অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে-একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক ব্যবস্থার চারপাশে একটি বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। লক্ষ্যটা পরিষ্কার-এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সব বাংলাদেশি শান্তিতে, গর্বের সঙ্গে, স্বাধীনতা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।” আজ বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সূচনালগ্ন থেকেই জাতিসংঘ আমাদের রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে। আমি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে তার অকুণ্ঠ সমর্থন ও সংহতি এবং এ বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জানাই।আমি হাইকমিশনার ভোলকার টার্ক, ওএইচসিএইচআর ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমের সদস্য, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস গুইন লুইস এবং অবশ্যই আমার বন্ধু সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা মিস হুমা খানকে তাদের অসাধারণ ও ঐতিহাসিক অবদানের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।” তিনি বলেন, “আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সংস্কার এজেন্ডার পাশাপাশি, আমরা গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জন্য আইনি জবাবদিহি অনুসরণ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়।ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, যাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আর কখনও তার নিজের জনগণকে দমন, নীরব বা ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই বিগত বছরের কথা চিন্তা করলে আমরা স্মরণ করি-সেই সব মানুষকে, যারা সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের পথ প্রশস্ত করেছে।তারা একটি নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, যার মূলে রয়েছে আশা, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নবায়ন। আমাদের সবচেয়ে দুঃখময় সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অব্যাহত অংশীদারত্ব প্রত্যাশা করছি।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন,“গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরপরই আমি মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়কে (ওএইচসিএইচআর) ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিলাম। আমরা বিশ্বাস করতাম যে, সত্যের একটি নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য হিসাব কেবল ন্যায়বিচারের জন্য নয়, প্রতিকারের জন্যও অপরিহার্য।” তিনি বলেন,“২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের হাইকমিশনারের প্রতিবেদনে নৃশংসতার বিস্ময়কর-মাত্রা প্রকাশ করা হয়েছে।মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদনে সহিংসতাকে পূর্ববর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পদ্ধতিগত, নির্দেশিত এবং সমন্বিত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।এতে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে জরুরি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।” মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা এই সুপারিশগুলো অন্তঃস্থল থেকে গ্রহণ করেছি-অন্যের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য নয়, বরং নিজের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে। দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই আমাদের সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। আমরা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করেছি এবং জোরপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সম্মত হয়েছি। এ মাসের শুরুতে আমরা ঢাকায় একটি মিশন প্রতিষ্ঠার জন্য ওএইচসিএইচআরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এই মিশন সংস্কার উদ্যোগের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সরকারী প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস, মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা নাগরিক সমাজের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৫৮ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৪৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৫৮ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৪৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫৮ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ জন এবং বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ জানানো হয়েছে, বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১৬ জন মহিলা ও ৪ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৩ জনকে। এই ২৩ জনের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ৬ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩ জন মহিলা রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর বহির্বিভাগে শনাক্তরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৫২ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯৯ জনে।

আগামী বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগামী বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী বৃহস্পতিবার চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন, ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করবেন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে বর্তমান এমপিএস এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ২০ হাজার ছাড়াল; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ২০ হাজার ছাড়াল; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের ২৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৩১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০১ জন, চট্টগ্রামে ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৬ জন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬০ জন, খুলনায় ২৬ জন, রাজশাহীতে ৩৮ জন, রংপুরে ৫ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন রয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ১৮ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে ২০২৫ সালে ডেঙ্গুতে মোট ৭৯ জনের মৃত্যু হলো। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

টানা ৩দিন বন্ধের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু

টানা ৩দিন বন্ধের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু টানা ৩দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধের পর আজ বিকেল ৪টা থেকে পূণরায় চালু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে আজ দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজশাহী বাস মলিক গ্রুপ কার্যালয়ে দু’জেলার বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের যৌথ আলোচনা বৈঠকে সমঝোতার পর বাস চলাচল শুরুর সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত যাতায়াতকারী বিরতিহীন গেটলক ও মহানন্দা বাস সার্ভিস আগামীকাল সকাল থেকে চলাচল শুরু করবে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ^রোড মোড়ের রাজশাহীগামী বাসের কাউন্টার মাষ্টার মোহাম্মদ আলী জানান, বিকাল ৪টা থেকে রাজশাহীগামী লোকাল বাস চলাচল শুরু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, দু’পক্ষের বৈঠকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনায় সমঝোতা হওয়ায় বাস চলাচলের সীদ্ধান্ত হয়েছে। সমঝোতা বৈঠকে দু’জেলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বাস মালিক ও শ্রমিকরা অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে যাত্রী ওঠানামা ও বাসের শিডিউল নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর শ্রমকিদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার পর রাজশাহীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক চালককে মারধর করে আহত করে রাজশাহীর শ্রমিকরা। এরই জেরে তাৎক্ষনিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া ওই রাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাজশাহীর দু’টি বাসের কাঁচ ভাংচুর করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্রমিকরা। ফলে রোববার সকাল থেকে দু’জেলার সরাসরি বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ইন-হাউস প্রশিক্ষণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ইন-হাউস প্রশিক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে দিনব্যাপী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ইন-হাউস প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে প্রশিক্ষণটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ জুলফিকার হায়দার। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং অন্যান্য কলেজকেও তা অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। কলেজের ৩২ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিপ্লব কুমার মজুমদার বলেন তথ্য-প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নে এ ধরনের ইন-হাউস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র শিক্ষক-কর্মকর্তার মাঝেই সীমাবদ্ধ না রেখে কলেজের শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি প্রাণবন্ত করার স্বার্থে কলেজের কর্মচারীদের সহযোগিতাও ছিল অসামান্য।

২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন উৎস থেকে ২ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বছরের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২৯তম সভায় আজ এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন , আজ ক্রয় কমিটির সভায় এলএনজি এবং সার সংগ্রহের প্রস্তাব এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি পৃথক প্রস্তাবের ভিত্তিতে পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন পদ্ধতির মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে। যার প্রতি একক এলএনজির দাম পড়বে ১১ দশমিক ৯৭ মার্কিন ডলার। পেট্রোবাংলা দক্ষিণ কোরিয়ার মেসার্স পসকো ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন থেকে প্রায় ৪৮৬ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি কিনবে। যার প্রতি একক এলএনজির দাম পড়বে ১১ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার। এছাড়াও, সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২টি, সেতু বিভাগের ১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং আইসিটি বিভাগের ১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ আগামী বছরের ১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী এশিয়া কাপ ২০২৬। এবারই প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ সিডনির বিখ্যাত হারবার ফ্রন্টে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১২ দলের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াসহ তাইওয়ান, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের কোচ ও খেলোয়াড়রা। কিন্তু বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপান, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপাইনের কোনো প্রতিনিধি এই ড্র অনুষ্ঠানে ছিল না। পিটার বাটলারের শিষ্যরা রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ—চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে: অস্ট্রেলিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান, ফিলিপাইন। আর ‘সি’ গ্রুপে: জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, চাইনিজ তাইপে। এই এশিয়া কাপ শুধু একটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট নয়, বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাওয়ার মঞ্চ। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই বাংলাদেশের সামনে খুলে যেতে পারে ২০২৭ ব্রাজিল নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা। এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।

৬ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

৬ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর ছয় বছরের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আজ বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন। তিনি বলেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ওইদিন ভোটগ্রহণের পরপরই ভোট গণনা করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জুলাই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১১ আগস্ট। মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু ১২-১৮ আগস্ট। মনোনয়নপত্র গ্রহণের সর্বশেষ তারিখ ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ আগস্ট। প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ২১ আগস্ট।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ আগস্ট। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৬ আগস্ট। ভোটগ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর। ফলাফল প্রকাশ ৯ সেপ্টেম্বর ভোট গণনার পর। ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র প্রথমবারের মতো হলের বাইরে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি নিরপেক্ষ স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- >> কার্জন হল কেন্দ্র (পরীক্ষার হল) : এখানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল এবং ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন। >> শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র : জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন। >> ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র : রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। >> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র : বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। >> সিনেট ভবন কেন্দ্র (এলামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) : স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল এবং বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। >> উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র : সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।

দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ভ্রমণ হোক আনন্দময়

দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ভ্রমণ হোক আনন্দময় ভ্রমণের সময় অনেকেই নানা ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হন। অনেকের দূরে কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই যেন গায়ে জ্বর আসে। ভয়ে বুক হিম হয়ে যায়। অনেকের মাথা ঘোরায়, অনেকের আবার বমিও হয়। অনেকে আবার ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পড়েন মহাবিপকে। তবে একটু খেয়াল করলে এবং কিছুটা সচেতন হয়ে সামান্য কয়েকটা বিষয় মনে রাখলেই এই বিপাক থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে আপনার ভ্রমণটাও হয়ে উঠবে অনেক আনন্দদায়ক। ভ্রমণ পিপাসু এবং ট্রাভেলার্স নোটবুকের লেখকদের ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ১০ টিপস: * আপনি যদি দেশের ‍বাইরে বেড়াতে যান তবে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ জিনিস হলো পাসপোর্ট। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কখনোই বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। উপরন্তু এজন্য আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি আপনি হয়তো আপনার ফ্লাইট, বাস কিংবা ট্রেন মিস করতে পারেন। কাজেই ঘর থেকে বের হওয়ার আগে শেষবারের মতো আপনার ব্যগ চেক করে নিন। * দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো আপনার টিকিট। আপনি বাস, ট্রেন বা প্লেন যেভাবেই যান না কেন টিকটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। যদি আপনি ঠিক সময় টিকিট এবং বোর্ডিংপাস দেখাতে না পারেন তবে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোম‍ুখি হতে হবে আপনাকে। * আপনার যদি কোনো বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত জটিলতা থেকে থাকে তবে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার পারিবারিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে আপনি যদি কখনো কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত হনও তবে যেন সঙ্গে সঙ্গে সে বিষয়ে দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আর সেসঙ্গে আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধ, প্রেসক্রিপশন নিতেও ভুলবেন না। যদি আপনার কোনো বিষয়ে ফোবিয়া থাকে তবে সে সংক্রান্ত ওষুধও সঙ্গে নিতে ভুলবেন না একেবারেই। * আপনি যদি চশমা ব্যবহান করেন এবং চশমা ছাড়া যদি আপনার কোনো কিছু দেখতে সমস্যা হয় তাহলে চশমা সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। কেননা বাস, ট্রেন বা এয়ারপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ দেখার প্রয়োজন হতে পারে আপনার। আর রোদ থেকে বাঁচতে রোদ চশমাকেও সঙ্গী করুন। * কোথাও যাওয়ার সময় আপনার সেলফেনটিও সঙ্গে নিন। সেইসঙ্গে চার্জার নিতে ভুলবেন না যেন। চার্জার গুছিয়ে রাখুন হাতের কাছেই। নইলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাবেন না। আর আপনি যদি দেশের বাইরে বেড়াতে যান সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে সেদেশের কোনো মোবাইল অপারেটরের সিমকার্ড কিনে ফেলুন। এতে বাড়ির মানুষ যেমন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে তেমনি আপনিও প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবেন। * আপনি চাকরিজীবী বা শিক্ষার্থী যাই হোন না কেন আপনার আইডিকার্ডটি সঙ্গেই রাখুন। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায় তবে সহজেই আপনার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফোন নম্বর, আপনার নাম-ঠিকানা একটি কাগজে লিখে মানিব্যাগে বা হ্যান্ডব্যাগে রাখুন। ‍ * ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত কাপড় না নেওয়াই ভালো। আপনি যদি রিমোট এরিয়ায় যান তবে সেখানে আপনাকে অনেক সময় খাবার এবং পানি বহন করতে হবে। হয়তো অতিরিক্ত বোঝা কোথাও রাখার জায়গাই পাবেন না! সেক্ষেত্রে এমন কাপড় নির্বাচন করুন যা একাধিকবার ব্যবহার করা যায়, এক্ষেত্রে জিন্সপ্যান্টের কোনো বিকল্প নেই। এর সঙ্গে টিশার্ট, ফতুয়া বা মেয়েরা কামিজ নিতে পারেন। আর অবশ্যই একাধিক জুতো রাখবেন সঙ্গে। বলাতো যায় না কখন কোথায় হোঁচট খেয়ে জুতো জোড়া অকেজো হয়ে যায়! * আপনি যদি ব্যবসায়িক কাজে ভ্রমণে বের হন তবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে দেখে নিন সব কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। আর যদি কোনো জরিপে বের হন তাহলে দেখে নিন সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় উপকরণ আপনার সঙ্গে আছে কি না। * ঘুরতে বের হলে হয়তো আদরের সন্তানটিকে বাসায় রেখে যেতে মন চাইবে না, সেক্ষেত্রে সবার আগে তার জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত খাবার আর ওষুধ নিয়ে নিন। সেই সঙ্গে শিশু হলে ডায়াপার, প্রয়োজন ও ‌ঋতু অনুযায়ী পোশাক তার কিছু টুকিটাকি খেলনা ইত্যাদি সঙ্গে নিতে ভুলবেন না একদমই। * সব শেষে এবার আপনার টুকিটাকি অথচ অপরিহার্য জিনিস যেমন সাবান, শ্যাম্পু, টাওয়াল, ব্রাশ, পেস্ট, চিরুনি, সেভিং ক্রিম, বডি স্প্রে, টুকিটাকি কিছু ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল, বোমির ওষুধ, স্যালাইন, প্যাটের সমস্যার ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ, প্রয়োজনে সানস্কিন, ছাতা ইত্যাদি।