ইউক্রেনে রাতভর হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনে রাতভর হামলা রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর রাতভর শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এটি ক্রেমলিনের আক্রমণ থামানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মস্কোর সবচেয়ে বড় আক্রমণ।কিয়েভ, ইউক্রেন থেকে এএফপি। বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার ফলে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ৫৪৬টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
প্রথমে ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’, তারপর পুতিনের সঙ্গে বৈঠক: জেলেনস্কি

প্রথমে ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’, তারপর পুতিনের সঙ্গে বৈঠক: জেলেনস্কি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে এর আগে তার মিত্রদেরকে ইউক্রেনের ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ নিয়ে সম্মত হতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে রাশিয়া ইউক্রেনে আর হামলা করতে না পারে। বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি সতর্ক করেন, উভয় পক্ষই আরও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাশিয়া দক্ষিণ ফ্রন্টলাইনে সৈন্য বাড়াচ্ছে এবং ইউক্রেন নতুন করে দূর-পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ আগ্রাসন বন্ধে জেলেনস্কি ও পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় মনোনিবেশ করেছেন। এ বৈঠকের ফলে রাশিয়ান নেতা পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার দীর্ঘমেয়াদী পশ্চিমা নীতিতে পরিবর্তনে এসেছে। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কাঠামো নিয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে চাই। আমাদেরকে বুঝতে হবে, কোন দেশ কী করবে এবং নির্দিষ্ট কোন সময়ে তারা কী করতে প্রস্তুত।’ কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে মিত্রদের একটি দল ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি সামরিক কোয়ালিশন তৈরি করছে। জেলেনস্কি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার খসড়া তৈরি হলে, ট্রাম্প পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চান। তবে তিনি বলেন, রাশিয়ান নেতার সঙ্গে বৈঠকটি ‘নিরপেক্ষ’ ইউরোপীয় দেশে হওয়া উচিত এবং মস্কোতে কোনো বৈঠক করা যাবে না। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ড বা অস্ট্রিয়ায় বৈঠক করতে আমরা একমত। তুরস্ক একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ এবং ইউরোপের অংশ। আমরা সেখানে বৈঠক করারও বিরোধী নই। এদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া গত রাতে ৫৭৪টি ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যা জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে সবচেয়ে বড় হামলা। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে, রাশিয়া শান্তি চুক্তির প্রতি মনযোগী নয়। যদিও গত কয়েকদিনে মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরালো হয়েছে। এদিকে, জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন ইউক্রেন ‘ফ্লেমিঙ্গো’ নামক একটি দূর-পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটি সফলভাবে পরীক্ষা হয়েছে। বর্তমানে এটি আমাদের সবচেয়ে সফল ক্ষেপণাস্ত্র।
জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ

জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। গেজেট অনুযায়ী, স্বীকৃত শহীদ পরিবারের সদস্যরা এককালীন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এছাড়া, আহতদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুতর আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা। গুরুতর আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা এব ং আহতরা এককালীন ১ লাখ টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন। এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। জেলা কমিটির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। উল্লেখ্য, সরকার গত ১৭ জুন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এনবিআরকে দুই ভাগ: অধ্যাদেশের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদে পাস

এনবিআরকে দুই ভাগ: অধ্যাদেশের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদে পাস জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ করে জারি করা অধ্যাদেশের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদে পাস হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, এনবিআরের দুটি নতুন ইউনিটের প্রধান বাছাই করা হবে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে। প্রয়োজন হলে যেকোনো ক্যাডার থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি আজকের বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত। লিখিত বক্তব্যে প্রেস সচিব আরও জানান, সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করতে চলতি বছরের ১২ মে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থা অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ জারির পর এর কয়েকটি ধারা নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদ একটি কমিটি গঠন করে। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণ, এনবিআর সদস্য, বিসিএস ট্যাক্সেশন ও কাস্টমস ক্যাডার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সংস্কারুসংক্রান্ত পরামর্শ কমিটির সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত কমিটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য, বিসিএস ট্যাক্সেশন, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট ও শুল্ক ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শ কমিটির সদস্য এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং মাঠ কয়েকটি আয়কর কাস্টমস ও ভ্যাট অফিস পরিদর্শন করেন। মতবিনিময় শেষে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর কতিপয়ধারা সংশোধন ও সংযোজনের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। প্রাপ্ত সুপারিশ সমূহ বিবেচনায় নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার নির্দেশের আলোকে অধ্যাদেশ সংশোধনীর চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করা হয়। ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহরকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণা

জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণা জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার বিচারের দাবি এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে এটিকে ‘জুলাই রেভুলেশন-২০২৪’ হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, আদালত জানতে চেয়েছেন, কেন জুলাই–আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। এ ছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষণা ও জ্ঞান আহরণের জন্য প্রতিবেদনটি কেন সংরক্ষণ করা হবে না—তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মূলত, এই রুলের ওপর রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন ছিল ৩ আগস্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের সময় চাওয়ায় আজ আদালত রায় দেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা এবং জুলাই–আগস্ট গণহত্যায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার দাবি জানানো হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন, যেখানে জানতে চাওয়া হয়, কেন দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল। প্রতিবেদনে গুরুতর আহত ও অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয় এবং চলতি মাসে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।
সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৫ জন। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৩১১ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে চলতি বছর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৮২ জন। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ জন এবং রাজশাহী বিভাগে মারা গেছে ২ জন।