সুইস ব্যাংকে ভারতীয় আমানত কমেছে

526

সুইস ব্যাংকে ভারতীয় লোকজনের আমানতের পরিমাণ অনেক কমেছে। ২০১৫ সাল শেষে সুইস বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের আমানত কমেছে ১২০ কোটি ফ্রাঙ্ক। গত শুক্রবার স্বয়ংক্রিয় বিনিময়ের মাধ্যমে যেসব অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হয়, এর তথ্য প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে সুইজারল্যান্ড সরকার। আর এরপরই এই তথ্য প্রকাশ করেছে জেনেভাভিত্তিক সুইস বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অ্যাসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয় আমানতকারীদের অর্থের পরিমাণ কমেছে ১২০ কোটি ফ্রাঙ্ক বা ১২৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। বর্তমানে সুইস ব্যাংকগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের যে আমানত রয়েছে, তা সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কম।
মূলত, কালোটাকা প্রতিরোধে এই তথ্য সরবরাহ হচ্ছে। ২০১৪ সালে রীতি ভেঙে ভারত সরকারকে তথ্য সরবরাহ করতে রাজি হয় সুইস ব্যাংক। ২০১৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য আদান-প্রদান শুরু হবে। অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ভারতের ওপর তাদের বিশেষ কোনো উদ্বেগ নেই, ভারতে আইনের শাসন যথাযথভাবে বহাল রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজার জ্যাং ল্যাঙলো প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানান, ভারতীয় আমানতকারীদের অর্থ রাখার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ প্রবণতা লক্ষ করা যায়নি। সব বিষয় স্বাভাবিকই আছে। বর্তমানে এই অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে নয়টি ব্যাংক আছে এবং বিশ্বব্যাপী সাড়ে সাত হাজার কর্মচারী কাজ করছেন। ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কালোটাকা প্রতিরোধে সোচ্চার হয় ভারতের মোদি সরকার। গত বছরের ৮ নভেম্বর আচমকা এক সরকারি ঘোষণায় বাতিল করা হয় ৫০০ ও ১০০০ রুপির সব নোট। মূলত, কালোটাকা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি।