সৌদি আরবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একই উৎস

216

ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। আর এ সামরিক অভিযানের জবাবে গত ২২ জুলাই ও ৪ নভেম্বর সৌদি আরব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হুথিরা। সৌদি আরবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘একই উৎস’ থেকে সরবরাহকৃত বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা। এক গোপন প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তারাদের দেওয়া এমন তথ্য উপস্থাপন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই প্রতিবেদন দেখতে পাওয়ার দাবি করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীরা গত ২২ জুলাই ও ৪ নভেম্বর সৌদি আরবে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎসমূলের সমিল খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন। তবে সৌদি আরবের দাবি অনুযায়ী এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আসলেই ইরানের সরবরাহ করা কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই তারা আকাশে থাকতে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, ইরান থেকেই ইয়েমেনের হুথিদেরকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। রয়টার্স জানায়, ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ি বাস্তবায়ন নিয়ে এক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ঘটনা তদন্তে সৌদি আরবে জাতিসংঘের একটি দলকে পাঠানো হয়েছিল। তারা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলো পরীক্ষা করে দেখার পর তারা জানিয়েছেন ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কাঠামোগত ও প্রস্তুতকরণের বৈশিষ্ট্যগুলো একই, যা থেকে বোঝা যায়, এগুলো একই জায়গা থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।’ গুতেরেস আরও জানান, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ৪ নভেম্বর ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির তিনটি অংশ পরীক্ষা করেছেন। ওইসব অংশে শহিদ বাঘেরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের লোগোর মতো একটি লোগো রয়েছে। আর এ কোম্পানিটির নাম জাতিসংঘের কালো তালিকায় রয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত দলটি এখনও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করছে এবং তা নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইয়েমেন সংক্রান্ত সমাধান প্রস্তাব লঙ্ঘন করে হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ইরানকে দায়ী করতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের মধ্যেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেলো। অবশ্য, হুথিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইরান। দেশটির দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও মনগড়া’।