সুস্থ থাকুন ভ্রমণ করে

371

পরিচিত গ-িতে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টেনে রাখলেও ভ্রমণের সময় তা অনেকসময় হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে ঘুরতে গিয়েও খেতে হবে বুঝেশুনে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ভ্রমণে বেপরোয়াভাবে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করার কিছু দিক তুলে ধরা হয়। নতুন জায়গায় গিয়ে সেখানকার খাবার খাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
তবে বুঝেশুনে না খেলে পরে সমস্যা হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
ভাবুন: আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কমানোর প্রক্রিয়া অনেকটাই নির্ভর করে আমরা কীভাবে চিন্তা করি তার উপর। তাই বেড়াতে গিয়ে খাবারের দোকানগুলো এড়িয়ে নতুন স্থানগুলো ঘুরে দেখুন। নতুন জায়গা দেখার জন্যই বেশি সময় বরাদ্দ রাখুন এবং খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ এড়িয়ে চলুন, এতে বাড়তি খাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
পরিকল্পনা করুন: বেড়াতে যাওয়ার আগে থেকেই ওজন কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা- এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন। যেখানে যাবেন ওই স্থানের খাবার এবং রেস্তোরাঁ সম্পর্কে আগেই ধারণা নিয়ে রাখুন। ভারী খাবারের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন: অনেক সময় চাইলেও হাতের নাগালের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যায় না। যেমন সকালের নাস্তা বা বিকালের হালকা খাবারের জন্য বেড়াতে গিয়ে বেছে নিতে হয় ভাজাপোড়া বা ভারী খাবার। এক্ষেত্রে সঙ্গে নিতে পারেন বাদাম। বাদাম পুষ্টিকর এবং পেটও ভরায়। তাছাড়া ফলও হতে পারে উপযোগী পরিপূরক।
বিরতি নিন: নতুন জায়গায় গিয়ে সেখানকার খাবার একদমই চেখে দেখবেন না তাতো মেনে নেওয়া যায় না। তাই এক বেলা বেছে নিন যেদিন আপনি মন মতো খাবার খেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বাকি দুবেলা হালকা খাবার খান।
হাঁটুন: সব কিছুর পর নিজের ওজন ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে ব্যায়াম করতেই হবে। বেড়াতে গিয়ে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলেও হাঁটাহাঁটি করা যেতেই পারে। আশপাশের জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে হেঁটেই যান।
পর্যাপ্ত পানি: বেড়াতে গিয়ে অনেক সময়ই পানির ঘাটতি হতে পারে। তাই সবসময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। পাশাপাশি ডাবের পানি, ফল ইত্যাদি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। তবে কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চলা গেলে বেড়ানো শেষে বাড়তি ওজন নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে না।