সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল

গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে, খবর ছড়িয়েছে—সেদিন রাতে নোবেলের সঙ্গে ছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তবে খবরটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সালসাবিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়েছেন সালসাবিল। পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তায় এ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষায় আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না। আমি সারারাত আমার বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম।” ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, “আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার ফোনে অনেক মেসেজ, কল। এসব আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা করেছে। আমি নাকি নোবেলের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম, সেই অবস্থায় পুলিশ নাকি আমাকে আটক করেছিল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমার আত্মীয়-স্বজন সকলেই আমাকে ফোন করে জানতে চাচ্ছে, আমি ছাড়া পেয়েছি কি না! এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর সংবাদ।”

প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম তার নাম উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশ করেছেন বলে দাবি সালসাবিলের। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে এ ধরনের একটা নিউজ করা হলো। আমিও তো একটা সমাজে বসবাস করি। আমার পরিবার আছে। এ ধরনের একটা নিউজ একটা পরিবার, একটা মেয়ের জন্য খুবই অসম্মানের। নিউজটি করার আগে আমার সঙ্গে অন্তত যোগাযোগ করতে পারতেন। কারণ অনেক সাংবাদিকের কাছে আমার নাম্বার রয়েছে।”

জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবারচালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উবারচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান নোবেল। পরে উত্তেজিত হয়ে গাড়িচালককে মারধর করেন তিনি।

মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ‌সাজ্জাদ রোমান বলেন, “একজন গাড়িচালকের সঙ্গে গায়ক নোবেলের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই সময় স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।”