233

ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক গড়ে ১৫ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে গড়ে ১৩টি। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে রেল দুর্ঘটনায় ২২ জন ও নৌদুর্ঘটনায় সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সারা দেশে ৩৭৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩ নারী ও ৪৮ শিশুসহ ৪১৩ জন নিহত এবং ৪৬ নারী ও ১৯ শিশুসহ ৯৯৫ জন আহত হয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক, জাতীয় সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে। একই সময়ে রেলপথে ৩১টি দুর্ঘটনায় পাঁচ নারীসহ ২২ জন নিহত এবং এক নারীসহ ৮০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় এক নারী ও তিন শিশুসহ সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত প্রাণঘাতি সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশই ঘটেছে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি যানবাহনের চালকদের অসতর্কতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে। এ ক্ষেত্রে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যথাযথ নজরদারির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সড়ক ও মহাসড়কে ক্ষুদ্র যানবাহনের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, সকল টার্মিনালসহ বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক অসন্তোষসহ সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও দুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অনেক স্থানে রেলক্রসিংগুলোতে যথাযথ তদারকি ও নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বিভিন্ন রেলপথে দুর্ঘটনার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হয়। একইভাবে নৌনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) গৃহীত পদক্ষেপসমূহ পর্যাপ্ত নয় বলে জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।