হাথুরুসিংহে না থাকায় ক্রিকেটাররা আরও দায়িত্বশীল হবে

182

বোলিং শেষ করে একাডেমি মাঠ থেকে বের হচ্ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তখনই মাঠে ঢুকছিলেন রিচার্ড হ্যালসল। ছুটি শেষে বুধবারই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ। মাশরাফি এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “খবর কি?” হ্যালসলের উল্টো জিজ্ঞাসা, “হাঁটুর কি অবস্থা?” “ভালো” জেনে আশ্বস্ত হয়ে সহকারী কোচ বললেন, “দায়িত্ব নিতে হবে অনেক।”
‘দায়িত্ব’ শব্দটিই সবচেয়ে বেশি ঘুরে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে। দায়িত্ব কতটা বেশি, সেটি বোঝাতে গিয়ে দুই অধিনায়ক সাকিব ও মাশরাফিকে ‘কোচ’ বলেই ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান। সিনিয়রদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন সবাই।
হ্যালসলের কণ্ঠেও একই কথা। চন্দিকা হাথুরুসিংহে আচমকা চলে যাওয়ায় ক্ষতি কম-বেশির হিসাব কষছেন অনেকে। কিন্তু হাথুরুসিংহের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন যিনি, সেই সহকারী কোচ উল্টো দেখিয়ে দিলেন লাভের ভাগটুকু।
“আমার মনে হয়, চন্দিকার চলে যাওয়ার মূল কারণ সে এই মুহূর্তে এই ক্রিকেটারদের মধ্যে খুব বেশি কিছু যোগ করতে পারত না। আমার মতে তাই ক্রিকেটাররা এখন দারুণ জায়গায় আছে। চন্দিকার না থাকা ওদের আরও বেশি করে ভাবার ও আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ দেবে।”
হ্যালসলের মতে, সিনিয়র ক্রিকেটাররাই এই দলের প্রাণ।
“বাংলাদেশের ভাগ্য খুবই ভালো যে দলটির দুর্দান্ত সব সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। দুই অধিনায়ক মাশরাফি ও সাকিবের সঙ্গে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম আছেন। ওরা এখন আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে পারবে। বয়স বাড়লে লোকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়, সেটি রোমাঞ্চকর। এই দলের জন্য সামনের সময়টুকুও দারুণ রোমাঞ্চকর পদক্ষেপ।”
এই রোমাঞ্চকর অভিযানে বড় দায়িত্ব থাকবে হ্যালসলেরও। মূল কোচ না থাকলে আপতকালিন দায়িত্ব অনেক সময় সহকারী কোচকেই দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ভার হ্যালসল পাননি, তবে দায়িত্বের পরিধি থাকবে একইরকম। বিসিবি প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন হ্যালসল ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদবী পাওয়া খালেদ মাহমুদ মিলে দেখভাল করবেন দলের।
হ্যালসল অবশ্য এই দায়িত্বকে আগের চেয়ে খুব বেশি আলাদা করে দেখছেন না।
“আমার মনে হয় না আগের চেয়ে কাজ খুব একটা আলাদা। কোচিংয়ের দিকটি আমি দেখি, সবসময় সেটিই করে আসছি। এবারও সেটিই করব। সাপোর্ট স্টাফের কাজ হলো ক্রিকেটারদের ম্যাচ জয়ের জন্য সম্ভব সেরা ভাবে প্রস্তুত করে তোলা। নামের পাশে তাই পদবী যেটিই থাকুক, কাজ বদলাচ্ছে না।”
“সবার চাওয়া বাংলাদেশ যেন ম্যাচ জেতে। যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে। আমি যে কোনো ভাবে সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমার কাজ।”