সুখের সংসার সন্দেহহীন

84

সন্দেহ যেমন হতে পারে খুব স্বাভাবিক পর্যায়ের, আবার তেমনি খুবই অস্বাভাবিক অসুস্থ পর্যায়েরও হয়। ইংরেজিতে এই অসুস্থ পর্যায়ের সন্দেহের নাম ডিলিউশন প্যারানয়েড সাইকোসিস এবং মরবিড জেলাসি। এই অসুস্থ সন্দেহের পেছনে না থাকে কোনো বাস্তব প্রমাণ, না থাকে কোনো যৌক্তিক কারণ। তবে ব্যক্তির মনের মধ্যে এই সন্দেহ মাসের পর মাস বেঁচে থাকে অটলভাবে। এই সন্দেহ যেকোনো মানুষের মধ্যেই আসতে পারে যেকোনো সময়ে এবং যেকোনো কারণে। আপনার সঙ্গী অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ হলে আপনি নিজের স্থান পরিষ্কারভাবে তাকে বলুন। যাতে অযথা সন্দেহ করার সুযোগ না পান। আর যদি বুঝেন সন্দেহ করছেন, তবে তা নিয়ে রাগারাগি ও কথা বলা বন্ধ করবেন না। ব্যাপারটি নিয়ে আপনার সঙ্গীর সাথে সরাসরি কথা বলুন। ঠাণ্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করুন। আর যদি তার সন্দেহ একটু বেশি মাত্রার হয় তবে সন্দেহের কারণ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে দেখুন। যখনই আপনি তাকে সন্দেহ করবেন তিনি আপনাকে অনুভব করাবেন যে দোষটি আপনার। অথবা এমন কিছু বলবেন, যাতে আপনি নিজেই নিজেকে এর জন্য দোষী ভাবতে থাকবেন। যেমন ধরুন, আপনি তাকে দেখলেন, অন্য কারো সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে। পরদিন হয়তো জানতে চাইলেন— তিনি কী করছিলেন তখন, হয়তো ব্যাপারটা খুবই সাধারণ। বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনও হতে পারে। কিন্তু উল্টো আপনি তাকে সন্দেহ করছেন বলে আপনার সাথে রাগারাগি করলে বুঝতে হবে হয়তো সেখানে কিছু একটা ঝামেলা আছে। সেই সময়টুকু চুপ থাকুন। পরে ধীরে-সুস্থে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিন। অনেক সময় দুজনে একসাথে কম সময় কাটালে মনে সন্দেহের বীজ ঢুকে পড়ে। আপনার সঙ্গীকে যতটা সম্ভব বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। সন্দেহপ্রবণ সঙ্গীর কাছে অযথা সব সময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করবেন না। এতে সন্দেহ আরও বেড়ে যেতে পারে। আপনি নিজের মতো নিজেকে উপস্থাপন করবেন। সঙ্গী অযথা ভুল বুঝে সন্দেহ করলে রেগে যাওয়া কিংবা দুঃখ পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু মাথা গরম না করে কিছু না করে বসাই ভালো এতে ফলাফল উল্টো হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মাথা ঠাণ্ডা করে কীভাবে সন্দেহ দূর করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা করুন। সঙ্গীর সন্দেহপ্রবণতার কারণে মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। নিজের ওপর আস্থা হারাবেন না। আপনি যদি আপনার স্থানে ঠিক থাকেন তাহলে সমস্যা কাটানো সহজ হবে। আপনি নিজে ঠিক থাকলে আপনার সঙ্গীও আপনার প্রতি তার অতিরিক্ত সন্দেহের প্রবণতা কমিয়ে দেবেন।