৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মমতার কড়া নির্দেশ

দীর্ঘ ৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে ফের বসতে চলেছে বিশ্ব ইজতেমার আসর। নতুন বছরের শুরুতেই হুগলি জেলার তাজপুর থানার অন্তর্গত দাদপুরের পুইনান এলাকায় আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই ধর্মীয় মহাসমাবেশ। আগামী ২ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইজতেমা। ৫ জানুয়ারি আখরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

আয়োজকদের প্রাথমিক অনুমান, চার দিনে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির সমাগম হতে পারে। নামাজ আদায়, ইসলামী বয়ান শোনা এবং শান্তি-কল্যাণ ও আল্লাহর রহমত কামনায় একত্রিত হবেন মুসল্লিরা।

বিশ্ব ইজতেমার মতো এত বড় জনসমাবেশ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিশিষ্ট ইমাম, পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নবান্ন সূত্রে জানা, হুগলি জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য থাকা, খাবার, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা গুজব রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে সাইবার সেলকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শেষবার পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিন দশকের বেশি সময় পর ২০২৬ সালে বৃহৎ এই ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।