উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত : মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে হবে দাফন

উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত : মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে হবে দাফন অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এদিন বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শুক্রবার বাদ এশা রাজধানীর ধানমন্ডি সাত নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সোমবার সকাল ১০টায় তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন। তিনি জানান, তার মেয়ে কানাডা থেকে ফিরবেন আগামীকাল। মেয়ে দেশে ফিরলে তার দাফন করা হবে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবরে ডি-৮ সম্মেলন শেষে মিশর থেকে দেশে ফিরেই হাসপাতালে ছুটে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় শোক ও সমবেদনা জানান পরিবারের সদস্যদের। হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। দেখা করেন হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সজ্জ্বন, মৃদুভাষী হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। ল্যাবএইডে আসেন জামায়াতের আমির ড.শফিকুর রহমানও। তিনি বলেন, খাটি দেশ প্রেমিককে হারাল বাংলাদেশ। হাসান আরিফের মৃত্যুতে হাসপাতালে যান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, শুভাকাঙক্ষীরা। ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও।প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন হাসান আরিফ। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া, ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এ আইনজীবী।

নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবো : ড. ইউনূস

নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবো : ড. ইউনূস আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারের পতন হওয়ায় সম্প্রতি ইকোনমিস্টের কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার খেতাব জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি নেয় ব্রিটিশ সাময়িকীটি। সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয় ২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের পর তিনি কী করবেন? এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। এ জন্য আমি প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি আমার সারা জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা আন্দোলনে ফিরে যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত শক্তিশালী। তিনি বলেন, আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে। তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সক্ষম। এই তরুণেরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।