২১ সেপ্টেম্বর পবিত্র আশুরা

489

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সারাদেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান।
সভায় ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৭টি কেন্দ্র এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
‘সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, সোমবার (২৯ জিলহজ্জ, ১৪৩৯ হিজরি) সন্ধ্যায় দেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার পবিত্র জিলহজ্জ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আর আগামি ১০ মহররম অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে’।
ইসলামের ইতিহাসে বিষাদময় কারবালাসহ নানা ঘটনার স্মরণে আরবি সনের হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা পালিত হয়। তাই মুসলিম ধর্মের সুন্নিদের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তবে শিয়া মতাবলম্বীদের কাছে এটি বিষাদের দিন।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হন। শোকের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
ইসলামে ১০ মহররমের আরো তাৎপর্য রয়েছে। এদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি, পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি, মহান আল্লাহ তায়ালা নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় দিয়েছেন বলেও ইসলামে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়। সেদিন সরকারি ছুটি।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. জহির আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ওয়াক্ফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, বিটিভির পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসনাত, ঢাকা জেলার এডিসি (জেনারেল) মো. শহিদুজ্জামান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব ক্বারী আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।