সুপ্রিয়া দেবীকে গার্ড অব অনার দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

266

প্রয়াত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী (দেবী) কে গার্ড অব অনার দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অবস্থিত সুপ্রিয়া দেবীর বাড়িতে গিয়ে একথা জানান রাজ্যটির  মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিয়া দেবীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বিকালে তিনটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি থেকে সুপ্রিয়া দেবীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদন চত্ত্বরে। সেখানে সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানো শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ মরদেহ নিয়ে যওয়া হবে কলকাতা কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই হবে তার শেষকৃত্য। প্রিয় বেণু দি’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জানিয়ে মমতা ব্যানার্জি জানান, সুপ্রিয়া দেবীকে আমরা প্রত্যেকে ঘরের মানুষ, আপনজন হিসেবে জানি। তিনি ছিলেন স্বর্ণযুগের স্বর্ণশিল্পী, বিশেষ করে উত্তম কুমার-সুপ্রিয়া দেবী বা উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন আমাদের কাছে একটা আবেগ। আজও বাংলা সিমোর কথা মন পড়লে উত্তম-সুপ্রিয়া বা উত্তম-সুচিত্রার কথা মনে পড়ে। তাদের কথা আমরা জীবনে ভুলতে পারব না। এর সঙ্গে বাংলার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সুপ্রিয়া দির সাথে আমাদের সম্পর্ক একেবারে ঘরের মতো ছিল, যোগাযোগ ছিল। আজকে তিনি হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা প্রত্যেকেই শোকাহত, মর্মাহত, দুঃখিত। সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুর খবর পেয়েই তার বাড়িতে ছুটে যান রাজ্যটির বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তথ্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পরিচালক গৌতম ঘোষ, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, তার মা অভিনেত্রী-সাংসদ মুনমুন সেন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেন অসংখ্য গুণমুগ্ধ ও শোকাহত মানুষজন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুপ্রিয়া দেবী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।