সৈয়দ আশরাফের মরদেহ আসছে সন্ধ্যায়, কাল দাফন

208

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আসবে আজ। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বিমানের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকায় এলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের লাশ গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির জাতীয় নেতৃবৃন্দ। সন্ধ্যা ৭টায় লাশ নিয়ে যাওয়া হবে ২১ বেইলি রোডস্থ তার সরকারি বাসভবনে। সেখান থেকে নিয়ে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হবে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা। এরপর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হবে। মরহুমের তৃতীয় জানাজা হবে বেলা ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। তাকে দাফন করা হবে বাদ আসর ঢাকার বনানী কবরস্থানে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মারা যান আশরাফপত্নী শিলা ইসলাম। তিনি থাকতেন যুক্তরাজ্যে। তিনিও ভুগেছিলেন জটিল রোগে। স্ত্রীবিয়োগের ব্যথায় কাতর আশরাফের শরীরেও ক্যান্সার ধরা পড়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও তিনি নিতে পারেননি। এজন্য তিনি সময় চেয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। স্পিকার সময়ও দেন। স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পরদিনই দলের ‘দুর্দিনের কাণ্ডারি’ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে প্রশংসিত এই নেতা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। গত বছরের ৩ জুলাই চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান আশরাফ। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্গিন- এ অবস্থায়ও তাকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। আর টানা পঞ্চমবারের মতো তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে জনগণ জানিয়ে দেয়, তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় কতটা উজ্জ্বল হয়ে ছিলেন তিনি। নিষ্কলুষ ইমেজের দৃঢ়চেতা এই রাজনীতিক সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জটিল পরিস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।