সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে ৪২৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৪০৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ যাবত মোট ২১ হাজার ৪৬১ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৮১২ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক সাত শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক তিন শতাংশ নারী রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজন মারা গেছে। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ৯২ জনের মৃত্যু হয়। মৃত তিনজনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে দেশের ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি সারাদেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কত ফোর্স প্রয়োজন হবে, এসব বিষয়ে। এ ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবাইকে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। কোন ক্যামেরা কার কাছে ও কীভাবে থাকবে—সে বিষয়েও আলোচনা চলছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা যেন কারও বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সঙ্গে আনসার ও পুলিশ সদস্যও থাকবেন। কারা বডি ক্যামেরা পাবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। পুলিশের সিনিয়র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেই এই ক্যামেরা থাকবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সব বাহিনীকে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, তারা যেন পোলিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। আমাদের বাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষে আমরা মহড়া দেব। নির্বাচন যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য অনুশীলনও করা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ থাকবে। আনসার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৭৬ কর্মকর্তার সংযুক্ত বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা রুটিন বিষয়, চলতে থাকবে।

ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সিইসি

ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সিইসি নির্বাচনি দিকনির্দেশনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার চিঠির অপেক্ষায় থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে ভোটের প্রস্ততি নিতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়ার ঘোষণা দিলে আজ হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সিইসি। নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে ভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। সিইসি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ আগামী কয়েক মাসে আরও উন্নত হবে। এখন কোনো সমস্যা দেখছি না। ফেব্রুয়ারিতে ভোট হলে এ সময়ের মধ্যে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা, দলগুলোর আস্থা অর্জন, ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণই চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এখন তো সেই অবস্থা নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ইমপ্রুভ করে গেছে। ভোট তো আরও কয়েক মাস আছে। এর মধ্যে দেখবেন যে ইনশল্লাহ এভ্রিথিং ইন প্লেস এবং আমার বিশ্বাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিটা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা গতকালকে তো একটা ঘোষণা দিয়েছেন। উনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রমজানের আগে ইলেকশন করার জন্য আমাদেরকে একটা চিঠি দেবেন। আমি প্রত্যাশা করছি দ্রুত চিঠিটা পেয়ে যাবো। কারণ উনার কথার মধ্যে আমরা তো বুঝতে পারি যে খুব দ্রুতই চিঠিটা আমরা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। চিঠি এখনই না এলেও ঘোষিত সময়সীমা ধরে প্রস্তুতি চলমান থাকবে। চিঠি না পেলেও বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা ছিল ইলেকশনের তারিখ নিয়ে। আমাদের প্রস্তুতি আমরা অনেক আগের থেকে নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি ইনশআল্লাহ। আমাদের কোনো প্রস্তুতিতে ঘাটতি হবে না। সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি বিষয়ে তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, যেন তেন একটা নির্বাচন করে আপনারা জেতার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহর দোহা্য়‌, আমাকে সাহায্য করুন। আমি একটা সুন্দর ক্রেডিবল, একটা ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশন দিতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া পারব না। প্লেয়াররা যদি সবাই ফাউল করার নিয়তে মাঠে নামে, যে আমরা ফাউলই করব, এখন রেফারির পক্ষে সে ম্যাচ পণ্ড হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। লালকার্ড কজনকে দেখাবেন আপনি? সুতরাং যারা খেলবেন তাদের তো দায়িত্ব আছে বিশাল। আমি এই মেসেজটা রাজনীতির দলগুলোকে দিতে চাই। দলগুলো একটা মেজর স্টেক হোল্ডার। আমাদের দায়িত্ব হবে খেলার মাঠটা তাদের জন্য সমান করে দেওয়া। তারা সুন্দর একই অপরচুনিটি পায় সেই চেষ্টাটা আমরা করছি এবং করব। সুন্দর নির্বাচনের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সিইসি বলেন, প্রধান কাজগুলোর মধ্যে নিখুঁত ভোটার তালিকা হালনাগাদ খসড়া প্রকাশ এবং ৩১ অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। ভোটারযোগ্য তরুণদের অন্তর্ভূক্ত করতে তফসিলের মাস খানেক আগে একটা সময় নির্ধারণ করে সম্পুরক তালিকা করা হবে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর আলোচনা শেষ হলে নির্বাচন কমিশনও অংশীজনের সংলাপে বসবে। আলোচনা করার জন্য এক মাসের একটা প্ল্যান করেছি। সিইসি বলেন, ভোটার লিস্টটা হয়ে যাচ্ছে। প্রকিউরমেন্ট টার্গেট ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ করে ফেলতে পারবো। টেন্ডার হয়ে গেছে। তারপরে ডিলিমিটেশন (সীমানা নির্ধারণ) স্বচ্ছভাবে হয়েছে। শুনানি করে শেষ করা হভে। একটা বড় কাজ হয়ে গেছে- পার্টি রেজিস্ট্রেশন। ইতোমধ্যে যাচাই বছাই চলছে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারবে তাদের বিষয়ে তদন্ত হবে, এরপর কারো আপত্তি আছে কিনা ১৫ দিনের বিজ্ঞিপ্তি হবে। এসব বড় কাজ বাই সেপ্টেম্বর, ইনশাআল্লাহ উই ওয়ান্ট টু কমপ্লিট অল দিস বিগ টাস্ক। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি যে লেভেল প্লেং ফিল্ড তৈয়ার করার কথা বলছি, এটার বাস্তবায়ন আপনাদের উপর নির্ভর করছে। আপনারা যদি এই কাজে যদি আমাকে সহযোগিতা না করেন আমি তো এটা কাজটা করতে পারবো না। আমাদের মূল মেসেজটা হচ্ছে, আমরা এবার এই ইলেকশনটাকে পার্টিসিপেটরি করতে চাই। ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমরা চাই। তিনি আরও বলেন, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নাম্বার ওয়ান চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। আসলে মানুষের তো দোষ দিয়ে লাভ নেই, ভোটারদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ভোটাররা নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হারিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা যে বলেছেন উৎসবমুখ পরিবেশে ঈদের দিনের মত একটা ইলেকশন দেখতে চান, আমরা সেইটা সামনে রেখেই আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, কমিশন এআই-এর অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের কর্মকাণ্ড যতই তারা আরো দেখবে ভবিষ্যতে দেখবেন আমাদের ওপর আস্থা সৃষ্টি হবে। কারণ আমরা যখন প্রফেশনালি নিউট্রালি কাজ করছি, তখন অটোমেটিক্যালি আস্থা আসবে, ফিরে আসবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথা বলতে পারেন, উনাদের ইচ্ছা বললে কোনো অসুবিধা নেই।

১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু

১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ১৫ দিন পর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলো। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল এ তথ্য জানান। গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিল। তবে ওই দিন কোনো পাঠদান কার্যক্রম হয়নি। শিক্ষার্থীরা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত, আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় আয়োজিত দোয়া এবং শোক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। নিজেদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময় শেষে তারা বাসায় ফিরে যায়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, কথা বলা ও মতামতের মাধ্যমে এই ক্লাসগুলো খোলা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য শাখা আস্তে আস্তে খুলে দেওয়া হবে। এর আগে কয়েক দফায় ছুটি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ছুটি বাড়ানো হয়। সম্পূর্ণ উপযোগী হওয়ায় আজ ক্লাস শুরু হয়েছে। গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশু, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৩৪ জন নিহত হন । দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।