ডায়রিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আক্রান্ত ৫৪ জন

ডায়রিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আক্রান্ত ৫৪ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৫৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৩ জন। সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৫৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩১ জন, শিবগঞ্জে ১৩ জন, গোমস্তাপুরে ৭ জন ও ভোলাহাটে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে জেলা হাসপাতাল থেকে ১৬ জন, শিবগঞ্জ থেকে ৮ জন, গোমস্তাপুর থেকে ৯ জন, নাচোল থেকে ৭ জন ও ভোলাহাট থেকে ৩ জন রয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন রোগী।

পাচারের অভিযোগে ঝিলিমে জরিমানা খুচরা সার ডিলারকে

পাচারের অভিযোগে ঝিলিমে জরিমানা খুচরা সার ডিলারকে নিজ এলাকার বাইরে অন্য ইউনিয়নে সার পাচারের অভিযোগে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা বাজারের খুচরা সার ডিলার মেসার্স আনোয়ার ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর হাসেনুর ইসলামকে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে মোবাইল কোর্টের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম এই দ- দেন। মোবাইল কোর্টে থাকা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদ জানান, মেসার্স আনোয়ার ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর হাসেনুর ইসলাম তার দোকান থেকে ৭ বস্তা ডিএপি, ৩ বস্তা ইউরিয়া ও ৩ বস্তা এমওপিসহ অনুসার ও কীটনাশক নাচোল উপজেলার হাটবাকইলে পাচার করছিলেন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাস্তা থেকে সেই সার ভ্যানসহ আটক করেন উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদ। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্ত ডিলারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন এবং সমুদয় সার এলাকার কৃষকদের মধ্যে বিক্রির ব্যবস্থা করেন।  

ডেঙ্গুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন রোগী ৩৮ জন

ডেঙ্গুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন রোগী ৩৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৮ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ২১ জন এবং বহির্বিভাগে ১৬ জন ও গোমস্তাপুরে একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৭ জনকে। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজন রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫৩৪ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫০ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সামাজিক নিরীক্ষণ ও অ্যাডভোকেসি

জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সামাজিক নিরীক্ষণ ও অ্যাডভোকেসি স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চাই সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে সামাজিক নিরীক্ষণ ও অ্যাডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা শহরের বেলেপুকুরে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ের নকীব হোসেন মিলনায়তনে অ্যাডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি প্রফেসর সুলতানা রাজিয়া, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কনিষ্ঠ সহকারি পরিচালক ফারুক আহমেদসহ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্যবৃন্দ। প্রশিক্ষনের উদ্বোধনী বাংলাদেশ হেল্থ ওয়াচের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদ আলম। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনসালটেন্ট সুভাশিষ চন্দ্র মহন্ত। উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি, স্বচ্ছতা তৈরি, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে টেকসই উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম এবং যুব ফোরাম। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।

নাচোলে কর্মব্যস্ত দিন পার করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ

নাচোলে কর্মব্যস্ত দিন পার করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ নাচোলে কর্মব্যস্ত দিন পার করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মিনি কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে ভুমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ চেক বিতরণ, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৃক্ষ রোপন করেন। পরে গুঠইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সি হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মাক্তাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, নাচোল ইউনিয়ন পরিষদ, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, নাচোল পৌরসভা, ডিজিটাল সেন্টার, পওে দুপুওে ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও নাচোল সদর ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান, ওসি মনিরুল ইসলাম, কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া

হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া ধীর পায়ে হেঁটে গেট দিয়ে বের হচ্ছেন হৃতিক রোশানের কনিষ্ঠ পুত্র হৃদান রোশান। হঠাৎ খেয়াল করেন পাপারাজ্জিরা তার ভিডিও করছেন। তারপর দ্রুত পায়ে হাঁটতে থাকেন। লক্ষ্য তার পার্কিং করা গাড়ি। তা দেখে পাপারাজ্জিরা তাকে তাড়া করেন, তুমুল গতিতে দৌড়াতে থাকেন তারা। তা দেখে হন্তদন্ত হয়ে নিজের গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। কিশোর হৃদানের সঙ্গে পাপারাজ্জিদের এই আচরণ ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগড়েছেন তারা। এটাকে ‘হেনস্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, “এটা এক প্রকার ক্রাইম।” পুলিশের দৃষ্টি আর্কষণ করে একজন লেখেন, “পুলিশের উচিত এই ব্যাপারগুলোতে নজর দেওয়া। এভাবে মানুষকে তাড়া করে!” একই দাবি জানিয়ে অন্যজন লেখেন, “এভাবে স্টার কিডদের হ্যারাস করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে।” কটাক্ষ করে একজন লেখেন, “এদের কি লজ্জা করে না! হৃতিকের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।” অন্যজন লেখেন, “প্রত্যেকে ক্যামেরা ফোন নিয়ে পাপারাজ্জিদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা ছোট ছেলেকে তাড়া করা, অভিনেত্রীদের পিছন থেকে ভিডিও করা, ক্লিপে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা, হাসাহাসি করা। সময় এসেছে এসব বন্ধ করার!” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি হৃতিক কিংবা তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হৃতিক রোশান ও সুজান খান। ২০০৬ সালে জন্ম হয় এই দম্পতির প্রথম সন্তান হৃহানের। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের দ্বিতীয় সন্তান হৃদান। কিন্তু এ জুটির চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় সুজান ৪০০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেন। সর্বশেষ ৩৮০ কোটি রুপি গুণতে হয় হৃতিককে। সংসার ভেঙে গেলেও প্রায়ই দু’জন মিলে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান হৃতিক-সুজান। দুই পুত্রকে নিয়ে বিদেশে অবসর কাটাতেও দেখা গেছে। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে দুই পুত্র ও প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন হৃতিক।

মা হারালেন হলিউডের তারকা ব্র্যাড পিট

মা হারালেন হলিউডের তারকা ব্র্যাড পিট হলিউডের তারকা অভিনেতা ব্র্যাড পিটের মা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অস্কারজয়ী এই অভিনেতার মা জেন এতা পিট। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে। ব্র্যাড পিটের ভাতিজি সিডনি পিট ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাদিকে হারানোর বার্তা জানিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “আমার প্রিয় গ্র্যামি, জেন এতা, তোমাকে যেতে দিতে আমরা এখনই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, তুমি এখন স্বাধীন। তুমি এখন গাইতে, নাচতে আর ছবি আঁকতে পারবে।” জেন এতার উদারতার কথা স্মরণ করে সিডনি পিট লেখেন, “যারা গ্র্যামিকে চিনতেন, তারা জানেন তার হৃদয় সবচেয়ে বড় ছিল। কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতেন। তিনি আমাকে আঁকতে শিখিয়েছেন, শক্ত হতে শিখিয়েছেন, সদয় নেতৃত্ব দিতে শিখিয়েছেন, সবকিছুর মাঝেও যীশুকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, আর সবচেয়ে ছোট জিনিসগুলোতেও আনন্দ খুঁজে নিতে শিখিয়েছেন। শুধু আমাদের হাসানোর জন্য সবচেয়ে মজার সব খেলা বানিয়ে ফেলতেন, আর ন্যায়পরায়ণতায় বিশ্বাস করতেন তিনি।” “আমরা তার ১৪ জন নাতি-নাতনি। সে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারত, কখনো ক্লান্ত হতো না। তার ভালোবাসার কোনো সীমা ছিল না। তার ভালোবাসায়, যত্নে বেড়ে উঠতে পেরে আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান। আমি জানি জেন এতা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই বেঁচে আছেন।” লেখেন সিডনি পিট। উইলিয়াম এলভিন পিট ও জেন এতা পিট দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলেন—ব্র্যাড পিট, ডগলাস পিট ও জুলি পিট। সবার বড় ব্র্যাড পিট। হলিউডের দাপুটে অভিনেতা ব্র্যাড পিট অভিনয়ে আসলেও বাকি দুই ভাই-বোন এই অঙ্গনের মানুষ নন।

বেসিক ইনস্টিংক্ট- আইকন বানিয়েছে, তবে সম্মান দেয়নি: শ্যারন 

বেসিক ইনস্টিংক্ট- আইকন বানিয়েছে, তবে সম্মান দেয়নি: শ্যারন ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’-এর সেই বিখ্যাত জিজ্ঞাসাবাদের দৃশ্য এক রাতেই শ্যারন স্টোনকে আন্তর্জাতিক তারকা বানিয়েছিল। ক্যাথরিন ট্রামেল চরিত্রে তার দুর্ধর্ষ অভিনয় এখনো সিনেমা ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত। তবে সেই খ্যাতি শ্যারনের জন্য কতটা গর্বের ছিল, তা নিয়ে সম্প্রতি তিনি মুখ খুলেছেন এক বিস্ফোরক মন্তব্যে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ৬৭ বছর বয়সী এই হলিউড অভিনেত্রী বলেন,’ওই দৃশ্যটা আমাকে আইকন বানিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সম্মান দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন,’আবার কি এমন দৃশ্যে কাজ করতে চাইব? সত্যি বলতে, জীবনে সবকিছু আমাদের ইচ্ছেমতো হয় না। আমি আর কোনো ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডের অংশ হতে চাই না।’ এই প্রথম নয়, ২০২১ সালে প্রকাশিত তার আত্মজীবনী ‘The Beauty of Living Twice’-এ শ্যারন স্টোন লিখেছিলেন, শুটিংয়ের সময় তাকে বলা হয়েছিল, অন্তর্বাস আলো প্রতিফলিত করছে, তাই খুলে ফেলতে হবে। কিন্তু পরে যখন প্রজেকশনে দৃশ্যটি দেখেন, তখন তিনি পলকে চড় মেরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এবং আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পরিচালক পল ভেরহোভেন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তার দাবি, শুটিংয়ের সময় কী হচ্ছে তা অভিনেত্রী জানতেন এবং সম্মতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন সাক্ষাৎকারে শ্যারন বলছেন, ‘ঠিক কী শুট হচ্ছে, সেটা নিয়ে তখন একটা ধোঁয়াশা ছিল। শুটিংয়ের পর পল নিজেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল, এমনকি দৃশ্যটা আমাকে দেখাতে ভয় পাচ্ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাইলেই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার আইনি অধিকার ব্যবহার করতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি ফুটবলের ‘পেলে’

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি ফুটবলের ‘পেলে’ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিন জাতীয় দলের সাবেক ফরোয়ার্ড সুলেইমান আল–ওবেইদ। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্য পেতে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনি জনতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে প্রাণ হারান ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএএফ) গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুলেইমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। পিএএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শহীদ হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও বিচ সার্ভিসেস দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদ। ফিলিস্তিন ফুটবলে সুলেইমান “দ্য গ্যাজেল (হরিণ)”, “দ্য ব্লাক পার্ল (কালো মুক্তা)”, “হেনরি অব প্যালেস্টাইন” এবং “পেলে অব প্যালেস্টাইন ফুটবল” নামে পরিচিত ছিলেন। পাঁচ সন্তান রেখে মারা গেছেন ফিলিস্তিন ফুটবলের এই পেলে।’ গাজায় জন্ম নেওয়া সুলেইমান সার্ভিসেস বিচ ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর পশ্চিম তীরে গিয়ে সেখানকার ক্লাব আল আমারি ইয়ুথ সেন্টারে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেন। ২০১০–১১ মৌসুমে ফিলিস্তিনের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ জেতেন সুলেইমান। আল আমারি ছেড়ে আল শাতিয়া ক্লাবে এক মৌসুম খেলেন সুলেইমান। এরপর গাজা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে সাউদার্ন গভর্নরেটস প্রিমিয়ার লিগে ২০২৬–১৭ মৌসুমে ১৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। পরের মৌসুমে আল খাদামা ক্লাবের হয়েও লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। পিএএফের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দুর্দান্ত গতি ও দক্ষতার জন্য ২০০৭ সালে ফিলিস্তিন জাতীয় দলে জায়গা করে নেন সুলেইমান। ২০১৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলার আগে ২৪ ম্যাচে করেন ২ গোল। এর মধ্যে সুলেইমানের বিখ্যাত গোলটি ২০১০ সালে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে। ইয়েমেনের বিপক্ষে ‘সিজর্স কিকে’ চোখধাঁধানো গোলটি করেছিলেন। সুলেইমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি এরিক ক্যান্টোনা নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সাহায্য পাওয়ার আশায় রাফায় অবস্থান করার সময় ফিলিস্তিন জাতীয় দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। তাকে “ফিলিস্তিনের পেলে” ডাকা হতো। আমরা তাদের আর কত গণহত্যা করতে দেব? ফিলিস্তিন মুক্ত হোক।’  

একই দিনে দেশে আসছে ভয়ংকর দুই ভূতের ছবি

একই দিনে দেশে আসছে ভয়ংকর দুই ভূতের ছবি এখন সুপারহিরো, সিক্যুয়েল আর পুরোনো ছবির রিবুট দেখে দেখে হাঁপিয়ে উঠেছেন দর্শক, তখন হঠাৎ ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে হরর বা ভৌতিক ঘরানার ছবি। সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশে^ই হরর ছবি নির্মাণের হার বেড়েছে। এ বছর এখনো পর্যন্ত হলিউডের ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় হরর ছবির সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। মার্কিন সংস্থা কমস্কোরের এক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর উত্তর আমেরিকার মোট টিকিট বিক্রির ১৭ শতাংশই এসেছে হরর ছবির হাত ধরে, যা ২০২৪ সালে ছিল ১১ শতাংশ; এক দশক আগেও যা ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। প্রযোজক, স্টুডিও প্রধান ও হলমালিকদের মতে, হরর সব সময়ই ছিল উদ্বেগ থেকে মুক্তির উপায়। আজকের দুনিয়ায় সেই মহামারির পরবর্তী ধাক্কা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশঙ্কা, শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় বা বর্ণবাদ হরর চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে। হরর ছবির এই জয়রথে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও দুটি সিনেমা। ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মার্কিন হরর থ্রিলার ‘ওয়েপনস’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি। সেই সাথে বাড়তি উপহার হিসেবে থাকছেও জনপ্রিয় তুর্কি হরর সিনেমা ‘সিকিন’ সিরিজের নতুন ছবি ‘সিকিন ৮’। এই ছবিটিও ৮ আগস্ট মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ‘ওয়েপনস’ জ্যাক ক্রেগার পরিচালিত আমেরিকান রহস্যময় হরর থ্রিলার সিনেমা ‘ওয়েপনস’। এতে অভিনয় করেছেন যশ ব্রুলিন, জুলিয়া গার্নার, ক্যারি ক্রিস্টোফার, অস্টিন আব্রামস, অ্যামি ম্যাডিগানসহ আরও অনেকে। মেব্রুক নামের একটি ছোট শহরে, একই ক্লাসের ১৭ জন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র এক রাতে ২.১৭ মিনিটের সময়ে একযোগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শুধুমাত্র একজন, অ্যালেক্স লিলি পরের দিন স্কুলে উপস্থিত হয়। নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে নামে অভিভাবক, পুলিশ, শিক্ষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এরমধ্যে কিছু অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। ছবিটি ছয়টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প এগিয়ে যায়। প্রতিটি অধ্যায় একটি ছোট ঘটনার কিস্তিকে আলোচনায় নিয়ে আসে এবং চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সের দিকে এগোতে গিয়ে ধ্বংসাত্মক ঘটনা উন্মোচিত করে। ওয়েপনস সবার কাছে ২০২৫ সালের অন্যতম সেরা হরর-থ্রিলার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইএমডিবি, রোটেন টমেটোস ইতিমধ্যে ছবিটির ইতিবাচক সমালোচনা করেছে। ‘সিকিন ৮’ অন্যদিকে, তুর্কি ভাষার সুপারন্যাচারাল হরর সিনেমা ‘সিকিন ৮’। সিরিজের অষ্টম কিস্তি এটি। এই সিরিজের পূর্ববর্তী কিস্তি ‘সিকিন ৭’ গত বছরের ১৪ জুন মুক্তি পেয়েছে। এক বছর পর পর্দায় এসেছে নতুন কিস্তি। অ্যালপার মেস্তকি পরিচালিত ছবিটি তুরস্কে মুক্তির পর দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। এতে একজন পুরুষ এবং তার পরিবারকে ভয়াবহ অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা অত্যাচারিত হতে দেখা যাবে, যা শুরু হয় যখন সে তার বৃদ্ধ মাতাকে বাসায় আনে। এই অংশে অরহান চরিত্রটিকে সিরিজের মূল নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যিনি পূর্বের কিস্তিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে প্রথম দুই কিস্তিতে কোনো নির্দিষ্ট হিরো বা ভিলেন ছিলো না বরং জাদুবিদ্যা ও কালো যন্ত্রণা প্রধান বিষয় ছিল, যা পরের কিস্তিতে বদলেছে বলে মনে হচ্ছে। ছবিতে জিন তত্ত্ব, ব্ল্যাক ম্যাজিক এবং পারিবারিক গোপন রহস্যের মিশ্রণ রয়েছে। প্রধান চরিত্র ফাতিহ নামে একজন মানুষ, যিনি তাঁর স্ত্রী বরনার অনুরোধে তাঁর বৃদ্ধ মা গুনহুলকে পরিবারের বাইরে বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করেন। মা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর, ঘরের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে অচেনা ও রহস্যময় ঘটনা বাড়তে থাকে। একটি শান্ত পরিবেশে অদ্ভুত শব্দ, ছায়া, এবং অতিপ্রাকৃত ঘটনা ফাতিহের পরিবারকে গ্রাস করে। ফাতিহের অনুশোচনায় ভরা মন একটি মানসিক ও পারিবারিক সংকটের মধ্যে পড়ে। ফাতিহ শেষ পর্যন্ত তার মাকে বাড়িতে ফেরায়, কিন্তু সেই মা একই ব্যক্তি নন। এরপর ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা।