বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আরও ২ জন ছাড়পত্র পেল

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আরও ২ জন ছাড়পত্র পেল রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও ২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪ জন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরল। এখনও সংটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছে ৪ জন। আজ বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আজ কাজী আমজাদ সাইদ (২০) ও সবুজা (৪০) নামে দুইজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমজাদ ঘটনাটিতে উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করছিলেন আর সবুজা (নারী) স্কুলটির কর্মচারী।এখন ৩৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যাদের মধ্যে ২৮ জনই শিশু। এদের মধ্যে সংটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে ৪ জন। যাদের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ এদের চাইতে একটু কম গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৯ জন। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ভর্তি রয়েছে। আপাতত মোট ভর্তি থাকা ৩৪ জন রোগীর মধ্যে শরীরে ৩০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে এমন রোগী আছে ৬ জন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ভর্তি রয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত ২ বেলা করে ইউনিট প্রধানরা কথা বলছেন এবং তাদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আরও বেশ কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক। এর আগে, শনিবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থী আয়ান খান (১২) ও রাফসিকে (১২)।

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৯

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৯ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪০৯ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৫৩০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ১৮ হাজার ২২৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে আজ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ছয় শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক চার শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ৭৬ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে এক জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে একজন রয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

আহান পান্ডে ঝড়: ৯ দিনে আয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা

আহান পান্ডে ঝড়: ৯ দিনে আয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মোহিত সুরি নির্মিত রোমান্টিক সিনেমা ‘সাইয়ারা’। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধেছেন নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডা। গত ১৮ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির আগেই আলোচনা তৈরি করেছিল আর মুক্তির পর রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। শুরুতে ৮০০ পর্দায় মুক্তি পেলেও সিনেমাটি এখন ২ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে। নতুন মুখ আহান পান্ডে অভিষেক সিনেমাতেই বাজিমাত করেছেন। অনীত পড্ডা একেবারে নতুন না হলেও মূলধারার সিনেমায় এটাই তার বড় সুযোগ। এর আগে কাজলের সঙ্গে ‘সালাম ভেঙ্কি’ ও ‘বিগ গার্লস ডোন্ট ক্রাই’ সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। এটি প্রযোজনা করেছে যশরাজ ফিল্মস। ৪৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা) বাজেটের ‘সাইয়ারা’ বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেলেছে? স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘সাইয়ারা’ আয় করে ২১.৫ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করে ২৬ কোটি রুপি, তৃতীয় দিনে আয় করে ৩৫.৭৫ কোটি রুপি, চতুর্থ দিনে আয় করে ২৪ কোটি রুপি, পঞ্চম দিনে আয় করে ২৫ কোটি রুপি, ৬ষ্ঠ দিনে আয় করে ২১.৫ কোটি রুপি, সপ্তম দিনে আয় করে ১৯ কোটি রুপি, অষ্টম দিনে আয় করে ১৮ কোটি রুপি, নবম দিনে আয় করে ২৬.৫ কোটি রুপি। ৯ দিনে ভারতে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৮.৯ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৮১.৭৫ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার বেশি। ২০২৫ সালে বেশ কিছু হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় ‘সাইয়ারা’ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এর আগে আছে রয়েছে ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ আর অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ সিনেমা।

ফুরফুরে মেজাজ পেতে এক কাপ চা!

ফুরফুরে মেজাজ পেতে এক কাপ চা! সকালে উঠে গরম চায়ে চুমুক না দিলে আপনার কি ঘুম ভাঙে না? অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝেই এক-দু’ কাপ চা চাই-ই-চাই। এক কাপ চা আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। এনে দিতে পারে ফুরফুরে মেজাজ। একইসঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো নাছোড়বান্দা অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও চায়ের জুড়ি নেই। হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কয়েকটি ভেষজ চা নিয়মিত পান করলে আপনার ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রক্তে শর্করার মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব ভেষজ চায়ের কথা: গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীরের প্রদাহ এবং কোষের ক্ষতি কমাতে পারে, পাশাপাশি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। দিনে দু’বার সবুজ চা পান করলে ওজন কমবে, রক্তে চিনির পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর সঙ্গে এক চিমটি জায়ফল গুঁড়া যোগ করলে ঘুম ভালো হয়। হিবিস্কাস টি : হিবিস্কাস টি চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। এটা প্রদাহ কমায়, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত থাকে। ব্ল্যাক টি : ব্ল্যাক টি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। দারুচিনির চা : দারুচিনির চা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এটি স্থূলতা কমানোর পাশাপাশি, হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়তা করে। শর্করার মাত্রা কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ক্যামোমাইল টি : অনিদ্রা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ঘুমের মান উন্নত করতেও এই চা অত্যন্ত সহায়ক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন দু-তিন কাপ ক্যামোমাইল টি পান করলেই পাবেন উপকার। হলুদ চা : চায়ের মধ্যে হলুদ দিয়ে বানানো চাকেই হলুদ চা বলে। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। কারকিউমিন ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করে, রক্তে স্বাস্থ্যকর শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

নিমে যে রোগের নিরাময় হয়

নিমে যে রোগের নিরাময় হয় নিমে যে রোগের নিরাময় হয়নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। নিম ওষুধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। শুধু নিম দিয়েই নিরাময় হয় ২২টি রোগ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠও খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। নিমের এই গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে। নিমে যে ২২টি রোগের নিরাময় হয়: খোস পাচড়া বা চুলকানি : নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়। কৃমিনাশক : পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। বাচ্ছাদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার জুড়ি নেই। শিশুরাই বেশি কৃমি আক্রান্তের শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য। রূপচর্চায় : বহুদিন রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতাসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়। দাঁতের রোগ : দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে : নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। চুল উজ্জ্বল,সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম। চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। চুলে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করুন। উকুন বিনাশে : নিমের ব্যবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে। খুশকি বিনাশে : নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। খুশকির চিকিৎসায় নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। চার কাপ জলে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এই জল ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিমের জল কন্ডিশনারের মত কাজ করবে। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়। ওজন কমাতে : যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিমফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। একমুঠো নিমফুল চূর্ণ করে নিয়ে এর সাথে এক চামচ মধু এবং আধা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন কাজ হবে। রক্ত পরিষ্কার করে : নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্ত চলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই। ঠান্ডাজনিত বুকের ব্যথা : অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ। পোকা-মাকড়ের কামড় : পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। জন্ডিস : জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়। জন্ডিস

কালজয়ী লোকসঙ্গীত শিল্পী আবদুল আলীমের জন্মদিন আজ

কালজয়ী লোকসঙ্গীত শিল্পী আবদুল আলীমের জন্মদিন আজ পল্লীগীতি, মুর্শিদি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, ইসলামি ইত্যাদি গানের শিল্পী হিসেবে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি। বাংলা লোকসংগীতকে যারা সার্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। বলছি কালজয়ী লোকসংগীত শিল্পী আবদুল আলীমের কথা। আজ প্রয়াত এই শিল্পীর ৯৪ তম জন্মদিন আজ। দেশের লোকসঙ্গীতের এই প্রাণ পুরুষ ১৯৩১ সালের আজকের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জানা গেছে, আবদুল আলীমের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর আয়োজক আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন। বাল্যকাল থেকেই সঙ্গীত অনুরাগী ছিলেন আবদুল আলীম। মাত্র তেরো বছর বয়সে আবদুল আলীমের প্রথম গানের রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে আবদুল আলীম কলকাতায় আব্বাসউদ্দিন ও কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে গান করেছেন। দেশ ভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন তিনি টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানে তিনি নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। পেশাগত জীবনে ঢাকা সঙ্গীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’সহ চলচ্চিত্রেও গান করেছেন আবদুল আলীম। তার গান করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো ‘লালন ফকির’। আবদুল আলীমের গানের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এ ছাড়া স্টুডিও রেকর্ডেও রয়েছে অনেক গান। এর উল্লেখযোগ্য- ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘হলুদিয়া পাখী’, ‘যার আপন খবর আপনার হয় না’, ‘নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা’, ‘মেঘনার কুলে ঘর বাঁধিলাম’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘দোল দোল দুলনি’, ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘কেনবা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাবো মদিনায়’, ‘কেহ করে বেচা কেনা কেহ কান্দে’, ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ ইত্যাদি। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য আবদুল আলীম বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাচসাস পুরস্কার, পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্সে পাঁচটি স্বর্ণ পদক। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এ শিল্পী। আজ আবদুল আলীম নেই কিন্তু চির উজ্জ্বল হয়ে আছে তার কণ্ঠসৃত অসংখ্য জনপ্রিয় গান। এসব গানের মাঝে তিনি সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগান্তর।

শুধু মেয়েরাই নন, পুরুষরাও করে, শুধু আলোচনায় আসে না: কাজল

শুধু মেয়েরাই নন, পুরুষরাও করে, শুধু আলোচনায় আসে না: কাজল সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের পরিচালনায় বলিউড অভিনেত্রী কাজলের নতুন সিনেমা ‘সরজমিন’। এতে অভিনয় করেছেন সাইফ পুত্র ইব্রাহিম আলি খানও। সম্প্রতি এই সিনেমা নিয়ে দেওয়া এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিককালে চেহারায় নানা ধরনের সার্জারি, ফিলার্স ও বোটক্স করার মতো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কাজলকে। তার কাছে এই বিষয়ে মতামত চাওয়া হলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই প্রশ্নের উত্তর দেন অভিনেত্রী। কাজল বলেন, আমার মনে হয় এটা যার যার নিজস্ব বিষয়। যে যেভাবে নিজেকে দেখতে ভালোবাসেন ও এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা চেহারায় নানা পরিবর্তন আনতেই পারেন। এটা একান্তই ব্যাক্তিগত বিষয়। তিনি বলেন, ছুরি কাঁচি চালিয়ে চেহারা বদলে ফেলাটা এমন কোনও বড় বিষয় নয় বলেই আমার মনে হয়। তার থেকেও আমার যেটা মনে হয়, শুধু মহিলারাই নন পুরুষরাও কিন্তু সার্জারির আশ্রয় নিয়ে নিজের চেহারা বদলান অনেক সময়। তবে তা সেভাবে আলোচনায় আনা হয় না। আরও যোগ করে বলেন, তারকা হোন বা আমজনতা এটা একেবারেই তাদের নিজস্ব পছন্দ। এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। এটা নিয়ে কটাক্ষ বা কোনও নেতিবাচক আলোচনা হওয়া অর্থহীন। অন্যদিকে বার্ধক্য নিয়ে বলতে গিয়ে কাজল বলেন, আমার মনে হয় বয়স হওয়া নিয়ে এত ভাবনার কিছু নেই। প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়বেই এটিকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।এই অভিনেত্রীর কথায়, জীবনের সমস্ত বয়সকে উপভোগ করতে জানতে হয়। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। যারা কম বয়সে প্রয়াত হয়েছে তারা যে জীবনটাকে আরও বেশিদিন দেখতে পেলেন না। বয়স হওয়াটা উপভোগ করতে পারলেন না এটা আমাকে কষ্টই দেয়। তাই আমার মনে হয় বয়স বাড়াটা এমন কোনও ভয়ানক বিষয় নয়।

গার্দিওলা-জাভির ‘আবেদনপত্র’ ভুয়া, জানাল ভারতের ফুটবল ফেডারেশন

গার্দিওলা-জাভির ‘আবেদনপত্র’ ভুয়া, জানাল ভারতের ফুটবল ফেডারেশন ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হওয়ার জন্য পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজ আবেদন করেছেন— এমন দাবিকে সরাসরি ভুয়া বলে উড়িয়ে দিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। গতকাল এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ফেডারেশন জানায়, এই দুই স্প্যানিশ কোচের নাম ব্যবহার করে যেসব আবেদন পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এআইএফএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এমন কিছু ইমেইল পেয়েছি যেখানে পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের নামে আবেদন জমা দেওয়া হয়। যাচাই করে দেখা গেছে, এই আবেদনগুলো ভুয়া। এগুলোর পেছনে কারা আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ’ এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এআইএফএফ-এর জাতীয় দল পরিচালনা বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, কোচ হিসেবে জাভির নামও আবেদনকারীদের তালিকায় দেখা গেছে। তবে ফেডারেশনের এক টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জানান, জাভিকে নিয়োগ দেওয়া এআইএফএফ-এর জন্য ‘অত্যন্ত ব্যয়বহুল’ হবে বলে বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। গত বছর জুনে ইগর স্টিমাচকে বরখাস্ত করার পর ভারত জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন স্প্যানিশ কোচ মানোলো মার্কেজ। কিন্তু তিনি চলতি মাসেই পদত্যাগ করে পুনরায় আইএসএল ক্লাব এফসি গোয়ার কোচের দায়িত্বে ফিরে গেছেন। ফলে নতুন করে কোচ খুঁজছে এআইএফএফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭০টি আবেদন পেয়েছে তারা। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর মাত্র তিনজনকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। সেই তালিকা নিয়েই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

দুই শতাধিক রান করেও রেকর্ড সপ্তমবার হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দুই শতাধিক রান করেও রেকর্ড সপ্তমবার হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০ রান মানেই জয়ের নিরাপদ গণ্ডি, এই ধারণা যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে এখন আর প্রযোজ্য নয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০৫ রান করেও হারলো তারা। সেটিও ৩ উইকেট আর চার বল হাতে রেখে! সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এমন লজ্জাজনক রেকর্ড গড়লো ক্যারিবীয়রা। ২০০’র বেশি রান তুলে এটি তাদের সপ্তম পরাজয়, যা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট হাতে জমজমাট পারফরম্যান্সই দিয়েছিল। শারফেন রাদারফোর্ডের ৩১, পাওয়েল ও শেফার্ডের সমান ২৮ রানের ইনিংসে ২০৫ রানে পৌঁছায় দলটি। কিন্তু বোলারদের হতাশাজনক প্রদর্শনী এবং তিনটি সহজ ক্যাচ মিস তাদের জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়া জয়ের লক্ষ্যে নেমে আগ্রাসী শুরু পায়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ১টি চার আর ৬টি বিশাল ছক্কা। ইংলিস খেলেন ৩০ বলে ৫১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তবে ম্যাচের আসল নায়ক হয়ে উঠলেন ক্যামেরন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ম্যাচের বিভিন্ন সময় বৃষ্টি খেলায় বিঘ্ন ঘটালেও, জয়ের গতিপথ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে সরাতে পারেনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান, সেই হিসেব মিটে যায় মাত্র দুই বলেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন বৃষ্টির মধ্যেই শেষ ওভার করতে এলেও মাঠের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন একেবারে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত। অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় সহজ জয়, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান পাহাড় গড়েও মুখ থুবড়ে পড়ে আত্মঘাতী ভুলে।

দাবানলে পু*ড়ছে গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের

দাবানলে পু*ড়ছে গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের ভয়াবহ দাবানলে আবারো পুড়ছে গ্রিস। পাঁচটি বড় দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ। এর মধ্যে রাজধানী অ্যাথেন্স থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আফিদনেস অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানলের ধোঁয়া অ্যাথেন্স শহর পর্যন্ত পৌঁছেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সহযোগিতা চেয়েছে গ্রিস সরকার। দেশটিতে তাপপ্রবাহও চলছে। রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সপ্তাহান্তজুড়ে এমন চরম তাপমাত্রা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রিসের জলবায়ু সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ইয়ানিস কেফালোইয়ানিস বলেছেন, “আমাদের দমকলকর্মীরা আহত হয়েছেন, মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে, সম্পদ পুড়ে গেছে, বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে।” প্রচণ্ড গরমের মধ্যে প্রবল বাতাস দাবানল আরো ছড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইইউ সিভিল প্রোটেকশন মেকানিজম থেকে অতিরিক্ত ছয়টি দমকল বিমান চেয়েছে গ্রিস। অ্যাটিকা অঞ্চলে (যেখানে অ্যাথেন্স অবস্থিত), আফিদনেসে শুরু হওয়া আগুন দ্রোসোপিগি, ক্রিওনেরি ও আগিওস স্টেফানোস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে বহু মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরতে হয়েছে। প্রধান আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ধোঁয়া ও আগুন দেখা যাচ্ছে। ২০০ জনের বেশি ফায়ারফাইটার, হেলিকপ্টার ও পানিবাহী বিমান আগুন নেভাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিয়া দ্বীপে পিসোনার কাছে দ্বিতীয় একটি দাবানল ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে এবং দ্রুত আফ্রাতির দিকে এগোচ্ছে। আগুনে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার পুড়ে যাওয়ায় পুর্নোস ও মিস্ট্রোসের মত কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দগ্ধ ও শ্বাসনালীতে ধোঁয়া যাওয়ায় এ পর্যন্ত ছয়জন দমকলকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; তবে ১১৫ জন কর্মী এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। দিরফিওন-মেসাপিয়নের মেয়র জর্জোস সাথাস বলেছেন, “ধ্বংসের পরিমাণ হিসাবের বাইরে।” তৃতীয় একটি দাবানল কিথিরা দ্বীপের বড় অংশকে গ্রাস করেছে। সেখানে রীতিমত ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চলছে বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয়রা। বেশ কিছু বাড়িঘর খালি করা হয়েছে। কোস্টগার্ড লিমনিওনাস বিচ থেকে ১৩৯ জনকে উদ্ধার করে কাপসালি বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। মেসিনিয়ার ত্রাফিলিয়া এলাকার পলিথেয়াতে শনিবার সকালে চতুর্থ দাবানল শুরু হয়, যা পরে আরো তীব্র হয়। সেখানে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৮৪ জন দমকলকর্মী, ৩০টি যানবাহন এবং সাতটি উড়োযান দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে সেখানে। পঞ্চম দাবানল চলছে ক্রিতির খানিয়া অঞ্চলের তামেনিয়া এলাকায়। সেখানে দুটি আলাদা স্থানে আগুন শুরু হওয়ার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরো কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আয়োনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিম গ্রিস, পিলোপনিস, মধ্য গ্রিস, অ্যাটিকা, এপিরাস, পশ্চিম মেসিডোনিয়া (ফ্লোরিনা, কাস্তোরিয়া, কোজানি), পূর্ব মেসিডোনিয়া ও থ্রেস (এভ্রোস), থেসালি (মাগনিসিয়া, লারিসা, ত্রিকালা), দক্ষিণ ঈজিয়ান (রোডস) ও ক্রিট। গত মাসে উত্তর এজিয়ান সাগরের খিওস দ্বীপে দাবানলে ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জুলাইয়ের শুরুর দিকে ক্রিটে আরেকটি দাবানলে ৫ হাজার পর্যটককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত গ্রিসে গ্রীষ্মকালের উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই দাবানলের ঘটনা ঘটে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক দাবানলগুলো আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।