চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেমালী খাতুন ওরফে কান্দুনী নামে এক নারীকে একাধিকবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণ শেষে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা ও হত্যার পর, মরদেহ গুমের অভিযোগে দন্ডবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, সেই সাথে দন্ডিত দু’জনকে ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড ও একজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আচ দুপুরে দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক-সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার আসামীদের উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বালুটুঙ্গী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার, একই গ্রামের মৃত মিয়ারুদ্দীনের ছেলে মুনসুর আলীও মুশরীভুজা গ্রামের আব্দুল কারীমের ছেলে মফিদুল ইসলাম ওরফে সাহিরুল। এদের মধ্যে জাক্কার ও মফিদুলকে ১ লক্ষ টাকা এবং মুনসুরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ট্রাইবুনাল। নিহত সেমালী ভোলাহাটের ঘাইবাড়ী গ্রামের এন্তাজ আলীর মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (ষ্পেশাল পিপি) এনামুল হক বলেন,২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট সকালে ভোলাহাটের দলদলি ইউনিয়নের রাঙ্গামাইটা বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন তালাক প্রাপ্তা সেমালী। পরদিন ১৮ আগষ্ট সকালে ওই বিলের ধানক্ষেতের ভেতর একটি আমগাছের নীচে তাঁর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার হয়। মাথা পাওয়া যায় বেশ কয়েক গজ দূরে। এ ঘটনায় ওইদিন তাঁর মেয়ে ভোলাহাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) ও ভোলাহাট থানার তৎকালীন পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তদন্তে প্রাপ্ত ওই তিন আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে ট্রাইবুনাল ওই ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. তসিকুল ইসলাম, আব্দুল বারীসহ অন্যরা।