01713248557

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৫টি হরিণ ও একটি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, ৩৯টি হরিণ এবং একটি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ৫৬টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ (৩০ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করে খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত সুন্দরবন ৫৪টি মৃত হরিণ এবং দুটি শুকর মিলিয়ে মোট ৫৬টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ‘মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।’ – যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহীনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।