কিডনি ড্যামেজ হওয়ার ৭ লক্ষণ

কিডনি ড্যামেজ হওয়ার ৭ লক্ষণ কিডনির স্বাস্থ্যের কথা বলতে গেলে, বেশিরভাগ মানুষই কোমরের ব্যথা এবং প্রস্রাবের পরিবর্তনের মতো সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন। তবে কিডনির ক্ষতি অস্বাভাবিক উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করা হয়। সেই প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণগুলো সনাক্ত করতে পারলে তা জটিলতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি ড্যামেজ হওয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে- ১. মুখের মধ্যে ধাতব স্বাদ দীর্ঘস্থায়ী ধাতব স্বাদ বা মুখে দুর্গন্ধ কিডনির ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়ার কারণে ঘটে, যা ইউরেমিয়া নামে পরিচিত। যা স্বাদ উপলব্ধি এবং নিঃশ্বাসের গন্ধকে পরিবর্তন করে। ২. চুলকানি এবং শুষ্ক ত্বক যদিও ত্বকে চুলকানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তবে ক্রমাগত শুষ্কতা এবং জ্বালা কিডনির কর্মহীনতা নির্দেশ করতে পারে। কিডনি খনিজ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিডনি ড্যামেজ হতে শুরু করলে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ত্বকের গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৩. অস্বাভাবিক স্থানে ফোলাভাব এটি কিডনি রোগের একটি সুপরিচিত লক্ষণ, তবে এটি সবসময় গোড়ালি এবং পায়ের মতো স্থানে দেখা যায় না। মুখ, হাত, এমনকি চোখের চারপাশে ফোলাভাব কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের একটি প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ হতে পারে। ৪. শ্বাসকষ্ট হালকা কাজের পরে যদি বাতাসের জন্য হাঁপাতে থাকেন, তবে এটি কিডনির ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। কিডনি শরীরে তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিকভাবে কাজ না করলে ফুসফুসে অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ৫. ক্লান্তি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ফলে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্ক এবং পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। যার ফলে ক্রমাগত ক্লান্তি এবং মনোযোগ দিতে সমস্যা দেখা দেয়। ৬. ঘন ঘন পেশীতে খিঁচুনি ক্যালসিয়ামের কম মাত্রা এবং ফসফরাসের উচ্চ মাত্রার মতো ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা ঘন ঘন পেশীতে খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি কোনো আপাত কারণ ছাড়াই এই সমস্যাগুলো অনুভব করেন, তাহলে কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। ৭. সব সময় ঠান্ডা লাগা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উষ্ণ পরিবেশেও অস্বাভাবিক ঠান্ডা লাগার কথা জানান। এটি রক্তস্বল্পতার সঙ্গে সম্পর্কিত। যা টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়, এর ফলে ক্রমাগত ঠান্ডা লাগার অনুভূতি হয়।
তৃতীয় সংসারও টিকলো না হৃদয় খানের

তৃতীয় সংসারও টিকলো না হৃদয় খানের দেশের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় গায়ক হৃদয় খানের তৃতীয় সংসারেও ভাঙনের খবর মিলেছে। স্ত্রী হুমায়রার সঙ্গে একছাদের নিচে থাকছেন না হৃদয় খান। এই শিল্পীর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, হৃদয়কে ডিভোর্স দিয়েছেন তার তৃতীয় স্ত্রী হুমায়রা। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি এই দম্পতি। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন হুমায়রা। বহুদিন ধরেই নাকি একছাদের নিচে থাকছেন না হৃদয় খান ও তার স্ত্রী হুমায়রা। গায়কের ওপরে নানা কারণে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি। যে কারণে এই শিল্পীকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে বিচ্ছেদ হলেও পুরো বিষয়টি দুই পরিবারই গোপন রেখেছে। এমনকি বিচ্ছেদ নিয়ে হৃদয় খানও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, পুরো বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য করেই শেষ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নিজের চেয়ে বয়সে বড় দেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন হৃদয় খান। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট সুজানাকে বিয়ে করেন এই সংগীতশিল্পী। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কয়েক মাস পর রাজধানী একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হৃদয় খান-হুমায়রার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। হুমায়রার সঙ্গে এটি ছিল হৃদয় খানের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে পূর্ণিমা আকতার নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন হৃদয়। সেই সংসারও বেশিদিন টেকেনি। এরই মধ্যে শোনা গেল তৃতীয় সংসারেও ভাঙনের খবর।
ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই

ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই রাশমিকা মান্দানা অভিনীত চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘ছাবা’। লক্ষ্মণ উতেকার নির্মিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়ায় হিন্দি ভাষার ‘ছাবা’ সিনেমা। বাধ্য হয়েই আপত্তি ওঠা গানটি সিনেমা থেকে বাদ দেন নির্মাতারা। এসব বিষয় নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় এটি। মুক্তির পর দর্শক সমালোচকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তবে শুরু থেকেই বক্স অফিসে সাড়া ফেলে সিনেমাটি। আয়ের গ্রাফ ওঠানামা করলেও ভিকি-রাশমিকার সিনেমাটি এখনো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ছাবা’ পাঁচদিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৯৮.৮৫ কোটি রুপি। বিদেশে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৮.৮৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি)। ‘ছাবা’ সিনেমার গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ। দীনেশ বিজন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি।
২০৩২ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে মহাকাশ শিলা, যা বলছেন বিজ্ঞানীরা

২০৩২ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে মহাকাশ শিলা, যা বলছেন বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সর্বশেষ বিশ্লেষণ অনুসারে, ‘২০২৪ YR4’ নামের একটি গ্রহাণু ২০৩২ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানার ৩.১% সম্ভাবনা রয়েছে। এই হার এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২.৬% থেকে বেড়ে ৩.১%-এ পৌঁছেছে। প্রায় ১৭৭ ফুট চওড়া এই গ্রহাণুটি আকারে একটি বহুতল ভবনের সমান। যদিও এটি মানবসভ্যতা ধ্বংসের মতো বড় নয়, তবে এটি একটি বিশাল শহর নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে জানিয়েছে লাইভসাইন্স (LiveScience)। এ বিষয়ে প্ল্যানেটারি সোসাইটির প্রধান বিজ্ঞানী ব্রুস বেটস বলেন, আমি আতঙ্কিত নই। স্বাভাবিকভাবেই সম্ভাবনা বাড়তে দেখলে ভালো লাগে না, তবে এটি নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, পর্যবেক্ষণের ফলে প্রথমদিকে সম্ভাবনা বাড়তে পারে, তবে পরে তা দ্রুত শূন্যে নেমে আসার সম্ভাবনাই বেশি। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একটি সিমুলেশন শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখানো হয়েছে কেমন ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে এই মহাকাশ শিলা। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্রিডি অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ আলভারো গ্রাসিয়া মন্টোয়া এই সিমুলেশন তৈরি করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, গ্রহাণুটি একটি বড় শহরে আঘাত হেনে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করছে। ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর ‘২০২৪ YR4’ গ্রহাণুটিকে প্রথম চিলির এল সস অবজারভেটরি শনাক্ত করে। এরপর, আন্তর্জাতিক গ্রহাণু সতর্কীকরণ নেটওয়ার্ক (IAWN) জানুয়ারিতে একটি সতর্কতা জারি করে, যখন এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১% ছাড়িয়ে যায়। তখন থেকে এর সম্ভাবনা ওঠানামা করলেও সামগ্রিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। NASA-এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ YR4 গ্রহাণুটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৯৬.৯% সম্ভাবনা রয়েছে, এটি পৃথিবীকে এড়িয়ে যাবে। LiveScience-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রহাণুটির গতিপথ সম্পর্কে আরও নির্ভুল তথ্য পাওয়া গেলে এই ঝুঁকি শূন্যে নেমে আসতে পারে। এছাড়াও, একটি ছোট সম্ভাবনা রয়েছে (০.৩%) যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর বদলে চাঁদে আঘাত হানতে পারে। গবেষকরা গ্রহাণুটির গতিপথ নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন, যা ভবিষ্যতে আরো নির্ভুল বিশ্লেষণ দিতে পারবে। NASA এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো এই গ্রহাণুর গতিপথ নিয়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ঝুঁকি বেশি দেখায়, তবে পরবর্তী বিশ্লেষণে তা কমে আসে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২৪ YR4-এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে এটি মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণযোগ্য বস্তু। সূত্র : এনডিটিভি
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা ১৫৭ তিমি, মৃত ৬৭, ঝুঁকিতে আরও ৯০

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা ১৫৭ তিমি, মৃত ৬৭, ঝুঁকিতে আরও ৯০ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকতে ১৫৭টি তিমি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ইতোমধ্যেই মারা গেছে, বাকি ৯০টি তিমিও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তিমিগুলো ১৮ ফেব্রুয়ারি তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আর্থার রিভারের কাছে সৈকতে আটকে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অঞ্চলটি রাজ্যের রাজধানী হোবার্ট থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। আটকে পড়া তিমিগুলো মাঝারি আকারের ‘ফলস কিলার হোয়েল’, যা বৃহত্তম ডলফিন প্রজাতির একটি অংশ। প্রাপ্তবয়স্ক ফলস কিলার হোয়েল প্রায় ৬ মিটার লম্বা ও ১ দশমিক ৫ টন ওজনের হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত। ব্রেন্ডন ক্লার্ক, তাসমানিয়া পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের কর্মকর্তা, জানিয়েছেন, ‘তিমিগুলো সম্ভবত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে আছে। এর মধ্যে মাত্র ৯০টি জীবিত রয়েছে।’ তিমিগুলোকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানো সম্ভব কি না, তা বিশেষজ্ঞ ও পশু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করছেন। তবে ব্রেন্ডন ক্লার্ক বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ, এবং কর্মকর্তাদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জোসেলিন ফ্লিন্ট অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এবিসি) বলেন, ‘বুধবার সকালে আমার ছেলে মাছ ধরার সময় তিমিগুলোকে দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, অসংখ্য তিমি আটকা পড়েছে। তাদের মধ্যে ছোট বাচ্চা তিমিও রয়েছে… তারা আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল, যেন সাহায্য চাইছে।’ অস্ট্রেলিয়ায় তিমি আটকে পড়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে তাসমানিয়ার উপকূলে। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিম উপকূল এ ধরনের ঘটনার জন্য কুখ্যাত। ২০২০ সালে, তাসমানিয়ার ম্যাককোয়ারি বন্দরের কাছে ৪৭০টি পাইলট তিমি আটকা পড়ে। উদ্ধারকর্মীদের চেষ্টা সত্ত্বেও ৩৫০টির বেশি তিমি মারা যায়। ২০২২ সালেও, একই বন্দরে ২০০টি তিমি আটকা পড়ে। তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, যারা দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। সৈকতে আটকা পড়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে— খাদ্যের সন্ধানে ভুল দিক নির্দেশনা – উপকূলে ছোট মাছ শিকারের সময় তারা দিকভ্রান্ত হয়ে তীরে উঠে আসতে পারে। গোষ্ঠীগত আচরণ – দলের একটি তিমি ভুল করলে পুরো দল অনুসরণ করতে পারে। পরিবেশগত পরিবর্তন – সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বা অন্য প্রাকৃতিক কারণেও তিমিরা আটকে পড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে তিমি আটকে পড়া নতুন নয়, তবে একসঙ্গে এতগুলো ফলস কিলার হোয়েল আটকা পড়ার ঘটনা গত ৫০ বছরে ঘটেনি। এখন উদ্ধারকর্মীদের প্রাণপণ প্রচেষ্টাই নির্ধারণ করবে বাকি তিমিগুলো বাঁচবে কি না।
ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে বিশাল গ্রহাণু

ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে বিশাল গ্রহাণু ওয়াইআর৪ নামের এক বিশাল আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, যা আঘাত হানলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এদিকে নাসা, রসকসমস, সিএনএসএ ও ইসরোসহ বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা গ্রহাণুটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে।বিজ্ঞানীরা জানায়, গ্রহাণুটির আকার ৪০ থেকে ১০০ মিটার এবং বিজ্ঞানীরা একে ‘সিটি কিলার’ বা ‘শহরের খুনি’ নামে অভিহিত করছেন। ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামের এই গ্রহাণুটি ২০৩২ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। র্যাঙ্কিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রহাণুটি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর অথবা আফ্রিকার যে কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। এতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের মতো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এই তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক করেছে নাসা। মার্চ মাসে টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহাণুটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এরপর এটি মহাকাশের আরও গভীরে সরে যাবে। তাই এর ওপর নজরদারিতে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানায়, যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটবে, যা ৮০ লাখ টন টিএনটি বিস্ফোরণের সমান হতে পারে। এটি হিরোশিমায় ফেলা পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। তবে অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে বিস্ফোরিত হবে, যা প্রায় ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের একটি অঞ্চলকে ধ্বংস করতে পারে। এ বিষয়ে নাসা জানিয়েছে, ১০০ বছরে একবার মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যায়। বর্তমানে ২০২৪ ওয়াইআর৪-এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা দুই শতাংশ। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেলে এই ঝুঁকি কমে আসবে।বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ২০২৪ ওয়াইআর৪-এর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ভবিষ্যতে এটি পৃথিবীর জন্য কতটা বিপজ্জনক হবে, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ; নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ; নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো পাকিস্তান অপেক্ষায় পালা শেষে পর্দা উঠলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আজ করাচিতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।নিজেদের ঘরের মাঠে ২৯ বছর পর আইসিসির টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেশ আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট স্বাগতিক দেশটি।অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের দলে নেই অন্যতম পেসার লকি ফার্গুসন। চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন এই কিউই পেসার। তবুও বেশ আত্মবিশ্বাসী তারা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে অনুষ্টিত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আঘা, তৈয়ব তাহির, খুশদীল শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ। নিউজিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়োং, ডেভন কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামসন, ড্যারি মিচেল, টম লাথাম, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), নাথান স্মিথ, ম্যাট হেনরি, উইল ও’রুর্ক।
২৭ বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১১৩৭ জনের আপিলের রায় আগামীকাল

২৭ বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১১৩৭ জনের আপিলের রায় আগামীকাল ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১১৩৭ জনের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আজ তাদের পৃথক তিনটি আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া। ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা। ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। তার আগে ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকারপক্ষ। ২০১০ সালের ১১ জুলাই সেই লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন এ ১২০০ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে ঢুকবে, তখন ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেকেন্ড মৌখিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে মামলা হলো। হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারীরা জিতেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ সিপিতে (লিভ টু আপিল) বলেছিল দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা কারেক্ট ছিল। আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা রিভিউ করলেন। ৭ নভেম্বর সেই রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট। আজ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি: পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বররের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীন ভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট) আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ০২.২৫ মিনিট) প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীগণ তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করবে।প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।