সৌন্দর্যচর্চায় মেনে চলুন ‘মাইন্ডফুল’ হ্যাবিট

48

দুশ্চিন্তা সৌন্দর্যবর্ধনে অন্যতম বাধা। এতে ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুশ্চিন্তা বাড়লে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়, নির্জীবতা বাড়ে, বলিরেখা স্পষ্ট হয়। আবার দুশ্চিন্তা কমে গেলে ধীরে ধীরে এসব সমস্যাও কমে আসে। এ কারণে দুশ্চিন্তা কমাতে ‘মাইন্ডফুল’ হ্যাবিটগুলো গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।

ত্বকের পরিচর্যা হোক লক্ষ্য : রূপচর্চার প্রতি আস্থা না থাকলে বা কনফিডেন্স না পেলে, যত যত্নই করুন না কেন, কাজে আসবে না। তাই প্রথমে নিজেকে বোঝান, ত্বকের পরিচর্যা মূল লক্ষ্য। আর আবেগ থেকে দূরে সরে আসুন। লক্ষ্য স্থির করুন, ত্বকের যত্ন থেকে কেমন ফল আশা করেন এবং সে অনুযায়ী লক্ষ্যে স্থির থাকুন।

ধৈর্যশক্তি বজায় রাখুন : মনকে উৎফুল্ল রাখা ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অনেকে অভ্যাসবশত প্রতিদিন ফেসওয়াশ করেন। তবে এজন্য ১০-১৫ সেকেন্ডও সময় ব্যয় করেন না। ফলে সময় ও পরিচর্যা দুটোই বিফলে যায়। এমতাবস্থায় অন্তত ১ মিনিট ধরে ফেসওয়াশ ম্যাসাজ করা জরুরি। কেননা ত্বকের যতেœ ধৈর্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

পরিপূর্ণতা নয়, উন্নতি জরুরি : আপনার এখন যা পারফেক্ট মনে হচ্ছে, হয়তো তা অর্জনের পর পরিপূর্ণতার সংজ্ঞাই বদলে যাবে। তাই পরিপূর্ণতাকে ধাওয়া না করে বরং ত্বকের উন্নতি হচ্ছে কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখুন : এটি কমানোর অসংখ্য উপায় রয়েছে। স্ট্রেসের ধরন ও প্রাবল্যের ওপর নির্ভর করে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে একজিমা, সোরিয়াসিস, অ্যাকনের মতো সমস্যা কমে আসে। অন্যদিকে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

ত্বকের ইশারা বুঝুন : রোজকার যত্নে ত্বকের উপকার হচ্ছে কি না, আয়নায় একটু খুঁটিয়ে দেখলেই কিন্তু তা বোঝা সম্ভব। ত্বকে কী কী পরিবর্তন হচ্ছে, খেয়াল করুন। কোন প্রডাক্ট ত্বকের উপকার করছে আর কীসে ক্ষতি হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারলে যত্ন নেওয়া আরও সহজ হবে।

ভরসা রাখুন যত্নে : যেভাবেই যত্ন নিন, যে পণ্যই ব্যবহার করুন, মন থেকে করলে ফল পাবেনই। ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেও ত্বক ভালো রাখা সম্ভব। ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করলেও পরিষ্কার, সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব। সবটা নির্ভর করে কতটা আন্তরিকতায় করছেন, তার ওপর।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন : শরীরে-মনে সতেজ অনুভব করতে চাইলে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। যখন এক্সারসাইজ করবেন, শরীরের পরিবর্তনগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা দুটোই বাড়তে দেখবেন সচক্ষে।