১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা আগামী আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ বছর ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ (এফপিএমসি) কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, এবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ ছয় মাস। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাস এটি চলবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি স্থগিত থাকবে, এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ দুই মাস আবার কার্যক্রম চলবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান খাদ্য মজুত সন্তোষজনক। তবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য বন্যার কথা মাথায় রেখে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আরও পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সভায় খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিবন্ধনে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে ১৫ দিন

নিবন্ধনে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে ১৫ দিন নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা ১৪৪টি দলের কোনোটিই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতো পারেনি। ফলে সবগুলো দলকেই ১৫ দিন সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণের চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ জানান, প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে অন্যান্য দলগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি আছে তা পূরণ করতে হবে। গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলোকে আবেদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশকিছু দল আবেদন করলে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ায় সংস্থাটি। ওই সময় পর্যন্ত ১৪৪টি দল ১৪৭টি আবেদন করে।

৪৮ হাজার প্রবাসী ভোটার হতে আবেদন করেছেন

৪৮ হাজার প্রবাসী ভোটার হতে আবেদন করেছেন   নয়টি দেশ থেকে ৪৮ হাজার ৮০ জন ব্যক্তি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ভোটার হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৬৭ জন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, নতুন করে পাঁচটি দেশে ভোটার নিবন্ধনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছি। ইকুয়েপমেন্ট রেডি করতে হবে সেটার জন্য কাজ চলছে। এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সবগুলো দূতাবাসে ভোটার আইডির কাজ চালানোর সম্মতিও পেয়েছি। জাপানের পাবলিক আইপি পেতে একটু সময় লাগবে। আমি আশাবাদী, এ মাসের মধ্যে হবে। নতুন পাঁচটি দেশ হলো- ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্দান, আমেরিকা ও মালদ্বীপ। এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে নয়টি দেশে কার্যক্রম চলমান আছে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৮০ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। ২৯ হাজার ৬ শত ৪৬ জনের বায়োমেট্রিক নেওয়া হয়েছে। আর ১৭ হাজার ৩৬৭ জনকে ভোটার করে নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকের ৩২ হাজার শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

প্রাথমিকের ৩২ হাজার শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়। প্রেস উইং জানায়, গতকাল সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি। বৈঠকে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ’ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন। স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কি না এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।  তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায়, বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয় আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে। ’ এছাড়া দেশের সকল প্রাথমিক স্কুলকে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান। উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য-শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটা সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র‌্যাংকিং করছি। যে সব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি। তিনি জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে যে সব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক-ব্যবহার বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।