সীমান্তে ভারতীয় মন্ত্রীর চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ

169

অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম সফরে গিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারমন সীমান্তের ওপারের চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সিকিমের নাথু-লা সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি এবং এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
রোববার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক টুইটার একাউন্টে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। এতে দেখা যায়, সিকিমের নাথু-লা সীমান্তে গিয়ে সিতারমন চীনা সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সংক্ষিপ্ত ওই ক্লিপটিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চীনা সৈন্যদের সম্ভাষণ জানিয়ে হাতজোড় করে ‘নমস্তে’ বলতে দেখা গেছে।
দোভাষীর কাজ করা এক চীনা সৈন্যকে তিনি বলেন, “নমস্তে! আপনি জানেন ‘নমস্তে’ কী?
ধারণা করে হাসি মুখে ওই চীনা সৈন্য বলেন, “আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুশি হলাম।”
“চীনা ভাষায় আপনারা কী বলেন?” জিজ্ঞেস করেন মন্ত্রী।
“নাই হাও,” উত্তরে বলে চীনা সৈন্য।
এরপর চীনা সৈন্যরা একজনের পর একজন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ‘নমস্তে’ ও ‘নাই হাও’ বলে সম্ভাষণ জানান।
সিকিমের সীমান্তের নিকটবর্তী দোকলামে দুদেশের সৈন্যদের মধ্যে উত্তেজনা অবসানের পর থেকে ওই এলাকায় নতুন করে চীনারা কোনো উন্নয়ন কাজ করেনি, ভারত সরকারের এমন দাবির পর ওই সীমান্ত পরিদর্শনে যান সিতারমন।
জুনের মাঝামাঝিতে মালিকানা নিয়ে বিরোধপূর্ণ একটি এলাকায় চীনারা রাস্তা তৈরি করার সময় ভারতীয় সৈন্যরা সিকিম সীমান্ত অতিক্রম করে গিয়ে নির্মাণকাজে বাধা দেয়। এলাকাটি ভারতের তথাকথিত ‘চিকেন নেকের’ কাছে; ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো দেশটির মূল অংশের সঙ্গে যে একচিলতে ভূখ- দিয়ে যুক্ত তাকেই ‘চিকন নেক’ বলা হয়।
এরপর থেকে দোকলাম মালভূমিতে দুদেশের সৈন্যরা মাত্র ১৫০ মিটার দূরত্বে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে থাকে।
চীন ও ভুটান দোকলাম মালভূমিকে নিজের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। ভুটানের দাবিকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত।
দুদেশের সৈন্যরা প্রায় ৭০ দিন মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে থাকার পর দুটি দেশই সৈন্য প্রত্যাহারে সম্মত হলে উত্তেজনার অবসান হয়।
ব্যাপক শেয়ার হওয়া ভিডিওটি নিয়ে করা কয়েক হাজার মন্তব্যের মধ্যে একটিতে এক ভারতীয় বলেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুধু একজন ভাল প্রশাসক না, একজন ভাল কূটনীতিকও।”
আরেক মন্তব্যে আরেক ভারতীয় বলেন, “চীনা ক্যাপ্টেনের জন্য ভালবাসা। আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে শান্ত এবং সহজভাবে কথা বলেছেন তিনি। ভাল ইংরেজিও বলেছেন।”