৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল
টানা ১৫ মাসের বেশি যুদ্ধের পর গাজায় রবিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার পর, নারী ও শিশুসহ ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। ওই তিনজনকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে গোষ্ঠীটি। এপর ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে তেল আবিব। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের ৬৯ নারী এবং ২১ কিশোর রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। নানা ঘটনা শেষে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে ইসরায়েল। গতকাল রবিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়। গাজায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। আল জাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সে হামলার অবসান হলো ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪৬ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর এসব বন্দী মুক্তির বিপরীতে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে। একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।