হকি বিশ্বকাপে রুপা জিতলেন ক্রিকেটার

199

১৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল আয়ারল্যান্ড। আগের তিন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১১তম অবস্থানে উঠেছিল দলটি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও সেরা অবস্থান পঞ্চম, সেটিও সেই ২০০৫ সালে। এ দলের কাছে তাই তেমন একটা প্রত্যাশা ছিল না কারও। সেই আয়ারল্যান্ড সবাইকে চমকে দিয়ে উঠে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে। লন্ডনের ফাইনালে আটবারের চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসের কাছে ৬-০ গোলে থেমেছে তাদের স্বপ্নযাত্রা।
স্বপ্নযাত্রা থামার পরই ধীরে ধীরে সবার নজরে আসছে চমৎকার গল্পগুলো। এই যেমন এলেনা টাইসের গল্পটাই ধরুন। ১৩ বছর বয়সে অনেক খেলোয়াড়ই ঠিক করে উঠতে পারেন না, এটাই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন কি না। সেখানে আইরিশ এই মেয়ে ২০১১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন। এতেও সন্তুষ্ট হননি, ১৮ বছর বয়সে আইরিশ হকি দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। দুই বছরের মাথায় ইতিহাসেই নাম লিখিয়ে ফেললেন টাইস। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন ক্লাবের এই ডিফেন্ডার অর্থনীতির ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও যে ভালো সেটা তো তাঁর প্রোফাইল ঘাঁটলেই বোঝা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজাত এক শ্রেণির অংশ এখন টাইস। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলও খেলেছেন। বিশ্বকাপে গোলও আছে তাঁর। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক সুজি বেটস দেশের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন। কিউই অলরাউন্ডার সোফি ডিভাইন অবশ্য টাইসের মতোই, ক্রিকেটের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়ে হকি খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁরও। একদিক থেকে টাইস অবশ্য একটু ভিন্ন। অন্যরা যেখানে ফুটবল কিংবা বাস্কেটবলের মায়া ছেড়ে ক্রিকেটেই মনোযোগ দিয়েছেন, আইরিশ মেয়ে সেখানে হকিকেই মূল ধ্যানজ্ঞান বানিয়েছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা টাইস সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিন বছর আগে। ২০১৫ সালের ২২ আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর থেকেই হকিতে মনোযোগ দিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল না, তিন বছরের মাথায় বিশ্বকাপের রানার্সআপ ট্রফি পেয়ে যাওয়াতেই সেটার প্রমাণ মিলল।