সোনামসজিদ স্থলবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে- নৌ পরিবহন উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড.এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সোনামসজিদ অনেক পুরোনো ও গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। ২০০৬ সালে এই বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ভবিষ্যতে এই বন্দর আন্ত:দেশীয় বানিজ্যের সংযোগও হতে পারে। কাজেই এটি সম্প্রসারণ করা দরকার। পরিধী বাড়ানো দরকার। আমরা বিশ^ব্যাংককে দিয়ে কয়েকটি বন্দর করিয়েছে। যদি সম্ভব হয়, পরবর্তীতে যদি বিশ^ব্যাংকের নতুন প্রকল্প থাকে, তবে তারা নিলে সোানামসজিদের সম্প্রসারণ সহজ হবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বন্দরে কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব দেখার জন্য জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। একটি ৩ কিলোমিটার সড়ক করতে হবে। বন্দরের ইয়ার্ড তৈরির জন্য জায়গা জমি দেখা হচ্ছে। কিছু জমি রয়েছে খাস। আবার কিছু ব্যাক্তি মালিকানাধীণ। সেগুলো নিলে খরচ হবে। জেলা প্রশাসন সকল সমস্যা চিহ্নিত করে উন্নয়নের জন্য যতটুকু জমি দরকার সেটি সহ পরিকল্পনা পাঠালে ব্যয় বোঝা যাবে। তখন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া যাবে। শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথাও বলেন তিনি। তিনি বন্দর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন দাবির কথাও তুলে ধরেণ।
আজ দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলায় সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শণে এসে বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড সভাকক্ষে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় এবং সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থালবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্তান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, পানামা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহুরা নওসাবা সহ প্রশাসন, কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। পরে, বিকেলে উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন। চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্য ১৫ জনের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়।