সীমান্ত সুরক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াবে বিজিবি

374

চলতি বছরের ২৮ মার্চ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর এটি তার প্রথমবারের মত রাজশাহীর কোনো সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন। সীমান্ত পরিদর্শন শেষে মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, যেহেতু আমাদের জনবল কম, সেহেতু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের এই শূন্যতা পূরণ করতে হবে। এজন্য সীমান্ত এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে চোরাকারবারি এবং অপরাধীদের ওপর নজরদারী বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি সীমান্তেই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। এ ক্ষেত্রে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ওপরও বিশেষভাবে গুরাত্বারোপ করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তার বাস্তবায়নের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, বিজিবির সীমান্তে মাদক পাচার ও চোরাচালান জিরো টলারেন্সে আছে। আগামীতেও বিজিবির এই সুরক্ষা ব্যবস্থা অটুট থাকবে। সীমান্তে মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া বিএসএফের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কাছাকাছি এসেছে বলে মন্তব্য করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। এ সময় ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বিজিবি প্রস্তুত আছে। যখনই বিজিবির সহায়তা চাওয়া হবে তখনই মাঠ পর্যায়ে কাজের জন্য নামা যাবে বলেও উল্লেখ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। এর আগে, সীমান্তে পৌঁছে নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনি বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের আওতায়ধীন সাহেবনগর বিওপি ও বিজিবি-৫৩ ব্যাটালিয়েনের আওতাধীন মানিকচক বিওপি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ওই এলাকার ১০ কিলোমিটার দুর্গম এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি সীমান্ত এলাকার দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার সাদাত আবু মোহাম্মদ ফুয়াদ, রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি-৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ সারওয়ার ছাড়াও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।