১১ বছরে কোনদিন স্কুল বাদ না দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের ল্যাপটপ উপহার

192

কিশোর বয়সে চপলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল পালানোর ঘটনা খুবই সাধারণ। খুব কম শিক্ষার্থীই আছে যে স্কুল পালাইনি বা কোনো অজুহাতে স্কুলে অনুপস্থিত থাকেনি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফুলকুঁড়ি ইসলামিক একাডেমীতে ঘটেছে নজির বিরল ঘটনা। স্কুলের ছাত্র আমানুল্লাহ সবার থেকে ব্যতিক্রম। বর্তমানে ১৬ বছর বছর বয়সী এ ছাত্র তার ১১ বছরের স্কুল জীবনে একদিনও স্কুল বাদ দেয়নি। সে এবার এসএসসি-২০২০ পরীক্ষার্থী। রোদ কিংবা ঝড়, বৃষ্টি শীত, গ্রীষ্ম-বর্ষা বারো মাসেই এসেছে স্কুলে। পাশেই বাড়ি হওয়ায় স্কুলে সবাই এক নামে চিনে স্কুলটির দারোয়ান থেকে শুরু করে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা।
আমানুল্লার শিক্ষকরা জানান, সে একদিনও অনুপস্থিত ছিল না। এ ব্যাপারে আমানুল্লাহ জানান, সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা পরিকল্পিতভাবে এটা করেনি। প্রথম থেকেই স্কুলে যেতে ভাল লাগত তাই নিয়মিত যাওয়া। তাই বিদায় বেলায় তাকে তার স্কুল পুরস্কৃত করলেও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্ধীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এ জেড এম নুরুল হকের কানে আসে ১১ বছরে কোনদিন স্কুল বাদ না দেওয়ার কথা। একথা শুনে জেলা প্রশাসক তার মা বাবাকে দেখতে চান এবং তার মা-বাবার সামনে তিনি তাকে একটি ল্যাপটপ দেওয়ার ঘোষনা দেন। গতকাল ২৯ জানুয়ারি বুধবার জেলা প্রশাসকের কক্ষে তাকে একটি ল্যাপটপ তুলে দেন। সেখানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ তার মা-বাবা উপস্থিত ছিলেন। আমানুল্লাহ জানান, তিনি ছোট থেকেই লেখাপড়ার প্রতি খুবই মনোযোগী। বড় হয়ে তিনি একজন আদর্শ ডাক্তার হয়ে সবার সেবা করতে চায়। তার এ অর্জনের জন্য তার নাম গিনেজ ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ডের জন্য তিনি সহ তার সহপাঠীরা আবেদন জানিয়েছেন।