সোনামসজিদ বন্দর পথে প্রবেশ করল ২ ট্রাকে ৬০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ

সরকার দেশে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দেয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ টন করে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় দু’জন আমদানীকারেকর ওই দুই গাড়ী পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান। আমদানীকারক দুই প্রতিষ্ঠান হল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়েলকাম এন্টারপ্রাইজ ও গৌড় ট্রেডার্স।
অপরদিকে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, গতকাল সরকার আমদানীর অনুমতি বা আইপি ইস্যূর ঘোষণা দেয়ার পর আজ কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ৫০ জন আমদানীকারেকর প্রত্যেককেই ৩০ টন করে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দিয়েছে। এরমধ্যে সোনামসজিদের আমদানীকারক রয়েছেন ৩০ জন। তাঁদের ৯০০ টন আমদানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে সারা দেশের সকল বন্দরের জন্য দেড় হাজার টন আমদানীর অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিটি আইপি’র মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। অর্থাৎ পরবর্তী কোন নির্দেশনা না আসলে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এভাবে আমদানী অব্যহত থাকবে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই বন্দর দিয়ে শেষবারের মত পেঁয়াজ আমদানী হয় বলেও জানান ডিডি সমীর চন্দ্র ঘোষ।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ রোববার সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ও গ্রামের বাজারে দাম আরও বেশী। জেলার বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা বাজার জেলা শহরের পুরাতন বাজার (তহা বাজার) সূত্র জানিয়েছে, মান ভেদে পেঁয়াজ বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ঢুকতে শুরু করা নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ ও ভাল ছাঁচি পেয়াজ ১৩০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানী শুরু হওয়ায় দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিস্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বতাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, পেঁয়াজ আমদানী অবাধ হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ আরও দ্রুত ও সহজ হত। ভোক্তারা আরও কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পারত। তিনি বলেন, জানুয়ারীর আগ পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে না।