শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের মানববন্ধন

শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের লিজকৃত জমির ওপর দিয়ে রাস্তা অধিগ্রহণ ও গণশুনানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। একই দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হাসান ডন, প্রভাষক নওসাবাহ নওরীন নেহা, ফারহাত হোসাইন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাহিম, কলেজ শিক্ষার্থী আবু বক্কর, নওয়াব শরীফ মারুফ, উৎস আসেফসহ অন্যরা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে রাস্তা নির্মাণের জন্য কলেজের লিজপ্রাপ্ত জমি অধিগ্রহণ এবং ঘোষিত গণশুনানি আগামীকাল বাতিলের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৭৯ সালের ১৩ জুলাই প্রতিষ্ঠিত শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ দীর্ঘ চার দশক ধরে এ অঞ্চলের শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের অনুমোদনে মহারাজপুর ও হুজরাপুর মৌজায় মোট ৫.৫০৪৯ একর জমি কলেজের নামে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়, যা পরবর্তীতে নবায়নের শর্তে আরো দুই দফা (৩০+৩০ বছর) নবায়নের অধিকার কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্জন করে। বর্তমানে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও ৬টি অনার্স কোর্সসহ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ভবন, আইসিটি ভবন, অডিটোরিয়াম, হোস্টেল, মসজিদসহ আধুনিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বরোড সংলগ্ন কলেজের উত্তর পাশ দিয়ে বেলেপুকুরমুখী সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা সরাসরি কলেজের লিজপ্রাপ্ত জমির মধ্য দিয়ে যাবে। এতে কলেজের মূল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসমূহ, আইসিটি ভবন, অডিটোরিয়াম ও হোস্টেলসহ অবকাঠামোগত কাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।      

শিবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে ৫ জনকে দন্ড ও মামলা

শিবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে ৫ জনকে দন্ড ও মামলা শিবগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় মাদকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজের নেতৃত্বে শিবগঞ্জ পৌরসভার আমবাজার এলাকা, শ্যামপুরের বাজিতপুর ও কানসাটের আব্বাসবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৩ জনকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একজনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর দুজনের প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে প্রায় ৩ কেজি পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজ বলেনÍ মাদকের কালো থাবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন তালুকদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপকারভোগীদের মধ্যে ভাতা ও ঋণ বিতরণ সমাজসেবার

উপকারভোগীদের মধ্যে ভাতা ও ঋণ বিতরণ সমাজসেবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষাবৃত্তি, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, পল্লী সমাজসেবা, পল্লী মাতৃকেন্দ্র, এসিড দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ জনকে ভাতা ও ৩১ জনকে ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন ভিক্ষুককে পুর্নবাসন করা হয়। আজ সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনাইন বিন জামানসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস। সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন আয়োজনে জুলাই শহীদদের স্মরণ করলেন স্কাউটাররা

বিভিন্ন আয়োজনে জুলাই শহীদদের স্মরণ করলেন স্কাউটাররা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জেলা স্কাউট ভবনে এই আয়োজনে সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কাউট সদস্যরা অংশ নেন। দুপুরে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটস চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কোষাধ্যক্ষ আসলাম কবীর। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্কাউটস লিডার খসরু পারভেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা স্কাউটসের সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, সহকারী লিডার ট্রেনার কে এ এম মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট লিডারবৃন্দ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে প্রয়াসের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে প্রয়াসের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই-২৪ স্মরণে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করেছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। আজ সকালে প্রয়াসের সমৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চাঁপাই-পলশায় অবস্থিত প্রয়াসের ইউনিট-১ এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াসের পরিচালক(কার্যক্রম) পঙ্কজ কুমার সরকার, সহকারি পরিচালক মু তাকিউর রহমান, ইউনিট-১ এর ব্যবস্থাপক অজিউর রহমান, সমৃদ্ধি কর্মসূচির উপজেলা সমন্বয়কারী তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী সমন্বয়কারী মজলুম ইসলাম, সমৃদ্ধির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খলিল উদ্দিনসহ অন্যরা। এসময় ইউনিট-১ অফিস প্রঙ্গনে বনজ ও ফলদ গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি সমৃদ্ধি কর্মসূচির প্রায় ৫০জন তরুণ-তরুনীর মাঝে বনজ ও ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ)।

ভোলাহাটে তারুন্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী

ভোলাহাটে তারুন্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী ভোলাহাটে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন জাতের ফলদ ও বনজ চারা উপজেলার তরুণ তরুণী, কিশোর কিশোরী ও কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবার হাতে চারা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কবিরাজ। এসময় ভার্কের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উপজেলা সমন্বয়কারী হাজেরা খাতুনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক পাশে আমড়া গাছের চারা রোপণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য অতিথিগণ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে পারিবাবরিক কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানের জননী স্ত্রী তানজিলা বেগমকে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে দায়ের মামলায় স্বামী মধু মিয়া নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাঁকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয়মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত মধু শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের বজলুর রহমান ওরফে বজুর ছেলে। নিহত তানজিলা একই ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের মৃত মশিউর রহমানের মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ জানান, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাড়িতে স্বামীর হাতে খুন হন গৃহবধু তানজিলা। ধারাল ছুরি দিয়ে গলাকেটে তাঁকে হত্যা করা হয়। এ সময় ঘটনা টের পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে স্বামী মধু মিয়াকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরদিন ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারী এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিয়ারুল শিবগঞ্জ থানায় মধুকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক আব্দুল মালেক একমাত্র মধুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানীর পর আদালত আজ মধুকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ইউসুফ আলী ইমন।  

শিবগঞ্জে ৩২ কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান

শিবগঞ্জে ৩২ কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান শিবগঞ্জে ৩২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসব কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এসএসসি পর্যায়ে ৮ জন, এইচএসসি পর্যায়ে ১২ জন, কারিগরি ৪, মাদ্রাসার আলিম পর্যায়ে ৪ ও দাখিলের ৪ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় সনদপত্র ও সম্মাননা ক্রেস্ট। পরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি করে বহুবর্ষজীবি ফুল গাছের চারা প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন।

দায়িত্ব নিয়েই বলছি—সাফা, তুই বিয়ে কর

দায়িত্ব নিয়েই বলছি—সাফা, তুই বিয়ে কর অভিনয় জীবনের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তাদের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। তৌসিফ মাহবুব ও সাফা কবির—দুজনই তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। এই জুটির বন্ধুত্বের সূচনা ‘অলটাইম দৌড়ের ওপর’ নাটকের শুটিং সেটে। এটি পরিচালনা করেন আদনান আল রাজীব। সেই প্রথম কাজই তাদের জীবনে নিয়ে আসে বিশেষ এক সম্পর্ক—গাঢ় বন্ধুত্ব। বন্ধু দিবসে সাফা কবিরকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তৌসিফ মাহবুব বলেন, “১২ বছরের বন্ধুত্বে আমরা অনেক ঝগড়া করেছি, মারামারি করেছি, অভিমান করেছি। কিন্তু বন্ধুত্ব একটুও কমেনি।” এই দীর্ঘ সময়ে সাফাকেই মিডিয়ার সেরা বন্ধু মনে করেন তৌসিফ। বিয়ের পরামর্শ দিয়ে এ অভিনেতা বলেন, “তোকে (সাফা) একটা কথা কখনো বলিনি। সবাই বলেছে, আমি না বললেও চলত। কিন্তু এবার বন্ধুত্ব নয়, দায়িত্ব নিয়েই বলছি—সাফা, তুই বিয়ে কর!”

ক্যারিয়ারে প্রথম জাতীয় পুরস্কার মায়েদের উৎসর্গ করলেন রানি 

ক্যারিয়ারে প্রথম জাতীয় পুরস্কার মায়েদের উৎসর্গ করলেন রানি বাংলা সিনেমা ‘বিয়ের ফুল’ দিয়ে ১৯৯৬ সালে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন রানী মুখার্জি। সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন তার বাবা রাম মুখোপাধ্যায়। একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম বলিউড সিনেমা ‘রাজা কি আয়েগি বরাত’। এরপরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। রানী মুখার্জির ঝুলিতে আছে ‘গুলাম’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘হে রাম’, ‘সাথিয়া’, ‘যুবা’, ‘পেহেলি’, ‘ব্ল্যাক’, ‘হাম তুম’, ‘বীর জারা’, ‘হিচকি’, ‘তালাশ’, ‘মর্দানি’র মতো আলোচিত সিনেমা। অভিনয়জীবনের ৩০ বছরে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এবার সেই পুরস্কারও পেতে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় পুরস্কার যেকোনো শিল্পীর জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়। তাই জাতীয় পুরস্কার জয়ের খবরে ভীষণই উৎফুল্ল অভিনেত্রী। এক বিবৃতিতে অভিনেত্রী বলেন, ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’তে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার জয় করে আমি আপ্লুত, অভিভূত। আমার ৩০ বছরের অভিনয়জীবনের এটা প্রথম জাতীয় পুরস্কার। একজন শিল্পী হিসেবে আমি ভাগ্যবান যে কিছু অভিনব সিনেমায় কাজ করেছি। ওই সব সিনেমার জন্য আমি সবার অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। এ সিনেমায় আমার অভিনয়কে সম্মানিত করার জন্য জাতীয় পুরস্কারের জুরিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই মুহূর্তটা আমি আমার সিনেমার পুরো দল, প্রযোজক নিখিল আদভানি, মনীশা ও মধু, পরিচালক অসীমা ছিব্বারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার ৩০ বছরের কাজ আর কাজের প্রতি আমার নিষ্ঠারই প্রমাণ। ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। সত্য ঘটনার অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি শুধু সমালোচক নন, সিনেমাপ্রেমীদের এক অন্য স্বাদ দিয়েছিল। বিশেষ করে রানীর স্বতঃস্ফূর্ত ও আবেগময় অভিনয় দর্শকের হৃদয় জয় করেছিল। এক মায়ের যন্ত্রণা, অসহায়তা, সাহস, আত্মত্যাগ ও অদম্য জেদকে পর্দায় তুলে ধরেছিলেন তিনি। এই পুরস্কারকে তাই সারা দুনিয়ার মাকে উৎসর্গ করেছেন রানী। বলিউডের এই অভিনেত্রী বিবৃতিতে আরও বলেছেন, আমাদের সিনেমাতে এক মায়ের কাহিনি বলা হয়েছে, যিনি তার সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। এর কাহিনি আমার হৃদয়কে চূর্ণবিচূর্ণ করেছিল। সত্যিই সন্তানের প্রতি একজন মায়ের ভালোবাসা হয় শর্তহীন। মা হওয়ার পর তা আমি অনুভব করেছি। তাই এই জয়, এই সিনেমা আমার জন্য অত্যন্ত আবেগের এবং ব্যক্তিগত। আমরা সিনেমার মাধ্যমে এটাই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছিলাম যে একজন মা তার সন্তানের জন্য পাহাড়কেও নাড়িয়ে দিতে পারেন। একজন মা-ই পারেন দুনিয়াকে এক সুন্দর জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে। ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে রানি বলেছেন, সারা দুনিয়ায় আমার যত অনুরাগী আছেন, তাদের আবারও ধন্যবাদ জানানোর জন্য এটা সঠিক সময় বলে আমার মনে হয়। আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে তারা আমাকে নিরলসভাবে সমর্থন করে এসেছেন। আপনাদের শর্তহীন ভালোবাসা আর সমর্থন আমার কাছে সব; ভালো কাজ করতে প্রেরণা জোগায়। আপনারা আমাকে সব ধরনের চরিত্রে ও কাহিনিতে আপন করে নিয়েছেন, আর আমার জন্য এটা অনেক বড় বিষয়। আপনাদের ব্যতীত আজ আমি কিছুই হতে পারতাম না।