১ অক্টোবর থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা নিষেধ  

255
আগামী ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২দিন মা ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১ অক্টোবরের আগে জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সভা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত চাঁদপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। এ অভিযানে এসব এলাকায় মাছ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। দেশের কয়েকটি অভয়াশ্রমের মধ্যে চাঁদপুরের ১শ’ কিলোমিটার এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনিস্টিটিউট চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের প্রধান মৎস্য গবেষক ডা. মাসুদ হোসেন খাঁন জানান, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এ অভিযানের ফলে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৯১ কেজি ডিম উৎপাদন হয়। ফলে ৩৯ হাজার ২৬৮ কেজি জাটকা যুক্ত হয়, সর্বোপরি জেলেরা ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গত ১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, সরকার জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সফল অভিযান পরিচালনা করায় মানুষ আবার ইলিশ উৎপাদনের সুফল পেতে শুরু করেছে। কাজেই এবারের নিষেধাজ্ঞার সময় সবাইকে মা ইলিশ রক্ষার আন্দোলনে নামতে হবে। তিনি বলেন, কোনো জেলে যদি মাছ ধরতে নদীতে যায়, তাদের সরাসরি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। সেই ব্যক্তির জেল হবে, জামিন পাবে না এবং জব্দ করা জাল ও নৌকা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করা হবে।যাদের প্ররোচনায় জেলেরা মাছ ধরতে যাবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।