জাকসু নির্বাচন: জরুরি বৈঠক শেষে আবার ভোট গণনা শুরু

জাকসু নির্বাচন: জরুরি বৈঠক শেষে আবার ভোট গণনা শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পর এ গণনা শুরু হয়। এদিন বিকেল ৫টার পর ভোট গণনা বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে অবশিষ্ট ভোট গণনা শুরু করার নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব একেএম রাশিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বের মতো ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চলতে থাকবে। তবে গণনা টিমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৯টা থেকে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কিছু কেন্দ্রে অবশ্য ভোটগ্রহণ শুরু হতে দেরি ও বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়। ভোট গণনার জন্য যে ওএমআর মেশিন কেনা হয়, তা জামায়াতের কোনো এক অখ্যাত কোম্পানির বলে ছাত্রদল অভিযোগ করলে ভোট হাতে গোনার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও ছাত্রশিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। হাতে গোনা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার বিধায় প্রথমে বলা হয় শুক্রবার সকালে ফলাফল ঘোষণা হবে। কিন্তু গণনা শেষ না হওয়ায় বারবার সময় বদলানো হয়। শেষমেষ জানানো হয়, রাত ১০টার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। এর মধ্যে সকালে ভোট গণনার সময় অসুস্থ হয়ে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা মারা যান। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা আকতার বলেন, আমার সহকর্মীর (চারুকলার শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস) মৃত্যুর জন্য প্রশাসন দায়ী। যদি মেশিনে ভোট গণনা হতো হয়তো আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারাতাম না। গত তিনদিন ধরে আমরা অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের কি পরিবার নেই? শারীরিক মানসিক ক্লান্তি নেই? তিনি বলেন, এভাবে এনালগ পদ্ধতিতে ভোট গণনা করলে তিনদিনেও ভোট গণনা শেষ হবে না। আমরা শিক্ষক, এসব আর মেনে নিতে পারছি না।
সোনামসজিদে হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ(র.) এর ওরস অনুষ্ঠিত

সোনামসজিদে হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ(র.) এর ওরস অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক গৌড়ের ছোট সোনামসজিদের অদূরে অবস্থিত তোহাখানা মসজিদ সংলগ্ন হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ (র.) এর মাজার ঘিরে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো মুসল্লী অংশ নেন। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষ শুক্রবার এই ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরসের মূল অনুষ্ঠান ছিল বাদ জুম্মা আখেরী মোনাজাত। বিশেষ এই দোয়ায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। এবার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন দুদক কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফয়সাল রায়হান, শিবগঞ্জের ইউএনও আজাহার আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত, শিবগঞ্জের এসি ল্যান্ড তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া সহ সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ। তবে বৃষ্টির কারণে ওরসের কার্যক্রমে এবার কিছুটা সমস্যা হয়। এদিকে ওরস ঘিরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক ও ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংলগ্ন সড়কগুলির দুপাশে বসেছে গ্রামীণ মেলা। মেলায় রয়েছে খাবার, খেলনা, মনোহারি ও রকমারি সহ বিভিন্ন দোকানপাট।
বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড উত্তর কোরিয়ার সরকার এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে বিশেষ করে যারা বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখে বা তা ছড়িয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটির জনগণের স্বাধীনতা আরও কঠোরভাবে দমন করছে এবং তাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর জানায়, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া তার নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি দিক আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক বিশ্বে আর কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর এত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, নজরদারির মাত্রা অনেক বেড়েছে, যা আংশিকভাবে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যেসব ভোগান্তি, নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আরও বেড়ে যাবে। গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩শ’ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের পর অন্তত ৬টি নতুন আইন চালু হয়েছে যা বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য করেছে। এর মধ্যে একটি অপরাধ হলো বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। কিম জং উন জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে। ২০২৩ সালে পালিয়ে আসা উত্তর কোরিয়ান কাং গিউরি বলেন, তার তিন বন্ধু দক্ষিণ কোরিয়ার কনটেন্ট রাখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পান। তিনি একজন ২৩ বছর বয়সী বন্ধুর বিচারে উপস্থিত ছিলেন, যিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তিনি বলেন, ‘সে মাদকাসক্ত অপরাধীদের সঙ্গে একসঙ্গে বিচার পেয়েছিল। এখন এই ধরনের অপরাধকে একে অপরের সমান বলে মনে করা হয়।তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে জনগণ আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব ঘটনা উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিগত দশকের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১১ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় এলে অনেকেই আশা করেছিলেন পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ তিনি বলেছিলেন জনগণকে আর ‘কষ্ট করে বাঁচতে হবে না’ অর্থাৎ তারা পর্যাপ্ত খাবার পাবে। তিনি দেশটির পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, ২০১৯ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে কিম যখন তার অস্ত্র কর্মসূচিতে জোর দেন, তখন থেকেই মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পালিয়ে আসা এক তরুণী বলেন, ‘কিম জং উনের শাসনের প্রথমদিকে কিছু আশা ছিল, কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ধীরে ধীরে মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার পথ বন্ধ করে দেয়, আর প্রতিদিন বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের যন্ত্রণায় পরিণত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১০ বছরে সরকার জনগণের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এই দমন-পীড়ন আরও সহজ করেছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।
ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের ভ্যাটিকানের প্রকাশিত এক বার্তায় ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরুদের সংঘটিত যে কোনো যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে বিশপদের নির্দেশ দিয়েছেন পোপ লিও। সেই সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগগুলোও যেন সামনে এনে নিস্পত্তি করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারি চার্চকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে এর অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনাগুলো ব্যয়বহুল মামলার সূত্রপাত করেছে এবং এর ফলে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিশপ পদত্যাগ করেছেন। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ডায়োসিসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত প্রায় ২০০ বিশপের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পোপ বলেন, ‘(অভিযোগ) গোপন রাখা যাবে না। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের প্রতি করুণা এবং সত্যিকারের ন্যায়বিচারের অনুভূতি নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে হবে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর মে মাসে নির্বাচিত লিও এর আগে পুরোহিতদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় এবং সিদ্ধান্তমূলক’ হতে বলেছেন। ১২ বছর ধরে ১.৪ বিলিয়ন সদস্যের চার্চের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সিসও ধর্মীয় গুরুদের ঘটানো যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো দমন করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারে রেখেছিলেন। তবে এর ফলাফল মিশ্র ছিল। নতুন বিশপদের সঙ্গে বৈঠকে লিও ফ্রান্সিসের অগ্রাধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। বিশপদের সকলকে স্বাগত জানিয়ে একটি গির্জা তৈরি করতে উৎসাহিত করেছেন, যেমনটি প্রয়াত পোপ প্রায়শই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকানের সারসংক্ষেপ অনুসারে, লিও ধর্মযাজকদের বলেছেন, ‘আমাদের সময়ের পুরুষ ও নারীরা যে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের (বিশপদের) বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্নবীকরণ করা উচিত। ২৫ বছর আগে সেমিনারিতে শেখা প্রস্তুতিমূলক উত্তরগুলো যথেষ্ট নয়।
বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন জেলায় দীর্ঘদিনের খেলা শূণ্যতা কাটিয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বিকাল ৪টায় জেলা ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) আলি আকবর আজিজী। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহমুদুজ্জমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয় লীগ পদ্ধতির এই খেলায় জেলার ৫টি অর্থাৎ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা ফুটবল দল প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকে খেলার পর শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মনোমুগ্ধকর করে সাজানো ষ্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক দর্শক, ক্রীড়ামোদি, খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া ও সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী খেলায় শিবগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ২-০ গোলে সদর উপজেলা ফুটবল দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টে শুভ সূচণা করে। সদর উপজেলা দলে ২ জন নাইজেরিয়ান বিদেশী খেলোয়াড় অংশ নেন।
সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল

সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল সৌদি আরবে শুধু নারীকে খেলা দেখানোর একটি টিভি চ্যানেল চালু হয়েছে। দেশটির নারী প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ম্যাচ ও অন্যান্য ইভেন্ট চ্যানেলটিতে দেখানো হবে। এটি চব্বিশ ঘণ্টা চলবে এবং চব্বিশ ঘণ্টাই নারীর বিভিন্ন খেলা প্রচারিত হবে। সৌদি আরবে চ্যানেলটি চালু করেছে অল ওমেন্স স্পোর্টস নেটওয়ার্ক (এডব্লিউএসএন)। সৌদির ফুটবল ফেডারেশন এবং জাতীয় ব্রডকাস্টার সৌদি স্পোর্টস কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপ ভিত্তিতে চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছে।‘এসএসজি এডব্লিউএসএন’ নামের এ চ্যানেলটির সম্প্রচার এমবিসি শহীদ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশটির নারীকে আগের যে কোনো বিষয় থেকে এখন বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেরা গাড়ি চালানোর অনুমতিও পেয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ১৭১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ১৭১ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও জোহর বাহরুতে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আজ ভোরে কুয়ালালামপুরের সেতাপাক এলাকার দানাউ কোটার ১৯ তলা ভবনে অভিযান চালিয়ে ১২৫ জনকে আটক করা হয়।কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, আটককৃতদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ ও ৪৪ জন নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে মিয়ানমারের ৬৯ জন, ভারতের ২৫ জন, পাকিস্তানের ১৪ জন, ইন্দোনেশিয়ার ১২ জন ও বাংলাদেশের ৫ জন রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং টানা দুই সপ্তাহের নজরদারির পর ৬৪টি ইউনিটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০০ জন অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়।অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের সময় অনেকেই পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান। এছাড়া বুধবার রাতে জোহরের উলু তিরম এলাকায় ‘অপস সাপু’ অভিযানে আরও ৪৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন ইন্দোনেশীয় পুরুষ, ১০ জন নারী, ১২ জন মিয়ানমার থেকে আগত পুরুষ, ৪ জন নারী, ৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ১ জন নেপালি এবং ২ জন ইন্দোনেশীয় শিশু (বয়স ২ থেকে ৬ বছর)। জোহর ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, আটকদের ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে এবং অভিবাসন আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগদাতা বা আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দলটির ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তবে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন যেকোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। সাবেক এই কূটনীতিক বলেছেন, “এটা বলা যায় যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সাথেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভারত প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে সম্মান করে উল্লেখ করে রাজ্যসভার এই সদস্য বলেছেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে স্রেফ অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কিছু নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক বাহিনী’ হিসেবে এই সংগঠনের ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, “তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই মুসলিম ব্রাদারহুড বিদ্যমান। এবং এই চিতাবাঘ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। ৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক কূটনীতিক ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদচিহ্নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি “বিদ্বেষী শক্তির মধ্যে যোগসাজশের একটি প্রকৃত বিপদ তৈরি করেছে, যা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন সাজের ষোলআনা পূর্ণ হয় লিপস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে! কিন্তু কিছু ভুলের কারণে লিপস্টিকের রং ঠোঁটে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। লিপস্টিক কত সময় ঠোঁটে ঠিকঠাক থাকবে, তা শুধু পণ্যের গুণে নয়, যিনি ব্যবহার করছেন, তার কৌশলের ওপরও নির্ভর করে। তাই লিপস্টিক ব্যবহারের সময় এসব কৌশল অনুসরণ করুন। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করে নিন রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক বেশি সময় টেকে না।’’ সেজন্য তাই লিপ স্ক্রাব বা হালকা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন, তারপর লিপ বাম লাগান। কয়েক মিনিট পর টিস্যু দিয়ে বাড়তি আর্দ্রতা মুছে ফেলুন। লিপ প্রাইমার ব্যবহার ঠোঁটে দীর্ঘ সময় লিপস্টিক ঠিক রাখতে হলে লিপস্টিক লাগানোর আগে পাতলা করে কনসিলার বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করুন। তাহলে ঠোঁটের রঙ সমান দেখাবে, আর লিপস্টিক বসে যাবে অনেক ভালভাবে। শেপ ও বেস তৈরি ঠোঁটের আউটলাইন টেনে নিতে পারেন। এজন্য লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। শুধু শেপ নয়, ভেতরে হালকা করে ভরাট করে নিলে লিপস্টিক আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কোট করে লিপস্টিক লাগান প্রথমে একটি কোট লিপস্টিক লাগান। তাতে টিস্যু দিয়ে হালকা চাপ দিন। তারপর আবার দ্বিতীয় কোট দিন। এই লেয়ারিং টেকনিক লিপস্টিককে কয়েক ঘণ্টা বেশি ধরে রাখবে। পাউডার সেটিং করুন লিপস্টিকের ওপরে টিস্যু চাপা দিয়ে তার ওপর হালকা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার লাগান। এতে লিপস্টিক সেট হয়ে যাবে, আর সহজে মুছবে না।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। এই সময়ে কোনও মৃত্যু ঘটেনি। এর ফলে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত থেকে ১৪৫ জনে রয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৪ জনসহ চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। দেশে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ১৪০৫ জন এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।