হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে সৌদি প্রিন্স নিহত

424

ইয়েমেন সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকজন সহকর্মীসহ এক সৌদি প্রিন্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
গত রোববার সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স মনসুর বিন মুকরিন কয়েকজন কর্মকর্তাসহ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করার সময় সেটি বিধ্বস্ত হয় বলে এল আখবরিয়া নিউজ চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসির।
স্থানীয় সংবাদপত্র ওকাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী আসিরের উপকূল ঘুরে দেখার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হয়। তারা ওই এলাকায় একটি তদারকি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
তবে এতে হেলিকপ্টারটির বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারণটি অজ্ঞাতই রয়ে গেছে।
প্রিন্সের অন্যান্য সফরসঙ্গীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি; তবে ওকাজ জানিয়েছে, নিশ্চিত করা হয়নি এমন প্রতিবেদনগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গেছে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির কোনো আরোহী বেঁচে নেই।
এর একদিন আগে রাজধানী রিয়াদের বাদশা খালেদ বিমানবন্দরের কাছে ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল সৌদি আরব।
এর আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন একটি দুর্নীতি দমন কমিটি গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশটির ১১ জন প্রিন্স, চারজন মন্ত্রী এবং সাবেক মন্ত্রীসহ বহু লোককে আটক করা হয়।
এর পাশাপাশি দুজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও রয়েছেন।
সৌদি বাদশাহ সালমান গত শনিবার আলাদা ডিক্রিতে এই রদবদলের আদেশ দেন, যার মধ্যে দিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রভাব আরও সুসংহত করা হল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত প্রিন্স মনসুর বিন মুকরিন আরেক সাবেক যুবরাজ মুকরিন বিন আবদুল আজিজের ছেলে।
বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ২০১৫ সালে সৌদি আরবের ক্ষমতা গ্রহণ করার কয়েক মাস পর তার সৎভাই মুকরিনকে যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দেন। এরপর ভাতুষ্পুত্র মোহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজ আর নিজের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স বানিয়েছিলেন বাদশা সালমান।
কিন্তু চলতি বছরের জুনে ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজের ছেলে মোহাম্মদকে রাজসিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী যুবরাজ ঘোষণা করেন তিনি।