২৭ মিনিটে ঢাকা থেকে মাওয়া

141

   আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) খুলে দেয়া হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে। যেখানে মূল সড়কে থাকছে চারটি লেন। সঙ্গে সড়কের দুই পাশে থাকছে সাড়ে ৫ মিটার করে (একেক পাশে দুই লেন করে) দুটি সার্ভিস লেন। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে সব ধরনের যানবাহনকে।

এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। ঢাকা থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হওয়ার খবরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে আনন্দের বন্য বইছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। সদ্য নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এ দূরত্ব পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। অবশ্য এখনই সরাসরি ভাঙ্গা পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এ সুফল ভোগ করা যাবে। তবে এখন ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার অংশের কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর বাইরে মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন কিছু কাজের জন্য ২০১৮ সালের জুনে চার হাজার ১১১ কোটি টাকার আরেকটি পৃথক ডিপিপি অনুমোদন করে সরকার। এ ডিপিপি অনুযায়ী কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। দুটি ডিপিপি মিলিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-এসডব্লিউও (পশ্চিম)।