ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৩০

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৩০ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারাদেশে ৪৩০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাত জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন এবং রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৪২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ২৮ হাজার চারশ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত তিনজনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুইজন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন রয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়।
ভারতের অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্কের আঘাতে ধস

ভারতের অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্কের আঘাতে ধস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভারতীয় পণ্য আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া এ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য গুরুতর হুমকির মুখে পড়েছে। প্রথমে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। তবে চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির কারণে তিনি অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করেন। ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। এর প্রভাবে ভারতের ৪৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, এই শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি, দেশটির কর্মসংস্থান ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত: গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কে ভারতের শ্রমনির্ভর শিল্প যেমন টেক্সটাইল, গহনা, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য ও অটোমোবাইল খাত সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে। বাংলাদেশের কাছে বাজার হারানোর শঙ্কায় ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা: সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, হঠাৎ এই শুল্ক বৃদ্ধি ভারতের দীর্ঘদিনের বাজার অবস্থানকে বিপর্যস্ত করবে। এতে রপ্তানিনির্ভর খাতে বেকারত্ব বাড়বে এবং বিশ্বব্যাপী উৎপাদন খাতেও ভারতের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। যদিও ওষুধ ও ইলেকট্রনিকস খাত আপাতত শুল্কের বাইরে থাকায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে ভারত। রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ : আগ্রাভিত্তিক চামড়ার জুতার রপ্তানিকারক পুরণ দাওয়ার, যিনি বৈশ্বিক খুচরা বিক্রেতা জারার সরবরাহকারী, এই ঘটনাকে বড় ধাক্কা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশীয় চাহিদা না বাড়লে কিংবা নতুন বাজার না পেলে ভারতের চামড়াশিল্প বড় ধরনের সংকটে পড়বে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় সাহাইয়ের মতে, এটি একটি জটিল পরিস্থিতি। হয়তো কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হবে না। মোদীর অবস্থান : যুক্তরাষ্ট্র বারবার ভারতের কৃষি ও দুগ্ধবাজার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানালেও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি চাপের কাছে নত হবেন না। গুজরাটে এক সমাবেশে তিনি বলেন, আমাদের কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুগ্ধ খাতের কল্যাণই আমার অগ্রাধিকার। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা বাণিজ্য আলোচনার পরিকল্পনা বাতিল করে। ক্ষতি পোষাতে ভারতের উদ্যোগ : শুল্কের প্রভাব সামাল দিতে ভারত কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। দীপাবলির আগে ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে বিমা, গাড়ি ও গৃহস্থালি যন্ত্রপাতিতে জিএসটি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। রপ্তানিকারকদের জন্য স্বল্পসুদে ঋণসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে। পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় আরও গতি আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।
টানা ভারী বর্ষণ জম্মু-কাশ্মিরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩১

টানা ভারী বর্ষণ জম্মু-কাশ্মিরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩১ গতকাল দুপুরের দিকে রিয়াসি জেলার কাটরা শহরে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের যাত্রাপথে অবস্থিত ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয় ও আশপাশের এলাকায় হঠাৎ ভূমিধস নামে। টানা ভারী বর্ষণের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রিয়াসি জেলা পুলিশের প্রধান পরমবীর সিং বার্তাসংস্থা এএনআই-কে জানান, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ২৩ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিএইচসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভূমিধসের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নামে মন্দির কমিটি ও নিরাপত্তা বাহিনী। পরে এতে যুক্ত হয় ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও আধাসামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যরা। এদিকে, জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন জেলায় টানা তিন দিন ধরে ভারী বর্ষণ চলছে। এর জেরে একাধিক এলাকায় ভূমিধস ও হড়পা বানের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরমবীর সিং জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া, আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনাও খুব একটা নেই বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিন জম্মু, কাটরা, রিয়াসি, উধমপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসব এলাকায় ভূমিধস ও হড়পা বানের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের যাত্রাও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
চীনের প্রতি নরম ট্রাম্প, ভারতের ক্ষেত্রে গরম অবস্থানে

চীনের প্রতি নরম ট্রাম্প, ভারতের ক্ষেত্রে গরম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্রনীতির ধারা থেকে সরে এসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ার প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিতে এক নাটকীয় পরিবর্তন এনেছেন। এই কৌশলগত পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে একটি অদ্ভুত বৈপরীত্য। একদিকে ভারত, যাকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অংশীদার এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হিসেবে দেখা হয়, তার ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আমেরিকার প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী চীন অপ্রত্যাশিতভাবে উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে। ভারতের বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের ওপর নতুন করে ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। এই বিশাল শুল্ক বৃদ্ধির পেছনে কারণ হলো ভারতের রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখা। এর আগে ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন, যা চলতি মাসে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই শুল্ক শুধু অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলছে না বরং এর একটি রাজনৈতিক বার্তাও রয়েছে। এসব কঠোর পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গেছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ পিটার নাভারোর মতো ব্যক্তিরা তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য করছেন। মূলত সম্পর্কের সুর অংশীদারিত্ব থেকে শাস্তির দিকে মোড় নিয়েছে, যা উভয় দেশের নীতিনির্ধারক ও পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞদের হতবাক করেছে। এটি কেবল একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নয় বরং একটি বড় কূটনৈতিক বিঘ্ন। এর সম্পূর্ণ বিপরীতে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। চীন রাশিয়ান তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হওয়া সত্ত্বেও তাদের ওপর কোনো অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়নি। বরং ১২ আগস্ট ট্রাম্প চীনা আমদানির ওপর শুল্ক আরও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন, যা মাত্র ৩০ শতাংশ এ রাখা হয়েছে—যা ভারতের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক হারের চেয়ে অনেক কম।এটাই সব নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়াংয়ের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি ছয় লাখ চীনা শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের অনুমতি দেবেন, যা বর্তমান সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। এটি ট্রাম্পের আগের নীতির তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, যেখানে তিনি কঠোর ভিসা নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনা নাগরিকদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছিলেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে চলছি। শিক্ষার্থীরা এখানে এখানে আসতে পারবে না—এমন কথা বলা খুবই অপমানজনক। যদি তারা না আসে, তাহলে কী হবে জানেন? আমাদের কলেজ ব্যবস্থা খুব দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাবে। এদিকে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকরে অ্যাপারেল (পোশাক), বস্ত্র, সোনা, চিংড়ি, কার্পেট এবং আসবাবপত্রের মতো পণ্যের রপ্তানি মার্কিন বাজারে তুলনামূলকভাবে অলাভজনক হয়ে পড়বে। এতে ভারতে বহু কম দক্ষ কর্মীর চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এমনকি চীন ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো এখন ভারতের সম্ভাব্য ক্ষতির সুযোগ নিতে পারে। কারণ এসব দেশের ওপর আরোপ করা শুল্কের হার ভারতের তুলনায় কম হবে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানির মূল্য আগের অর্থবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভারতের পণ্য রপ্তানি গত অর্থবছরের প্রায় ৮৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৬ অর্থবছরে ৪৯.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসতে পারে।
১৩ জঙ্গি নিহত ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে

১৩ জঙ্গি নিহত ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির অশান্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে বলে বুধবার জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নিহতরা সম্প্রতি পুলিশের ওপর প্রাণঘাতী হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সন্দেহভাজন এক গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। এএফপি বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস জানিয়েছে, ‘এ পর্যন্ত ১৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে ও আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানগুলো সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের ইরানশাহর, খাশ ও সারাভান শহরে পরিচালিত হয়েছে। প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শুক্রবার ইরানশাহরে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত হন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী সিস্তান-বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য কুখ্যাত। এখানে মাদক চোরাচালানকারী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয়। অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম বেলুচ সম্প্রদায়ের আবাস এ প্রদেশটি শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলের একটি। সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী জাইশ আল-আদল (আর্মি অব জাস্টিস) গত সপ্তাহের ওই হামলার দায় স্বীকার করে টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছিল। ইরান প্রায়ই এ প্রদেশে পুলিশ বা বিপ্লবী গার্ডদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা জানিয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষ এসব হামলার জন্য জাইশ আল-আদলসহ বিভিন্ন সুন্নি গোষ্ঠীকে দায়ী করে। ইরানি বাহিনী গত শনিবারও প্রদেশটিতে আরো এক অভিযানে ছয় জঙ্গিকে হত্যা করেছিল। তারা এমন একটি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল, যাদের সঙ্গে ইরানের প্রধান শত্রু ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল

সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল চকোলেটের মতো সুস্বাদু খাদ্য মোটামুটি সকলেই ভালোবাসেন। এই মিষ্টি স্বাদের খাদ্যটি বাচ্চা থাকে বুড়ো প্রতিটি মানুষই খান। তবে চকোলেট শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি এর রয়েছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চকোলেট কোকোনাট বল বানানোর পদ্ধতি: যা যা নিতে হবে- কনডেনসড মিল্ক-১ কাপ, ডেসিকেটেড কোকোনাট (নারিকেল গুঁড়া) ২ কাপ, কোকো পাউডার- ৩ টেবিল চামচ, বিস্কুট ক্রাম্বস, বাদাম কুচি চকোলেট টুকরা ১/২ কাপ, সাজানোর জন্য কোকোনাট ফ্লেক্স (কোড়ানো নারিকেল) ১/২ কাপ। যেভাবে বানাবেন : প্রথমে পাত্রে কনডেনসড মিল্ক, কোকো পাউডার ও কোকোনাট গুঁড়া নিয়ে মেশাতে হবে। পরে তাতে বিস্কুট ক্রাম্বস ও বাদাম কুচি মেশান। এরপর একটা ডো বানিয়ে নিন। ডো থেকে ছোট বলের মতো করুন। প্রতিটি বল কোকোনাট ফ্লেক্সে গড়িয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে ৩০ মিনিট রাখুন। মেহমান এলে তাদের মাঝে পরিবেশন করুন মজাদার চকোলেট কোকোনাট বল।
‘মান্নাত’কে টপকে যাবে রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ি!

‘মান্নাত’কে টপকে যাবে রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ি! মুম্বাইয়ের তারকাদের ঠিকানাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি হতে চলেছে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের নতুন বাড়ি। বলিউডের কিংবদন্তি শাহরুখ খানের ‘মান্নাত’ এবং অমিতাভ বচ্চনের ‘জলসা’-কে পিছনে ফেলে এই বাড়ির মূল্যায়ন প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বলেন জানাচ্ছেন রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা। বহু বছর ধরেই বান্দ্রার প্রাইম লোকেশনে গড়ে উঠছিল এই মাল্টিস্টোরেড বিলাসবহুল আবাসন। যেখানে একসময় ছিল কাপুর পরিবারের ঐতিহ্যবাহী ‘কৃষ্ণা রাজ’ বাংলো সেই জায়গাতেই গড়ে উঠেছে রণবীর-আলিয়ার নতুন ঠিকানা। রাজ কাপুর, কৃষ্ণা কাপুর থেকে শুরু করে ঋষি কাপুর ও নীতা কাপুর এই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বলিউড ইতিহাস। বর্তমানে শাহরুখ খানের বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ডে অবস্থিত বাড়ি ‘মান্নাত’-এর ভ্যালুয়েশন প্রায় ২০০ কোটি টাকা (পূর্ববর্তী হিসাব অনুযায়ী)। অন্যদিকে, অমিতাভ বচ্চনের জুহুতে অবস্থিত ‘জলসা’-র মূল্য প্রায় ১২০ কোটি। এক সময় জলসা ছিল সবচেয়ে দামি সেলেব ঠিকানা, পরে মান্নাত সেটিকে ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এখন রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ি এই দুই কিংবদন্তির ঠিকানাকেও টপকে গেল। খুব শিগগিরই পরিবার নিয়ে নতুন ঠিকানায় উঠে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই তারকা দম্পতির। মুম্বা েইয়ে তারকাদের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ নতুন কিছু নয়। শাহরুখ খানও তাঁর পুরোনো বাড়ি কার্টার রোডের ‘৭০২ নম্বর’ ফ্ল্যাটকে রেনোভেট করাচ্ছেন। এখানেই গৌরী খানের সঙ্গে বৈবাহিক জীবনের শুরুর সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি মান্নাতেও চলছে মেরামতের কাজ, পরিবারসহ এখন সাময়িকভাবে থাকছেন পালি হিলের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। এমন সময় অনলাইনে রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ির ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিছু ভিডিওতে বাড়ির ভিতরের অংশও স্পষ্ট দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আলিয়া ভাট। তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া এমন কনটেন্ট শেয়ার করা শুধুমাত্র অনুচিত নয় বরং এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সমান।
শাহরুখ-দীপিকার নামে প্রতারণার অভিযোগে মামলা

শাহরুখ-দীপিকার নামে প্রতারণার অভিযোগে মামলা বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের নামে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুন্দাই আলকাজার গাড়ি সংক্রান্ত এক প্রতারণা মামলায় শাহরুখ, দীপিকা এবং হুন্দাই মোটরের ছয়জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাসে কীর্তি সিং হুন্দাই আলকাজার গাড়িটি কিনেছিলেন। তিনি দাবি করেন, গাড়িটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই ত্রুটিযুক্ত গাড়ি বিক্রি করে তাকে প্রতারিত করা হয়েছে। বহুবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও গাড়ির সমস্যার সমাধান হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, এটি আমার পরিবারকে জীবনের ঝুঁকিতে ফেলেছে। কীর্তি সিং অভিযোগ করেন, শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাডুকোন হুন্দাইয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ গাড়ির প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এই কারণেই তাদেরকেও অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে কীর্তি সিং জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২-এর নির্দেশে, মথুরা গেট থানায় একটি আবেদনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর কীর্তি সিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বলে রাখা যায়, ১৯৯৮ সাল থেকে হুন্দাইয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ। অন্যদিকে, দীপিকা ২০২৩ সালে কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হন।
ক্ষুধা মোকাবেলার বদলে বিলিয়ন ইউরো খরচ অস্ত্রে

ক্ষুধা মোকাবেলার বদলে বিলিয়ন ইউরো খরচ অস্ত্রে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা মোকাবেলায় তহবিল ব্যয়ের পরিবর্তে ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক ব্যয় অনুমোদনের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। বুধবার ২৭ আগস্ট মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রদায়ের সকল দেশের পুনঃসামরিকীকরণের জন্য ৮০০ বিলিয়ন ইউরো অনুমোদন করেছে, যেখানে আমরা (উন্নয়নশীল দেশগুলো) অর্থ ব্যবহার করব ক্ষুধা নিবারণ বা বন সংরক্ষণের জন্য। তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, জাতিসংঘ যুদ্ধ প্রতিরোধের মূল লক্ষ্যে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতিসংঘের সংকটের প্রমাণ হিসেবে তিনি গাজা সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত দেন। লুলা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, জাতিসংঘের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, যাতে এমন কেউ থাকে যিনি এই গণহত্যা বন্ধ করতে, যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারেন। এই কারণেই আমরা বিশ্বব্যাপী শাসনব্যবস্থার পুনর্নির্ধারণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। ইউরোপে সামরিক ব্যয়ের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের এই প্রথম মুখ খুললেন না। গত মে মাসে রাশিয়া সফরের পর তিনি ইইউ রাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের – বিশেষ করে জাপানের – সামরিকায়নের গতিকে ‘উন্মাদনা’ বলে বর্ণনা করেন।
আবারো ‘বাহুবলী’ রূপে হাজির প্রভাস

আবারো ‘বাহুবলী’ রূপে হাজির প্রভাস অবশেষে এক দশকের প্রতীক্ষার অবসান। গতকাল বহু প্রতীক্ষিত ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’র অফিসিয়াল ঝলক উন্মোচন করা হয়েছে। যেখানে চোখে পড়েছে মাহিষ্মতী রাজ্যের আভিজাত্য, আর ‘বাহুবলী’ ও ‘বাহুবলী টু’-এর স্মৃতি জাগানো কিছু দৃশ্য। সিনেমার ঝলক প্রকাশ্যে আসার পরই দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। কারণ, এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে ভারতের দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাসকে আরও একবার পুরনো রূপে দেখা যাবে। তাদের অনুমান, এই সিনেমা বক্স অফিসে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’, আর ২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’। এবার ১০ বছর পরে মুক্তির পথে এস এস রাজামৌলির নতুন সৃষ্টি ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’। সিনেমাটি নতুনভাবে তৈরি হলেও আগের দুই সিনেমার সঙ্গেই রয়েছে গল্পের যোগসূত্র। তবে এই সিনেমা ছয় ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হবে না বলেই জানা গিয়েছে। ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’র বিশেষত্ব হল এটি ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ধরে হবে। এটি কোনো সাধারণ এক্সটেন্ডেড কাট নয়, বরং একটি অবিচ্ছিন্ন গল্প বলার অনন্য প্রয়াস। যেখানে অধিকাংশ সিনেমার দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, সেখানে এই সিনেমাটি ভক্তদের ধৈর্য এবং মনোযোগ চায়। আর এ খবর প্রকাশ হতেই ভক্তদের মন্তব্যেও ফুটে উঠছে উচ্ছ্বাস। প্রসঙ্গত, ‘বাহুবলী ১’ বক্স অফিসে ৬৫০ কোটি টাকা আয় করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় অংশটি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল বক্স অফিসে। ১৭৮৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল সেই সিনেমা। শোনা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর বড়পর্দায় মুক্তি পাবে ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’।