১০ হাজার নয় এক হাজার অংশ নিচ্ছেন পবিত্র হজে

107

এবার ১০ হাজার নয় এক হাজার হাজী অংশ নিচ্ছেন পবিত্র হজ পালনে। আগামী ৩০ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পালিত হবে এবারের (২০২০ সালের) পবিত্র হজ।

করোনা মহামারীর কারণে এবছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নিবন্ধনকৃত ১০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে মাত্র এক হাজার হাজীকে নির্বাচিত করে গত ২৫ জুলাই থেকে আবাসিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখানেই শারীরিক সুস্থতাসহ হজের প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ সমাপ্ত করেছেন হাজীরা। এবারই প্রথম সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিশ্বের ১৬০টি দেশের নাগরিকরা হজে অংশ নিচ্ছেন।

বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরিফ ও কালো পাথর (হুজরে আসওয়াদ) চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দান ছাড়া সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে। এখানে হাজীরা যোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।

এর আগে ৮ জিলহজ মীনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। ৯-জিলহজ রাতে মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন। এখানে মাগরেব এবং এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। পর দিন ১০ জিলহজ শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারবেন। এজন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে (সৌাদি কর্তৃপক্ষ এসব পাথর সরবরাহ করবেন)। এভাবে পর পর আরও দুই দিন শয়তানের উদ্দেশ্য কংকর মারতে হবে। এরপর মাথা মুন্ডন করে কোরবানি দিতে হবে। এছাড়া প্রথম দিনের কংকর মারা শেষ হলে, চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল হাজীকে মীনায় নির্দিষ্ট আবাসনে থাকতে হবে।

সৌদি আরবের র্ধম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এসব জানানো হয়েছে। হজ পারমিট ছাড়া হজের জন্য পবিত্র স্থান মীনা, মুযদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রবেশ গত ২৫ জুলাই থেকে হজের পঞ্চম দিন ১২ জিলহজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকছে। এসময় কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমান গুণতে হবে। একই নিয়ম দ্বিতীয়বার ভঙ্গ করলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।

মহামারীর কারণে এবার কোনো বিদেশিকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি আরব। যারা আগে থেকে সেখানে (সৌদি আরবে) অবস্থান করছেন। শুধু তারাই হজ পালন করতে পারবেন। হজে ১ হাজারের মধ্যে ৭০০ জন বিদেশি মুসলিম নাগরিক এবং ৩০০ জন সৌদি নাগরিক অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া অংশ গ্রহণকারী হাজীদের বয়স ২০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছে। এছাড়া মীনা, আরাফা, মুজদালিফা ও জামারার হজের কার্যক্রমে প্রতি দলে ২০ জন করে অংশ নেবেন। এমনকি হজ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনী ও হাপানি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে তিনিও হজে অংশ নিতে পারবেন না।