সুখী ড্রেসিংরুমে এখন স্বস্তির পরশ

88

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে হারের পর টানা জয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইংলিশদের তৃতীয় ওয়ানডেতে হারানোর পর টি-টোয়েন্টিতে তাদের ৩-০ ব‌্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ড সিরিজেও জয়ের ধারাবাহিকতা।

প্রথম ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড গড়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একচ্ছত্র আধিপত্য। ম্যাচের ফল বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও অতীত পরিসংখ্যান ও স্বাগতিকদের দাপটে একটা বিষয় স্পষ্ট, ম্যাচের নাটাই বাংলাদেশে হাতেই ছিল। তাসকিন, ইবাদত, নাসুমদের জন্য আইরিশদের হারানো স্রেফ সময়ের ব্যাপার ছিল। ওই আত্মবিশ্বাস, জয়ের পরিসংখ্যান থেকেই ওসব বলা।

বিশেষ করে ৩৪তম ওভারের পর ক্রিজে এসে সেঞ্চুরির রেকর্ড বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রায় বিরল। ৬ নম্বরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ও কম বল হাতে রেখে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার মুশফিক। তাইতো তার সেঞ্চুরিটা বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে দিয়ে যাচ্ছে স্বস্তির পরশ। সঙ্গে নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে থেকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে বড় কিছু পাওয়া যায় এমন বিশ্বাসের বীজও রোপণ হয়েছে।

ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি মুশফিক। দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন ৭০ রান করা লিটন। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ জানাতে গিয়ে লিটন বলেছেন,‘সবাই উপভোগ করছে। আগেও মজায় ছিল।’

আজকের সেঞ্চুরির আগে মুশফিক প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে এমন কার্যকরী ও আগ্রাসী ইনিংসে বাংলাদেশ পরপর দুই ম্যাচে বড় পুঁজি পেয়েছে। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল লিটন ও শান্তর। লিটন ৭০ ও শান্ত ৭৩ রানে আউট হন। তবে তাদের দুজনের ইনিংসটি ছাপিয়ে মুশফিকের শতরানই সবচেয়ে সুন্দর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন লিটন।

‘প্রতিটা ব্যাটসম্যান যখন ব‌্যাটিংয়ে যায় তাদের একটা লক্ষ্য থাকে নট আউট শেষ করা। এটা করলে ১০০-১৫০ হয়ে যায়। এখনকার ক্রিকেটে ২০০ তো অহরহ আছে। সেঞ্চুরির লক্ষ্য যদি বলেন, হ্যাঁ, আক্ষেপ থাকে, কিন্তু আমার মনে হয় সেঞ্চুরি শুধু একটা কাউন্টডাউন। আমি আর শান্ত যদি দুজনে ৪০-৪৫ ওভার খেলতে পারতাম তাহলে ক্লোজ টু ১৫০, ১৬০-১৮০ হতে পারতো। কারণ আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। আমার আউট সফট ডিসমিসাল, শান্তরটা আনলাকি। এরকম আউট হলে কিছু করার থাকে না।’

‘অবশ্যই মুশফিক ভাই যে ইনিংস খেলেছে দেখার মতো ছিল। আমি মনে করি শান্ত বা আমারটার থেকে সুন্দর। মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি না, ৪০ বা এর বেশি ছিল; এটা কিন্তু বিগ মার্জিন তৈরি করে দেয় ৩০০ প্লাস করতে।’