স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমকি : রিজভী

289

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে বিচার বিভাগের যে কোন স্বাধীনতা নেই সে কথা প্রধান বিচারপতি বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি দেশের সাধারণ নাগরিকরাও প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার চায় না যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক।’তিনি বলেন, ‘নিষ্ঠুর রাজতন্ত্রের মতোই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সকল বিভাগের ওপর প্রভুত্ব করতে চান। এই প্রভুত্বে চ্যালেঞ্জ হচ্ছেন বলেই এখন তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে উচ্চ আদালতে যে শুনানি চলছে এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নিন্দেশনাকে বারবার উপেক্ষা করে সরকার তার চুড়ান্ত ক্ষমতা সর্বত্র জানান দিয়েছে।’পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন-বিচারপতিদের অভিশংসন নিয়ে শুনানীতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা কীভাবে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের ধমকি ধামকি দিয়েছেন। গণমাধ্যমে এখবর প্রকাশের পর সরকারের আসল রুপ উন্মোচিত হয়েছে। তারা যে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীকে জেল-জুলুমসহ মিথ্যা মামলায় নানাভাবে হয়রানি করছে-তা প্রধান আইন কর্মকর্তার হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়ে গেছে। সরকার এই অ্যাটর্নি জেনারেলকে দিয়েই বিগত কয়েকটি বছর চেষ্টা চালিয়েছে। এই অ্যাটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি এক হুমকি।’রিজভী বলেন, ‘সরকার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে তা মিথ্যা। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখন চরম মিথ্যাচার করছে। গতকাল (রোববার) এনইসি বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেন বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ গতকালই বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে-বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছরেও প্রবৃদ্ধি কমবে। যা হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিনিয়োগ পরিবেশে অবনতি, প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের পতন ও রফতানি আয়ের বৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসায় এবার সার্বিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম হবে।’রিজভী বলেন, ‘বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস থেকেও আরও কম। কারণ ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধনও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী খেয়ে ফেলেছে। আস্থার সংকটে বর্তমানে আর্থিক খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় শুণ্যের কোঠায়। প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিটেন্স এর পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।’