হামাসের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইসরায়েল

47

শুক্রবার ১৫ মার্চ জাহাজটি অবরুদ্ধ উপত্যকার উপকূলেত্রাণ প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে পৌঁছেছে। উপত্যকায় অনাহারের দুর্ভোগ থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা আরেকবার ব্যর্থ হয়েছে হামাসের প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে। ওপেন আর্মস জাহাজটি সাইপ্রাস থেকে ২০০ টন খাবার নিয়ে গাজা উপকূলে শুক্রবার পৌঁছেছে। উপত্যকার সৈকত থেকে জাহাজটি খালি চোখে দেখা যাচ্ছে। দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) ত্রাণ সরঞ্জামগুলো অস্থায়ী জেটিতে সরবরাহের আশা করছে। যদিও কীভাবে এগুলো ভূমিতে পৌঁছাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদি এই নতুন সমুদ্রপথ সফল হয় তাহলে তা হয়ত গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব করতে পারে। ছয় মাসে গড়ানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ২৩ লাখের মানুষের বেশিরভাগ অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছেন। হাসপাতালগুলোতে অনাহারে শিশুদের মৃত্যুর ঘটছে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো বারবার বলে আসছে, সমুদ্র বা আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ গাজাবাসীর প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত হবে না। হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান প্রমাণ করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে এবং যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছানোর সব চেষ্টাকে নস্যাৎ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যাতে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা পবিত্র রমজান মাসে একটি যুদ্ধবিরতির একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য তার দেশ এখনও কাজ করছে।