Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

হজযাত্রীদের যা জানা আবশ্যক

হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। অন্য যে কোনো ইবাদতের চেয়ে হজের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা স্বতন্ত্র। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের ওপর হজ পালন করা ফরজ। হজ একটি শারীরিক, আর্থিক ও আত্মিক ইবাদত। অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে এর পন্থা ও পদ্ধতি আলাদা। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট আহকাম অনুসরণ ও অনুকরণের নাম হজ। এই ইবাদতে আর্থিক ও শারীরিক উভয়ের অংশগ্রহণ রয়েছে। বিপুল অর্থ এবং পর্যাপ্ত শ্রম দিতে হয় হজ ও ওমরাহর জন্য। সুতরাং এত কষ্ট ও ত্যাগের এই ইবাদতটি যথাযথ নিয়ম ও পদ্ধতিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামি ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে হাজীদের নিবন্ধন, মেডিক্যাল টেস্টসহ আনুষঙ্গিক কর্মকা- নিয়ে ব্যস্ত হজযাত্রীরা। আগামি ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর ২৪ জুলাই থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এবার যারা হজে যাচ্ছেন, তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আর এসব বিষয় সামনে রেখে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম আল্লাহর ঘরের মেহমান হাজি সাহেবদের জন্য হজ পালনের প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান, হজের প্রয়োজনীয় মাসয়ালা, হজের সফরে নানাবিধ সমস্যা ও জটিলতা এড়িয়ে যথার্থভাবে হজ পালনের লক্ষ্যে একটি সংক্ষিপ্ত হজ গাইড প্রকাশ করছে। হজযাত্রায় মানসিক প্রস্তুতিটা বড় বিষয়। মনে মনে প্রস্তুতি নিন- আল্লাহর ঘর ও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারত করতে যাচ্ছি। যত কষ্টই হোক তা অম্লান বদনে সইব। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করব না। মানসিকভাবে দৃঢ়তা থাকলে হজযাত্রার কষ্ট বহুলাংশে কমে যায়। হজ যেন কবুল হয়, সবকিছু যেন সহজে সম্পন্ন করা যায়- এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন। যে ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজে যাচ্ছেন তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোসম্পর্কে খোঁজখবর নিন। আপনার কাফেলায় আরও কারা কারা যাচ্ছেন সম্ভব হলে তাদের সঙ্গেও পরিচিত হয়ে নিন। সফরসঙ্গীদের মধ্যে আগে থেকে জানাশোনা থাকলে অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সম্ভব হলে কোথাও হজ প্রশিক্ষণে অংশ নিন। এটা হজ পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেনিনজাইটিস-ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক টিকা দিন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকার পর মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন। মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া হজে যেতে পারবেন না। ভিসা ও টিকিটের ব্যাপারে নিশ্চিত হোন। প্রয়োজনীয় সৌদি মুদ্রা (রিয়াল) সংগ্রহ করুন। মালপত্র যথাসম্ভব হালকা রাখুন। ফ্লাইটের সময়সূচি জেনে কয়েক ঘণ্টা আগেই হাজিক্যাম্প বা বিমানবন্দরে হাজির হোন। রাজধানী ঢাকার যানজটের কথা মাথায় রেখেই ঘর থেকে বের হওয়া উচিত। নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছতে হবে। বিমানের কাউন্টারে মালপত্র বুকিং দিন। টোকেনটি যতœ করে রাখবেন। কারণ, জেদ্দা বিমানবন্দরে ওই টোকেন দেখালে সেই ব্যাগ আপনাকে ফেরত দেবে।
জেদ্দায় নামার পরই মোয়াল্লেমের নম্বর (আরবিতে লেখা) কব্জি বেল্ট দেওয়া হবে আপনাকে, তা হাতে পরে নেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র গলায় ঝোলাবেন। মক্কাগামী বাসে ওঠার পরই আপনার পাসপোর্ট নিয়ে যাবে। এতে ঘাবড়াবেন না। দেশে আসার সময় যথাসময়ে আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন।

Exit mobile version