেলছে। তখন এমন একটা সময় এসেছিল যে, আমরা এক থেকে দেড় বছর কারও সঙ্গে কথাই বলিনি ঠিকমতো। এমনকি দেখা করাও অফ করে দিয়েছি।
নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয়

নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশমিকা মন্দানা ও বিজয় দেবরাকোন্ডা। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে দু’জনই সবসময় চুপচাপ থেকেছেন। তবে একসঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি আর ঘন ঘন জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়া জল্পনাকে বারবার উসকে দিয়েছে। এবার রাশমিকার আঙুলে নতুন আংটি দেখে আবারও নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, বাগদান সেরেছেন এই দুই তারকা। সাদা শার্ট, নীল জিনস আর কালো সানগ্লাসে রাশমিকাকে সম্প্রতি দেখা গেছে দুবাই বিমানবন্দরে। এসময় সবার নজর কাড়ে তার আঙুলের আংটি। যদিও একই দিন সন্ধ্যায় এক ইভেন্টে যোগ দিতে গিয়ে ওই আংটিটি আর দেখা যায়নি। ফলে ভক্তদের কৌতূহল আরও বেড়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বিজয়-রাশমিকাকে একসঙ্গে দেখা যায়। দু’জনের ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ানোর ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিজয় ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিজয় লিখেছিলেন, ‘অপরিসীম সম্মান! স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় তেরঙায় রাঙানো হলো এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। ভক্তদের সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত করেছে প্যারেডের সেই মুহূর্ত, যখন কিছু সময়ের জন্য রাশামকা ও বিজয়কে হাত ধরাধরি করতে দেখা যায়। ফলে তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরদার হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই ‘ভিডি-১৪’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যাবে রাশমিকা ও বিজয়কে। এর আগে তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘গীতা গোবিন্দম’ এবং ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে। সূত্র: টাইমস নাউ।
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের জন্য গোড়া থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার। বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তাঁর লেখনী ও জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে। শোকবার্তায় বদরউদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো

আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো অনেক দিন হলো দেশ ছেড়েছেন ঢালিউড অভিনেতা । দেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ন্যূনতম আক্ষেপ নেই এই অভিনেতার। নিজ দেশ ছেড়ে পরবাসী হওয়ার কারণ কী? তিনি দায়ী করেছেন কাজের অভাবকে। ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার এফডিসিতে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল। প্রয়াতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন পুরাতন শিল্পীদের অনেকে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খলনায়ক আহমেদ শরীফ। দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশে থাকলে তাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো। ঢালিউডের শিল্পীদের এখন কাজের অভাব। বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র। আহমেদ শরীফের মতে, শিল্পীদের অনেকে এখন ঠিক মতো দুবেলা খেতেও পারেন না। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে যে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতে হবে নেই। মিথ্যা নয়। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। দেশে থাকলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো’সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন আহমেদ শরীফ, আজ বিএফডিসিতে। আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। দেশেরবাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশে থাকলে তার কী পরিণতি হতো, সে প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও। অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক। সরকারের কাছে আহমেদ শরীফের প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামীতে যদি আমি দেশে আসি, সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য একটা নিশ্চিন্ত জীবন চাইবো। শিল্পীরা যেন একটা ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পায়। আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হারানো দিনের সিনেমা থেকে আধুনিক, প্রায় সব সিনেমায় তাকে পাওয়া যেত খলনায়ক হিসেবে। সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।
দেশে এসেছেন শাবানা

দেশে এসেছেন শাবানা ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। অভিনয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি অনেকটা আড়ালে থাকলেও মাঝে মধ্যে দেশে ফেরেন। এবার এলেন প্রায় পাঁচ বছর পর। কয়েকদিন আগেই তিনি নীরবে ঢাকায় এসেছেন। গণমাধ্যমে সহজে কথা বলতে চান না এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের নিজ বাড়িতে উঠেছেন। শাবানা দেশে না থাকলে বাড়িটি খালিই পড়ে থাকে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, সুযোগ হলে আবারও কিছু সিনেমায় কাজ করতে চান। তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকও জানিয়েছিলেন, অনুকূল পরিবেশ পেলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবেন। তবে সে যাত্রায় তারা ব্যর্থ মনোরথেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার আগে ২০১৭ সালেও দেশে এসেছিলেন শাবানা দম্পতি। ষাটের দশকের শুরুতে এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে শাবানার চলচ্চিত্রে অভিষেক। পাঁচ বছর পর নায়িকা হিসেবে তাঁকে পাওয়া যায় ‘চকোরী’ ছবিতে, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নাদিম। সেখান থেকেই শুরু হয় ঢাকাই সিনেমার এক সোনালি অধ্যায়। অভিনয় জীবনের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রায় ২৫ বছর ধরে স্বামী, সন্তান ও নাতি-নাতনিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দেশে আসেন বিরলভাবে। এবারের মতো পাঁচ বছর পর তাঁর এই প্রত্যাবর্তন আবারও ভক্তদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।