সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ করলেন ব্যবসায়ীরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে চার দফা দাবিতে রবিবার থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কাজী শাহাবুদ্দীন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাক থেকে পণ্য খালাসের নামে অতিরিক্ত হারে মাশুল আদায় করছে। নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ওয়্যারহাউস ভাড়া, নিরাপত্তার অভাবসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা। অনিয়মের বিষয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা। বিষয়টি ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। ভারতের ব্যবসায়ীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। ফলে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ অনুযায়ী টাকা নিয়ে থাকি। আমদানিকারকরা এখন তা মানতে নারাজ। তাই তারা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন। আমরা তো সরকারের বাইরে যেতে পারি না।”
এদিকে বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শতাধিক গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করলেও রবিবার বেলা ৪টা পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগে ১১ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। অন্যথায় পরবর্তীতে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।