ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘ওয়ার্ক হার্ড, প্লে হার্ড’। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যেন এমন সরল বিশ্বাসে বিশ্বাসী। বিশ্বাসী না হলে অনুশীলনের মঞ্চেই ম্যাচের আবহ বানিয়ে ফেলার মতো কঠিন কাজ তিনি হয়তো করতেন না।
চেমসফোর্ডে আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ইংলিশ কন্ডিশনে পরীক্ষার আগে শিষ্যদের প্রস্তুতি দিতে সিলেটে তিনদিনের ক্যাম্পের আয়োজন করেন হাথরুসিংহে। যেখানে স্কিল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সেশনে ক্লাস নিয়েছেন। ছিল ওপেন ডিসকাসন সেশনও। খোলামেলা আলোচনায় সবার ভাবনার গভীরতা জানার পাশাপাশি দলের লক্ষ্য, পরিকল্পনা, ম্যাচ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ব্যাটসম্যানদের কাছে নিজের প্রত্যাশাটা খোলাখুলিই জানালেন লঙ্কান এই কোচ, ‘ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে (ব্যাটিংয়ে)।’
মাঠে তিনদিনের ক্যাম্পে হাথুরুসিংহে যা চেয়েছিলেন সবটাই পেয়েছেন, ‘আমরা কন্ডিশন নিয়ে খুবই খুশি। আমরা যেমন চাই, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের খুব ভালো…(প্রস্তুতি হয়েছে)। আপনি দেখতে পারেন ছেলেদের এনার্জি। ইন্টেনসিটি খুব ভালো ছিল, আমি এটাতে খুশি।’
ইতিবাচক মানসিকতার যে বার্তা হাথুরুসিংহে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আজও সেই কথা বলেছেন, ‘আমাদের অ্যাপ্রোচ সবসময় থাকবে ইতিবাচক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার। এর মানে এমন না যে, বল মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে। ক্রিকেটারদেরও আমি এই কথা বলি সবসময়। আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হলো, যা-ই করি না কেন, ইতিবাচক আগ্রামী ইন্টেন্ট নিয়ে করা। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে। আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে যাই, যেন তারা মাঠে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’