সোনমসজিদ সীমান্তে ৮ কোটি টাকার ভারতীয় অলংকার জব্দ

শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় বন্দর এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে আমদানী পণ্যের আড়ালে পাচারকালে একটি বাংলাদেশী ট্রাক হতে ৭৬৭ কেজি (প্রায় ১৯ মন) ভারতীয় অলংকার জব্দ করেছে বিজিবি। বিজিবি জানিয়েছে, আটক পণ্য মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিজিবি জানায়, গতকাল গভীর রাতে   পরিচালিত এ অভিযানে ওই ট্রাক জব্দ ও এর চালক সোনামসজিদ বালিয়াদীঘি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস শুকুর আটক হয়েছেন।

বিজিবি ও কাস্টমস জানায়, বন্দর সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় ৫০০ বস্তা ভারতীয় চায়না ক্লে (তৈজসপত্র তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই জব্দ ওই ট্রাকে তল্লাশী করে ৫৬টি বস্তায় ৪৩৭ কেজি ভারতীয় রৌপ্য সদৃশ (ইমিটেশন) ও ৩৩০ কেজি সিটি গোল্ডের অলংকার ছিল। সোনামসজিদ বিওপির আওতাধীন বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড এর ইয়ার্ড এলাকা থেকে সোনামসজিদের দিকে  যাবার পথে ট্রাকটি আটক করে বিজিবির সোনামসজিদ বিওপির একটি টহল দল।

বিজিবি ও কাস্টমস আরও জানায়, চায়না ক্লে’র  রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান হল ভারতের বিকে এন্টারপ্রাইজ। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হল পাবনা দোগাছি বাংলাবাজার দক্ষিন রামচন্দ্রপুর এলাকার মেসার্স কাজী ট্রেডিং। বন্দরে আমদানীকারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিল মেসার্স গালফ ওরিয়েন্ট সি ওয়েজ। বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম জাকারিয়া বলেন, চায়না ক্লে’র আড়ালে অলংকার নিয়ে আসা হচ্ছিল। চায়না ক্লে শুল্কায়ন করা হয় প্রতি টন ১০০ ডলার হিসেবে। অপর দিকে ওইসব অবৈধ অলংকারের শুল্কায়ন মূল্য প্রতিটন ৫০০০ ডলার।

 কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করে এমন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিল সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া বিজিবি এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, ৫০০ বস্তার প্রতিটি খুলে খুলে তল্লাশী করে করে মাল ছাড় করা কঠিন কাজ। তবে বন্দরে ভেহিক্যাল স্ক্যানার থাকলে  ওইসব পণ্য সহজেই ধরা পড়ত। স্ক্যানার না থাকায় সাধারণ ( ম্যানুয়াল) কাস্টমস পরীক্ষায় ওইসব পণ্য ধরা যায় নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ  আশা করছে, সরকারের একটি প্রকল্পের আওতায়  বন্দরে শীঘ্রই স্ক্যানার বসানো হবে।

আজ দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ৫৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে বিপুল পরিমান পন্য চোরাচালান  হতে পারে সম্পর্কিত পাওয়া তথ্যে অভিযানটি চালানো হয়।